**নারী—তুই মুখ বুজে থাক? নাকি এটা শুধু বাঁচার কৌশল?

 22. 11.2025 ( শনিবার)

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, রাধে রাধে রাধে রাধে রাধে রাধে , ওম নমঃ শিবায় ওম নমঃ শিবায় ওম নমঃ শিবায়।)



ছবি : সংগৃহীত

নারী , তুই মুখ বুজে থাক। তুই যত বোবা হতে শিখে যাবি ততই তোর শান্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলিস না । নচেৎ তোর ভাগ্গ্যে জুটবে মার, অত্যাচার। পালিয়ে কোথায় যাবি? তোর যে নিজের কোন ঘর নেই। নারীর নিজের কোন ঘর হয় না। এক হয় শশুর ঘর। আর একটা হয় বাবার ঘর। তাই না? নিজের কষ্টের কথা কোথায় গিয়ে বলবি? কার কাছে বলবি? নিজের কাছের মানুষ গুলোই আবার বুঝিয়ে সুজিয়ে আবার শশুর ঘরে পাঠিয়ে দেবে। শুরু হবে আবার অকথ্য গালিগালাজ, অপমান। 


নারী তুই পড়াশোনা শিখতে চাস? সেখানেও অনেক জায়গায় তোকে মুখ বুজে সহ্য করার ক্ষমতা রাখতে হবে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তোকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ তুই একজন নারী। তোর নরম শরীর টাই অনেক নরপিশাচ এর লোভের প্রসাদ। তারা বয়স জ্ঞান, মা, বোন এর মর্ম বোঝে না। সুযোগ পেলেই কচি শরীর এর উপর হামলে পড়তে পারে। তাই কোন প্রলোভনে পা না দিয়ে মুখ বুজে নিজের লক্ষের দিকে তোকে এগিয়ে চলতে হবে। তোর যখন পড়াশোনা শেখার বয়স তখন তো তুই শিশুই বটে। শিশু সুলভ মনে লজেন্স, ক্যাটবেরি আইস ক্রিম খাওয়ার ইচ্ছা তো থাকবে ই বটে। কিন্তু আবদার যেন যেখানে সেখানে করিস না। সামলে চল। এই সুযোগ ই নরখাদক গুলো নেবে। ললিপপ এর লোভ দেখিয়ে তোর সর্বনাশ করবে। তাই নারী তুই মুখ বুজে থাক। সমজে চল।


নারী তুই স্কুল পাশ করে ভিড় বাসে , ট্রেনে এ চড়ে কলেজ যাবি? ওরে তুই সাবধানে পা ফেলিস। প্রতিটা পদে পদে বিপদ ওৎ পেতে আছে। অনেক সময় অন্যায় দেখলেও মুখ বুজে থাকাটা ও নিজের জন্য সুরক্ষিত এটা মাথায় রাখ। ট্রেনে , বাসে যৌন হেনস্থা অনেক হবে। পাল্টা তর্কে গেলে দেখবি তর্ক বাড়বে। কেউ বলবে অতই যদি অসুবিধা মামনি প্রাইভেট ট্রেনে বাসে উঠতে বাবাকে বলো পার্সোনাল গাড়ি কিনে দিতে। আসলে সমাজ এখন উল্টো চালে চলছে। কেউ ভালোর পাশে থাকে না। সবাই মজা লটে। মজা করে। সমাজটা এখন পুরো বিকৃত হয়ে গেছে। কি করবি বল? বড় হতে গেলে , জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে মুখ বন্ধ করে থাক। দাঁতে দাঁত চিপে পরিস্থিতি র সাথে লড়াই কর। এগিয়ে চল। এ পথ যে কাটায় বিছানো। সব টুকু জেনেই তোকে এগিয়ে চলতে হবে।


