কোন শাকে কি পুষ্টি (Nutrients) আছে জেনে নিন
পুর ভরা পুঁই পাতার বড়া রেসিপি - খুলুন নুতন ট্যাব এ
৫) সর্ষে শাক -
সর্ষে তেলের মতোই, সরিষা শাক ভিটামিন ও মিনারেলের একটি সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন এ (vitamin A), সি ও কে (vitamin C and K) সৃমদ্ধ পরিপূর্ণ সরিষা শাক শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এতে আছে শক্তিশালী এন্টি অক্সিডেন্ট যা নানা রকম ভাইরাল অসুখ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয়। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে, ভিটামিন কে হাড়ের সুরক্ষা করে এবং মস্তিষ্ককে রাখে দারুণ সচল।
সরিষা শাকে আছে আয়রন (Iron), ম্যাঙ্গানিজ (Manganese), ক্যালসিয়াম (Calcium), জিঙ্ক (Zinc), পটাশিয়াম (Potassium), সেলেনিয়াম (Selenium), ম্যাগনেশিয়াম (Magnesium), প্রোটিন ও ফাইবার (Protein and Fiber)। যা আপনার হার্ট ভালো রাখে, রক্তের কোলস্টেরল কমায় এবং গর্ভবতী মায়েদের সুস্থ শিশু জন্মদানের সম্ভাবনা বাড়ায়।
এন্টিঅক্সিডেন্ট এর সব চেয়ে বড় গুণ হলো, এটি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধা দেয়। মাসসিক চাপ কমানো ও নানা ধরনের ক্যান্সার দূরে রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি এ শাক শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। শারিরীক দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে সরিষা শাক। এটি শরীরে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে আনে, দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করে, এবং হজমশক্তি বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরিষা শাক হার্ট এটাক, আর্থ্রাইটিস ও ক্রনিক রোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। এতে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতেও কার্যকর সরিষা শাক। ত্বক, চুল, ওজন ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই সাহায্য করে শাক।
৬) মেথি শাক -
হৃদয়কে সুস্থ্য রাখে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ - মেথি শাক নিয়মিত খেলে শরীরে ইনসুলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ফলে ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। মেথি শাক শরীরের গ্লুকোজ মেটাবলিজমকে নিয়ন্ত্রণে রাখ। তাই ভেষজ চিকিত্সায় একে "অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এলিমেন্ট" (anti-diabetic elements) হিসেবে গণ্য করা হয়।
৭) সজনে পাতা / সজনে শাক -
সজনে (বৈজ্ঞানিক নাম: Moringa oleifera) হচ্ছে Moringaceae পরিবারের Moringa গণের একটি বৃক্ষ জাতীয় গাছ। সজনের কাঁচা লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, পাতা খাওয়া হয় শাক হিসেবে। খরা সহিষ্ণু ও গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের একটি উদ্ভিদ। ডাল ও বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলেও আমাদের দেশে সাধারণত ডালের মাধ্যমে বা অঙ্গজ জননের মাধ্যমে বংশবিস্তার করানো হয়। গ্রীষ্মকাল বিশেষত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত ডাল রোপণের উপযুক্ত সময়। সজিনা গাছের পাতাকে বলা হয় অলৌকিক পাতা। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর হার্ব। গবেষকরা সজিনা পাতাকে বলে থাকেন নিউট্রিশন্স সুপার ফুড। এবং এই গাছের পাতা ফুল সজিনা ডাটা সবকিছুই পুষ্টিগুণ এ ভরপুর তাই সজিনা গাছকে বলা হয় মিরাক্কেল ট্রি।
