বেথো / বেতে / বেতো শাক / বথুয়া শাক / বত্তার শাক - লিভার ও কিডনিকে ফিট রাখতে এই শাকের জুড়ি মেলা ভার, অযত্নেই গজিয়ে উঠে আনাচে কানাচে
শাক প্রধানত বাঙালিদের কাছে খুবই প্রচলিত একটি খাদ্য দ্রব্য। বিশেষত গ্রাম বাংলার দিকে মানুষেরা শাকের নানা পদ্ধতিতে রান্না করে খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। আমরা বেশিরভাগ কলমি শাক, ঢেঁকি শাক, পালং শাক, পুঁই শাক এইসব শাক গুলোকেই বেশি চিনি। বেথো শাক কোনও জমিতে আলাদা ভাবে চাষ করা হয় না। তবে গ্রাম-বাংলার মাঠে-ঘাটে, পুকুর পাড়ে পথের ধারের জমিতে অযত্নেই গজিয়ে ওঠে এই বথুয়া বা বেথো শাক। আবার শহরের বাজারে আঁটি বেঁধেও বিক্রি হয় এটি। এ শাক দামে খুব সস্তা। বথুয়া শাক মূলত শীতকালে পাওয়া যায়। উত্তরবঙ্গে এ শাক বেশি জন্মে। এ শাকের গড় উচ্চতা ১-২ ফুট। এ গাছের পাতার রং ফ্যাকাসে সবুজ। কান্ডে উঁচু শিড়া ও বেগুনি রেখা দেখা যায়। পাতার উপর মোমের প্রলেপ থাকায় জল ধরেনা। পাতার নিচেও সাদাটে আস্তরণ থাকে। বেতে শাক/বৈতা শাক আমরা বিভিন্ন সহজ রেসিপি রান্না করে খেতে পারি যেমন তরকারি , ভাজা ।
তবে বেথো শাকে অনেক গুণাগুণ রয়েছে এবং এই শাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যেতে পারে তা অনেকেই জানেন না। তাহলে জেনে নেয়া যাক বেথো শাকের কি কি উপকারিতা রয়েছে।
বিশেষত বেথোশাক লিভারের সমস্যা বা মলাশয়ে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে খুবই ভালো ফল দেয়। যদি কারো কিডনি সমস্যা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বেথো শাকের ভূমিকা অতুলনীয়। এইসব সমস্যাগুলি থাকলে প্রতিদিন এক কাপ বেথো শাক রস করে খাওয়া গেলে। এই সকল সমস্যার থেকে উপকার পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভূত হলে বেথো শাক বেটে তার মধ্যে কিছুটা জিরে বাটা ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
এছাড়াও বেথো শাক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি দ্রব্য। কারণ বেথো শাকে রয়েছে আয়রন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং সি ,ফসফরাস অ্যামিনো এসিড। কারোর যদি কোনো আঘাতের চিহ্ন থেকে যায় বা কারো যদি পোড়া দাগ থাকে। সেক্ষেত্রে সেই ক্ষত স্থানে বেথোশাক বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল শ্বেতির সমস্যা থাকলে বেতো শাক খেলে অনেক উপকার পাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও কারো যদি মুখে ঘা হয়ে থাকে। তাহলেও বেতোশাক চিবিয়ে খেলে পা রান্না করে খেলে কিছুদিনের মধ্যেই সেই ঘা সেরে যাবে। অর্থাৎ যতটা পারুন নিজের খাদ্যতালিকায় বেতো শাক যুক্ত করুন। দেখতে পাবেন এই সমস্যাগুলো আপনার ধারের কাছেও আসছেনা এবং যদি সমস্যা থেকেও থাকে তার থেকে আস্তে আস্তে মুক্তি পাবেন।
0 মন্তব্যসমূহ