নারী তুই চাকরি পেয়েছিস? চাকরি করবি? খুব ভালো খবর। এত দিনের যাত্রা তোর সফল হলো। কষ্ট করে পড়াশোনা করা, কলেজ পড়া। এবার যেন সব কিছু সার্থক হলো। নারী রাও  এখন স্বনির্ভর শীল। নিজে উপার্জন করার ক্ষমতা রাখে। বাবা, মায়ের পাশে দাঁড়ায়। তবু বলবো দিন - কাল ভালো নয় রে। সামলে থাকিস। নিজের ইজ্জত বড় জিনিস। সম্মানের জিনিস। মনের ভুলে কিংবা দুলকি চালে তা বিকিয়ে দিস না। অনেক কষ্ট করে এই মানব জীবন পাওয়া। হেলায় হারাস নি। কেউ যদি তোকে প্রলোভন দেখায় ভালোবাসার, ফাঁদে যেন পা ফেলিস না। রাগ দেখিয়ে নাকচ ও করিস না। দম্ভ দেখাস নি। কারণ তাদের মনের ভিতর অনেক রাগ পুষিয়ে রাখে। তুই রিফিউস করলে যদি ওরা তোর ওপর এসিড ছোড়ে, কিংবা রাস্তায় একা পেয়ে তোর ইজ্জত নিতে চায়? তাই তো বলি কৌশলে বেরিয়ে আসিস। বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করিস। সব জায়গায় মুখ খুলিস না। 


আর শশুর বাড়ী র কথা তো ছেড়েই দিলাম। সেখানে মেয়ে দের কথা বলাই চলে না। মুখ নারলেই উল্টে তাদের বাপের বাড়ি নিয়ে খোটা শুনতে হয়। বাবার আর্থিক ক্ষমতা কম থাকলে তো কথাই নেই।নারী , তুই মুখ বুজে থাক। তুই যত বোবা হতে শিখে যাবি ততই তোর শান্তি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলিস না । নচেৎ তোর ভাগ্গ্যে জুটবে মার, অত্যাচার। পালিয়ে কোথায় যাবি? তোর যে নিজের কোন ঘর নেই। নারীর নিজের কোন ঘর হয় না। এক হয় শশুর ঘর। আর একটা হয় বাবার ঘর। তাই না? নিজের কষ্টের কথা কোথায় গিয়ে বলবি? কার কাছে বলবি? নিজের কাছের মানুষ গুলোই আবার বুঝিয়ে সুজিয়ে আবার শশুর ঘরে পাঠিয়ে দেবে। শুরু হবে আবার অকথ্য গালিগালাজ, অপমান। 


নারী তুই পড়াশোনা শিখতে চাস? সেখানেও অনেক জায়গায় তোকে মুখ বুজে সহ্য করার ক্ষমতা রাখতে হবে। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে তোকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ তুই একজন নারী। তোর নরম শরীর টাই অনেক নরপিশাচ এর লোভের প্রসাদ। তারা বয়স জ্ঞান, মা, বোন এর মর্ম বোঝে না। সুযোগ পেলেই কচি শরীর এর উপর হামলে পড়তে পারে। তাই কোন প্রলোভনে পা না দিয়ে মুখ বুজে নিজের লক্ষের দিকে তোকে এগিয়ে চলতে হবে। তোর যখন পড়াশোনা শেখার বয়স তখন তো তুই শিশুই বটে। শিশু সুলভ মনে লজেন্স, ক্যাটবেরি আইস ক্রিম খাওয়ার ইচ্ছা তো থাকবে ই বটে। কিন্তু আবদার যেন যেখানে সেখানে করিস না। সামলে চল। এই সুযোগ ই নরখাদক গুলো নেবে। ললিপপ এর লোভ দেখিয়ে তোর সর্বনাশ করবে। তাই নারী তুই মুখ বুজে থাক। সমজে চল।


নারী তুই স্কুল পাশ করে ভিড় বাসে , ট্রেনে এ চড়ে কলেজ যাবি? ওরে তুই সাবধানে পা ফেলিস। প্রতিটা পদে পদে বিপদ ওৎ পেতে আছে। অনেক সময় অন্যায় দেখলেও মুখ বুজে থাকাটা ও নিজের জন্য সুরক্ষিত এটা মাথায় রাখ। ট্রেনে , বাসে যৌন হেনস্থা অনেক হবে। পাল্টা তর্কে গেলে দেখবি তর্ক বাড়বে। কেউ বলবে অতই যদি অসুবিধা মামনি প্রাইভেট ট্রেনে বাসে উঠতে বাবাকে বলো পার্সোনাল গাড়ি কিনে দিতে। আসলে সমাজ এখন উল্টো চালে চলছে। কেউ ভালোর পাশে থাকে না। সবাই মজা লটে। মজা করে। সমাজটা এখন পুরো বিকৃত হয়ে গেছে। কি করবি বল? বড় হতে গেলে , জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে মুখ বন্ধ করে থাক। দাঁতে দাঁত চিপে পরিস্থিতি র সাথে লড়াই কর। এগিয়ে চল। এ পথ যে কাটায় বিছানো। সব টুকু জেনেই তোকে এগিয়ে চলতে হবে।