এটির শাক হিসেবে ব্যবহৃত পাতা ভিটামিন এ এর এক বিশাল উৎস। সজনের পাতা এবং ফল উভয়ের মধ্যেই বিপুল পরিমাণে পুষ্টি আছে। এতসব পুষ্টিগুণ একসাথে আছে বলেই এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং জীবন ধারনের পুষ্টি দুটোই পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য উপকারিতা (Health and Benefits)
০১। প্রতি গ্রাম সজনে পাতায় একটি কমলার চেয়ে সাত গুণ বেশি ভিটামিন সি, দুধের চেয়ে চার গুণ বেশি ক্যালসিয়াম ও দুই গুণ বেশি প্রোটিন, গাজরের চেয়ে চার গুণ বেশি ভিটামিন এ এবং কলার চেয়ে তিন গুণ বেশি পটাশিয়াম বিদ্যমান। ফলে এটি অন্ধত্ব, রক্তস্বল্পতা সহ বিভিন্ন ভিটামিন ঘাটতি জনিত রোগের বিরুদ্ধে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।
০২। এতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে এবং পালংশাকের চেয়ে তিন গুণ বেশি আয়রণ বিদ্যমান, যা এ্যানেমিয়া দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
০৩। সজনে শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও (Control Cholesterol) অন্যতম অবদান রাখে।
০৪। মানুষের শরীরের প্রায় ২০% প্রোটিন যার গাঠনিক একক হলো এমাইনো এসিড। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেটাবোলিজম এবং অন্যান্য শারীরবৃত্ত্বীয় কার্যাবলী পরিপূর্ণরূপে সম্পাদনে এমাইনো এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মানুষের শরীরের যে ৯ টি এমাইনো এসিড খাদ্যের মাধ্যমে সরবরাহ করতে হয়, তার সবগুলোই এই মরিঙ্গার মধ্যে বিদ্যমান।
০৫। এটি শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মত কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে (By reducing blood sugar level keep diabetes in control)।
০৬। নিয়মিত দৈনিক সেবন শরীরের ডিফেন্স মেকানিজমকে আরো শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হওয়ার দরুন এটি ‘এইডস’ আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
০৭। এটি শরীরের হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে পুষ্টিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। (Help to build stronger digestive system)
০৮। শরীরের ওজন কমাতেও ব্যায়ামের পাশাপাশি এটি বেশ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।
০৯। এটি মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। পাতা থেকে তৈরি এক টেবিল চামচ পাউডারে ১৪% প্রোটিন, ৪০% ক্যালসিয়াম, ২৩% আয়রণ বিদ্যমান, যা ১ থেকে তিন বছরের শিশুর সুষ্ঠু বিকাশে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় এবং বুকের দুধ খাওয়ানোকালীন সময়ে ৬ টেবিল চামচ পাউডার একজন মায়ের প্রতিদিনের আয়রণ এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
১০। এটির এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃত ও কিডনী সুস্থ্য রাখতে এবং রূপের সৌন্দর্য বর্ধক হিসেবেও কাজ করে থাকে (Keep Liver and Kidney Healthy) ।
১১। সজনে-তে প্রায় ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের এন্টি-অক্সিডেন্ট (Anti-oxidant) বিদ্যমান।
১২। এতে ৩৬ টির মত এন্টি-ইনফ্ল্যামমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়াও এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
প্রতিক্রিয়া: ডঃ লয়েল ফিউগিল এর মতে, দৈনিক এই পাতা গ্রহণে কোন ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া নেই।
অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য হিসেবেঃ সজনে পাতা রুমিনেন্ট জাতীয় প্রাণীদের ক্ষেত্রে প্রোটিনের একটি অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয় যার মাঝারি মানের রুচিকরতা বিদ্যমান। পোল্ট্রি, শূকর, খোরগোশ এবং মাছের জন্য খাদ্য হিসেবে এই পাতা ও বীজের ব্যবহার বেশ কার্যকর।
সতর্কতা (Caution)
সজনে এর মূল অনেক সময় বিষাক্ত হতে পারে, যা স্নায়ুকে অবশ করে দিতে পারে। তাই খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি বর্জন করাই শ্রেয়।এছাড়া এর বীজ মাছ এবং র্যাবিট এর জন্যেও বিষাক্ত হতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।
৮) গিমে শাক / ঢিমা শাক / গিমা শাক / জিমা শাক-
(বৈজ্ঞানিক নাম: Glinus oppositifolius) Molluginaceae পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। এটির ইংরেজি নামগুলো হচ্ছে Gima, Jima, Bitter Cumin, Maita, Maitakaduri shak, Indian Chickweed, Kangkong ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাধারনত লোকেরা গিমা শাক রান্না করে খায়। এর শুধু পাতা খাওয়া হয়ে থাকে যা তিতা স্বাদের। তবে ওষুধ তৈরির কাজে এর কান্ড, পাতা, ফুল সবই লাগে। আফ্রিকায় গিমা শাক সালাদ এবং জুস হিসেবেও খায়
জনডিস রোগে উপকারী, জ্বর (Fever), লিভারের অসুখ (liver disease), পিত্ত ও কফ রোগ উপশম করে। এই শাক স্বাদে একটু তেতো। খেলে মুখের অরুচি সারে। বেগুন আলু দিয়ে চচ্চড়ি, বেসন বা ডাল বাটা দিয়ে এই শাকের বড়া খেতে ভাল লাগে।
বর্তমানে অনেক আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হলেও অতীতে স্থানীয় লোকজন তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেষজ গুনসম্পন্ন গিমা শাক ব্যবহার করতো। এই জংলী শাকটি ডায়াবেটিকে উপকারী। হারবাল চিকিৎসার ক্ষেত্রে মূলত রিউমেটিকের ব্যাথা ও সোরিয়াসিস হারবাল ওষুধ তৈরির কাজে এর কান্ড, পাতা, ফুল সবই কাজে লাগে। কোস্টকাঠিন্য, পাকস্থলি ও অন্ত্রের সমস্যা, রক্তপ্রবাহে সমস্যা, অ্যাজমা, ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ, ভিটামিন সি এর অভাব জনিত স্কিন ডিজিজ যেমন স্কার্ভি, চুলকানি, মাংসপেশি ও হাড়ের ব্যথার জন্য গিমা শাক খুবই উপকারী। গিমা শাক খেলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমে। এছাড়া গিমা শাক ওজন কমাতেও খুবই কার্যকরী। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গিমা শাক দারুণ উপকারী। অনেক সময় চোখ উঠলে বা চোখ ব্যথা করলে গিমে পাতা দিয়ে সেক দেয়া হয়। আবার গিমা পাতার রস এবং আধা কাপ আমলকী ভেজানো পানি মিশিয়ে খেলে বমি বন্ধ হয়।
৯) ছোলার শাক -
রুচিকর, সহজে হজম হয় না, কফ ও বায়ু বৃদ্ধি করে, মল রোধ করে, পিত্ত ও দাঁতের রোগে উপকারী।
১০) পাট পাতা / পাট শাক -