নারী তুই চাকরি পেয়েছিস? চাকরি করবি? খুব ভালো খবর। এত দিনের যাত্রা তোর সফল হলো। কষ্ট করে পড়াশোনা করা, কলেজ পড়া। এবার যেন সব কিছু সার্থক হলো। নারী রাও  এখন স্বনির্ভর শীল। নিজে উপার্জন করার ক্ষমতা রাখে। বাবা, মায়ের পাশে দাঁড়ায়। তবু বলবো দিন - কাল ভালো নয় রে। সামলে থাকিস। নিজের ইজ্জত বড় জিনিস। সম্মানের জিনিস। মনের ভুলে কিংবা দুলকি চালে তা বিকিয়ে দিস না। অনেক কষ্ট করে এই মানব জীবন পাওয়া। হেলায় হারাস নি। কেউ যদি তোকে প্রলোভন দেখায় ভালোবাসার, ফাঁদে যেন পা ফেলিস না। রাগ দেখিয়ে নাকচ ও করিস না। দম্ভ দেখাস নি। কারণ তাদের মনের ভিতর অনেক রাগ পুষিয়ে রাখে। তুই রিফিউস করলে যদি ওরা তোর ওপর এসিড ছোড়ে, কিংবা রাস্তায় একা পেয়ে তোর ইজ্জত নিতে চায়? তাই তো বলি কৌশলে বেরিয়ে আসিস। বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করিস। সব জায়গায় মুখ খুলিস না। 


আর শশুর বাড়ী র কথা তো ছেড়েই দিলাম। সেখানে মেয়ে দের কথা বলাই চলে না। মুখ নারলেই উল্টে তাদের বাপের বাড়ি নিয়ে খোটা শুনতে হয়। বাবার আর্থিক ক্ষমতা কম থাকলে তো কথাই নেই। সেই বাবার মেয়ের কি অবস্থা হবে। মুখ বুজে সব কাজ করে যেতে হবে। তবুও পান থেকে চুন খসলেই নানা কথা শুনতে হবে। তবু বলবো মুখ বুজে থাকাই শ্রেয়। তবু তো প্রাণ টা থাকবে।


আমি আজ শুধু নেগেটিভ কথা বললাম সবাই ভাববে। কিন্তু দেখুন তো সত্যি ই তো কিচু কিছু জায়গায় মেয়েদের মুখ বুজে থাকলে অনেক সময় প্রাণে বেঁচে যায় তাই না। এটাকে মুখ বুজে থাকা ঠিক বলে না। এটাকে বলে একপ্রকার বাঁচার কৌশল। আমরা মেয়েরা আজীবন এইভাবেই বেঁচে থাকি। ছলে, বলে , কৌশলে। 


আজকের ব্লগ টা জানি ছোট হয়ে গেল। তবু এত টুকুই আগামী কাল ফিরবো। নতুন ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগ নিয়ে অনেকের মতে বিরোধ থাকতে পারে। আমার যত টুকু মনে হয়েছে বললাম। আপনারাও আপনাদের যুক্তিসংগত মতামত দিতে পারেন। আমি পড়বো। আশায় রইলাম। শুভ রাত্রি। 

সেই বাবার মেয়ের কি অবস্থা হবে। মুখ বুজে সব কাজ করে যেতে হবে। তবুও পান থেকে চুন খসলেই নানা কথা শুনতে হবে। তবু বলবো মুখ বুজে থাকাই শ্রেয়। তবু তো প্রাণ টা থাকবে।


আমি আজ শুধু নেগেটিভ কথা বললাম সবাই ভাববে। কিন্তু দেখুন তো সত্যি ই তো কিচু কিছু জায়গায় মেয়েদের মুখ বুজে থাকলে অনেক সময় প্রাণে বেঁচে যায় তাই না। এটাকে মুখ বুজে থাকা ঠিক বলে না। এটাকে বলে একপ্রকার বাঁচার কৌশল। আমরা মেয়েরা আজীবন এইভাবেই বেঁচে থাকি। ছলে, বলে , কৌশলে। 


আজকের ব্লগ টা জানি ছোট হয়ে গেল। তবু এত টুকুই আগামী কাল ফিরবো। নতুন ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগ নিয়ে অনেকের মতে বিরোধ থাকতে পারে। আমার যত টুকু মনে হয়েছে বললাম। আপনারাও আপনাদের যুক্তিসংগত মতামত দিতে পারেন। আমি পড়বো। আশায় রইলাম। শুভ রাত্রি। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