কৃমি, কুষ্ঠ ও রক্তপিত্ত(নাক, মুখ থেকে রক্ত পড়া) নাশ করে। শুকনো পাতা যাতে নালিতা বা চলতি বাংলা নালতে বলা হয় বায়ু বৃদ্ধি করে কিন্তু জ্বর চর্মরোগ, কফ ও পিত্তের রোগ সারায়।
১১) মুলো শাক -
মুলোর কচি পাতা বা কচি মুলোর শাক লঘুপাক অর্থাত্ সহজে হজম হয়। তেলে বা ঘিয়ে ভেজে মুলোর শাক খেলে শরীরের ত্রিদোষ অর্থাত্ বাত, পিত্ত ও কফের দোষ নাশ হয়। কিন্তু ভাল করে সেদ্ধ না করে খেলে কফ ও পিত্ত বাড়িয়ে দেবে।১২) বর্মা শাক / সাঞ্চে শাক / মালঞ্চ শাক -
বর্মা শাক । ভারত বাংলাদেশে রান্না করে খেয়ে থাকে । বর্মা শাকের মূল মাটির অনেকটা গভীর পর্যন্ত থাকে এবং আলো বাতাস ছাড়ায় বেঁচে থাকতে পারে। জলের নিচে এবং শুকনো মাটি উভয় জায়গাতেই নিজেদের কে মানিয়ে নিতে পারে । স্থান বিশেষে এদের বিভিন্ন নামে ডাকা হয় যেমন -বর্মা শাক, মালঞ্চ শাক, সাঞ্চি শাক, সেঁচি শাক, শান্তি শাক, শালিঞ্চে শাক, চিড়া শাক, ইছা শাক বা মলচা শাক এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Alternanthera philoxeroides যা Amaranthaceae পরিবারভুক্ত। ইংরেজিতে একে 'alligator weed' বলা হয়। এটি কাদা জলে জন্মে। এর আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকা হলেও পৃথিবীর বিশাল অঞ্চল জুড়ে বিস্তার লাভ করেছে ।
কফ ও বাত কমিয়ে দেয়। অর্শ ও লিভারের রোগে উপকারী। এর স্বাদ মিষ্টি মিষ্টি। এই শাকের ভাজা ও তরকারি খুবই স্বাদযুক্ত। সাধারণত গ্রামাঞ্চলেই বেশি পাওয়া যায়।
নুতন ট্যাব এ বিস্তারিত পড়ুন
১৩) মটর শাক -
গুরুপাক, মলকারক(খেলে মল বেশি হয়) বায়ুর প্রকোপ বৃদ্ধি করে। কফ ও পিত্ত নাশ করে।
১৪) বেতো / বেতে / বেতো শাক -
সহজে হজম হয়, খিদে বাড়ায়, হালকা অর্থাত্ লঘু, শুক্র ও মল বৃদ্ধি করে, মল নিষ্কাশন করে, লিভারের অসুখ রক্তপিত্ত নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া, কৃমি, অর্শ, বাত, পিত্ত ও কফ অর্থাত্ ত্রিদো্ষ নাশ করে। বেতো শাককে হিন্দিতে বলা হয় 'বাথুয়া'। টক দই বিট নুন, জিরে ভাজা, রাই, সর্ষের গুঁড়ো দিয়ে এই শাকের রায়তা খেতে অবাঙালিরা খুবই ভাল বাসেন।
১৫) হিঞ্চে শাক / হেলেঞ্চা শাক -
পিত্ত নাশ করে। যাঁদের লিভারের দোষ আছে, যাঁদের হাত গা জ্বালা করে তারা প্রতিদিন সকালে এই শাক থেঁতো করে বা ছেঁচে রস করে খেলে উপকার পাবেন। হিঞ্চে শাকের রস শ্বেত চন্দনের ঘষে নিয়ে সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া বসন্ত রোগের প্রতিষেধক। এই শাকের স্বাদ তেতো। এই শাক শরীর ঠাণ্ডা রাখে, রক্ত পরিষ্কার করে। এই শাক সেদ্ধ করে সর্ষের তেল নুন দিয়ে মেখে ভাতে খেতে ভাল লাগে। হেলেঞ্চা শাকে যথেষ্ট এন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এর ক্যানসার প্রতিরোধী ভূমিকা রয়েছে। মাথার যন্ত্রণায় মাথায় এই শাক বেটে লাগালে যন্ত্রণা কমে। স্নায়ুরোগের ভেষজ চিকিৎসায় হেলেঞ্চা ব্যবহৃত হয়।
হেলেঞ্চা শাক নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমে। (Reduce blood sugar)
১৬) থানকুনি পাতা -
একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। থানকুনি পাতাকে আয়ুর্বেদে রসায়ন বলা হয় কারণ এতে আছে শরীরের সপ্ত ধাতুর রস, রক্ত, মজ্জা্, মাংস, অস্থি ও বীর্যে পুষ্টির গুণ। শীতল লঘুপাক সহজে হজম হয়, সারক মল নিঃসারণ করে, নিয়মিত খেলে দীর্ঘজীবন লাভ করা যায়। কাশি, অর্শ, লিভারের অসুখ, প্রস্রাবের অসুখ, গোদ, গলগণ্ড, জনডিস, কৃমি ও যোনির রোগে উপকারী। এই পাতার প্রলেপ লাগালে কুষ্ঠ, যৌনব্যাধি, নালী ঘা ও চর্মরোগ সারে। পেটের অসুখে ও আমাশায় থানকুনি পাতার রস ও থানকুনি পাতার ঝোল খাওয়ার বিধান তো সকলেরই জানা আছে।
পেটের সমস্যা রোধ করে : যাদের আমাশয় সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে পারেন। নিয়মিত সাতদিন যদি খেতে পারেন তাহলেই ফল পাবেন। এই ধরনের সমস্যা কমাতে আরেকভাবেও থানকুনি পাতাকে কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা বেটে নিন। তারপর সেই রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মেশান। এই মিশ্রণটি দু'চামচ করে, দিনে দুইবার খেলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।
১৭) সুষনি শাক / শুষনি শাক -
সুষনি শাককেও আয়ুর্বেদে রসায়ন বলা হয়েছে। কারণ এই শাকেও আছে শরীরের সপ্তধাতুর পুষ্টির গুণ। এই শাককে আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে নিদ্রাজনক, খেলে ভাল ঘুম হয়, অর্থাত্ অনিদ্রায় উপকার দেয়, অগ্নিদীপক অর্থাত্ খিদে বাড়ায়, মেধা বাড়ায় মেধাজনক। 'রসায়ন' তো আগেই বলা হয়েছে। এই শাক খেতে মিষ্টি। এই শাক ভাজা নিয়মিত খেলে মাথাও ঠাণ্ডা থাকে, রাতে ঘুম ও ভাল হয়। সুষনি শাকের আছে আর ও অনেক অসুখ সারা বার ক্ষমতা।
১৮) নটে শাক -
আমারানটাস ভাইরিডিস (Amaranthus viridis) হ'ল বোটানিকাল পরিবার অমরান্থেসেইয়ের ( Amaranthaceae) একটি মহাজাগতিক প্রজাতি এবং এটি সাধারণত সরু আম্রান্থ (slender amaranth) বা সবুজ আমরণ হিসাবে পরিচিত (green amaranth)।
নটে শাক ভারত বাংলাদেশে ও বিশ্বের অনেক জায়গায় একটি সিদ্ধ সবুজ শাক হিসাবে রান্না করে খাওয়া হয়।
খাড়া, হালকা সবুজ কান্ডযুক্ত যা উচ্চতা প্রায় 60-80 সেমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। বেস থেকে অনেকগুলি শাখা উত্থিত হয় এবং পাতাগুলি ডিম্বাকার হয়, 3-6 সেন্টিমিটার লম্বা, 2-4 সেমি প্রশস্ত এবং লম্বা পেটিওলগুলি প্রায় 5 সেন্টিমিটার থাকে। উদ্ভিদটিতে কয়েকটি শাখা বিশিষ্ট টার্মিনাল প্যানিকেল এবং 3 টি স্টিমেন সহ ছোট সবুজ ফুল রয়েছে।
১৯) লাউ শাক -
বাঙ্গালীর অন্যতম জনপ্রিয় শাক হলো লাউ শাক। কেননা ঘরের কোণে, উঠানে বা খেতে-খামারে যে জায়গাতেই লাগান না কেন লাউ গাছ তরতরিয়ে বাড়তে থাকে। তাই হাত বাড়ালেই সংগ্রহ করতে পারেন লাউ শাক বা বাজার থেকে কিনলেও দাম পড়ে কম। লাউ শাক সারাবছরই পাওয়া যায়, তবে শীত মৌসুমে এর ফলন ফাল ভাল হয়। শুধু ফলনই বেশি হয় না, স্বাদও বেড়ে যায় অনেকটা। লাউ শাক খেলে স্বাদ তো পাবেনই, এর সঙ্গে পাবেন স্বাস্থ্যের নানা উপকারিতা।
অনান্য সবুজ শাকের মত লাউ শাকও পুষ্টিগুণে ভরপুর। লাউশাক সিদ্ধ, ভাজি, ভর্তা, ঝোল করে রান্না করা যায়। এছাড়াও জুস, সুপ এবং সালাদ বানিয়ে খাওয়া যায়। তবে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, শরীর সুস্থ-সবল রাখতে লাউশাকের গুরুত্ব অপরিসীম। এই লাউ শাকে রয়েছে ফলিক এসিড, আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিন-সি। আবার এই শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। যা শরীরস্বাস্থ্য সুস্থ ও সবল রাখতে দারুনভাবে কার্যকর। এবার লাউ শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টি সম্পর্কে জেনে নিন...
০১। আয়রন থাকার কারণে লাউ শাক রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।
০২। লাউ শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি। যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ ও ঠাণ্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
০৩। প্রচুর আঁশ থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে লাউ শাক। এছাড়া পাইলস প্রতিরোধেও সহায়ক।
০৪। বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিনে পরিপূর্ণ হলো লাউ শাক। বিটা-ক্যারোটিন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং লুটেইন ও জিয়েজ্যান্থিন চোখের নানাবিধ রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
০৫। লাউ শাক দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই লাউ শাক খেলে মস্তিষ্ক থাকবে ঠাণ্ডা এবং ঘুমও হবে গভীর।
০৬। লাউ শাকে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত ও মজবুত করে। অস্টিওপোরেসিস এবং অন্যান্য ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগের ঝুঁকি কমায় লাউ শাক।
০৭। লাউ শাক কোলেস্টেরল ও ফ্যাট মুক্ত। আবার ক্যালরি কম থাকায় ওজন কমানোর জন্য লাউ শাক হলো একটি আদর্শ খাবার। এই শাকে থাকা পটাশিয়াম হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
০১। লেটুসপাতা সোডিয়াম ভিটামিন-বি ওয়ান, বি টু থ্রি শরীরের যে কোনো অঙ্গে পানি জমে যাওয়া রোধ করে। এ পাতায় নিয়মিত খেলে বার্ধক্য আসে দেরিতে ত্বকের বলিরেখাও পড় না। ঠাণ্ডাজনিত অসুখ হাঁচি, কাশি, কফ, হাঁপানি ও ফুসফুসের ইনফেকশন দূর করতে সালাদে প্রতিদিন লেটুসপাতা খেতে পারেন।
০২। কাঁচা বা ভাজা লেটুসপাতার সালাদ রক্ত পরিষ্কার করে, হৃৎপিণ্ডের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। লেটুসপাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে লেটুসপাতার গুরুত্ব অনেক বেশি। এছাড়া ওজন কমাতে এ পাতা দারুন কাজ করে।
০৩। ত্বকের কোথাও কেটে বা ছিঁড় গেলে এ পাতা থেঁতলে ব্যথার স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়। লেটুসপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সহায়তা করার কারণে অ্যামোনিয়া বা রক্তশূন্য রোগীদের জন্য লেটুসপাতা উত্তম খাবার।
০৪। এর ভিটামিন কে হাড়র মেটাবলিজম বাড়ায়। লেটুসপাতা দ্রুত হাড় ক্ষয় হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
০৫। লেটুসপাতার পুষ্টি উপাদান হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর, কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায় লেটুসপাতা উপকারী।
০৬। লেটুসপাতা খুশকি কমাতে সাহায্য করে। শ্যাম্পুতে লেটুসপাতা গুঁড়া ব্যবহার করা হয়। রোদে পোড়াভাব দূর করতে লেটুপসাতা থেঁতলে ত্বকে দিলে ত্বকের উপকার হয়।
০৭। গর্ভবতী নারীরা কাঁচা লেটুসপাতা খেলে মা ও শিশু উভয়ের শরীরেই রক্তের মাত্রা বাড়ে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা কমায় লেটুসপাতা।
তথ্যসূত্রঃ
31 মন্তব্যসমূহ
Erzurum
উত্তরমুছুনistanbul
Ağrı
Malatya
Trabzon
KPC6
Antalya
উত্তরমুছুনKonya
Adana
Ankara
Van
PL1
Eskişehir
উত্তরমুছুনDenizli
Malatya
Diyarbakır
Kocaeli
J1K8
manisa
উত্তরমুছুনsakarya
sivas
van
elazığ
150
izmir evden eve nakliyat
উত্তরমুছুনmalatya evden eve nakliyat
hatay evden eve nakliyat
kocaeli evden eve nakliyat
mersin evden eve nakliyat
İS8
https://istanbulolala.biz/
উত্তরমুছুনQ0XX
hatay evden eve nakliyat
উত্তরমুছুনısparta evden eve nakliyat
erzincan evden eve nakliyat
muğla evden eve nakliyat
karaman evden eve nakliyat
LUAJM
trabzon evden eve nakliyat
উত্তরমুছুনbursa evden eve nakliyat
ordu evden eve nakliyat
erzurum evden eve nakliyat
mardin evden eve nakliyat
1KEY
ığdır evden eve nakliyat
উত্তরমুছুনbitlis evden eve nakliyat
batman evden eve nakliyat
rize evden eve nakliyat
niğde evden eve nakliyat
N3W1DK
muş evden eve nakliyat
উত্তরমুছুনçanakkale evden eve nakliyat
uşak evden eve nakliyat
ardahan evden eve nakliyat
eskişehir evden eve nakliyat
X2CF0
tekirdağ evden eve nakliyat
উত্তরমুছুনkocaeli evden eve nakliyat
yozgat evden eve nakliyat
osmaniye evden eve nakliyat
amasya evden eve nakliyat
FRAH
1D57C
উত্তরমুছুনYozgat Şehirler Arası Nakliyat
Tekirdağ Şehir İçi Nakliyat
Kastamonu Parça Eşya Taşıma
Kars Evden Eve Nakliyat
Ünye Evden Eve Nakliyat
Kayseri Evden Eve Nakliyat
Aydın Şehir İçi Nakliyat
Tekirdağ Lojistik
Paribu Güvenilir mi
1BE82
উত্তরমুছুনtunceli ücretsiz sohbet uygulaması
afyon canli sohbet chat
ığdır Kadınlarla Sohbet
sesli sohbet siteleri
Hakkari Canlı Sohbet Uygulamaları
antep canlı sohbet siteleri
elazığ en iyi görüntülü sohbet uygulaması
rastgele canlı sohbet
kadınlarla sohbet et
A88B4
উত্তরমুছুনrastgele sohbet
sesli sohbet mobil
diyarbakır rastgele görüntülü sohbet uygulamaları
Osmaniye Ücretsiz Sohbet Uygulamaları
yalova kadınlarla sohbet et
görüntülü sohbet sitesi
canli sohbet
chat sohbet
ordu yabancı görüntülü sohbet
CC9B6
উত্তরমুছুনbartın en iyi görüntülü sohbet uygulamaları
edirne parasız sohbet siteleri
karaman canli sohbet
gümüşhane random görüntülü sohbet
bilecik rastgele sohbet uygulaması
kars sesli sohbet sitesi
Adıyaman Sesli Sohbet Odası
sohbet
isparta canlı görüntülü sohbet uygulamaları
53D37
উত্তরমুছুনthorchain
uniswap
uwulend finance
spookyswap
pinksale
dexscreener
dappradar
phantom wallet
DefiLlama
091D9
উত্তরমুছুনcopy trade nedir
papaya meyvesi
en eski kripto borsası
binance referans kod
kızlarla canlı sohbet
ilk kripto borsası
bybit
binance 100 dolar
kaldıraç nasıl yapılır
AE1CD
উত্তরমুছুনokex
binance referans
en iyi kripto grupları telegram
vindax
aax
4g mobil
filtre kağıdı
telegram türk kripto kanalları
kraken
11ADD
উত্তরমুছুনbybit
kraken
bingx
paribu
binance referans kodu
kripto kanalları telegram
4g mobil proxy
toptan mum
btcturk
DBBDA
উত্তরমুছুনreferans kod
bitcoin nasıl oynanır
türk kripto telegram grupları
bitget
gate io
telegram kripto
toptan mum
binance referans kimliği
kucoin
14B16
উত্তরমুছুনgörüntülü şov whatsapp numarası
50B6E85179
উত্তরমুছুনwhatsapp görüntülü şov
cam şov
telegram show
görüntülü şov whatsapp numarası
skype şov
şov
telegram görüntülü şov
cam show
ücretli show
650699A89A
উত্তরমুছুনperformans arttırıcı
kamagra
sertleştirici
viagra
ereksiyon hapı
sinegra
bufalo içecek
sildegra
kaldırıcı
AADC2DF480
উত্তরমুছুনviagra
whatsapp görüntülü şov
cobra vega
görüntülü şov
skype şov
maxman
yapay kızlık zarı
fx15
sinegra
EF78ECED74
উত্তরমুছুনdegra
canli web cam show
yapay kızlık zarı
ücretli şov
ücretli show
skype şov
görüntülü show
sildegra
kaldırıcı
557ABBE00B
উত্তরমুছুনdelay
geciktirici jel
cobra vega
yapay kızlık zarı
kamagra hap
vega
maxman
sildegra
cam şov
E2901597C6
উত্তরমুছুনinstagram ucuz beğeni satın al
5EAB596FF4
উত্তরমুছুনucuz tiktok takipçi
54DCDFDD73
উত্তরমুছুনgerçek takipçi satın al
Azar Elmas Kodu
Eti Mutlu Kutu Kodları
PK XD Elmas Kodu
Raid Promosyon Kodu
101 Okey Vip Hediye Kodu
101 Okey Vip Hediye Kodu
Eti Mutlu Kutu Kodları
Dude Theft Wars Para Kodu
3C8B74BC0F
উত্তরমুছুনTelegram Mining Botları
Yeni Telegram Mining Botları
Telegram Para Kazanma Grupları
Farm Botları
Telegram Güvenilir Madencilik Botları
DDB8518516
উত্তরমুছুনTelegram Coin Oyunları
Telegram Güvenilir Mining Botları
Kripto Telegram Botları
Telegram Güvenilir Madencilik Botları
Telegram Coin Kazma