(হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ ... রাধে রাধে... ওম নমঃ শিবায়)
( প্রিয়জন এর অবহেলায় সুন্দর মন ও কুৎসিত হয়ে যায়)
আজকের তারিখ ২৮ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার।
বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। জানলার ধারে বসে আছি, বাতাসে হালকা শীতের গন্ধ। আর মনের ভেতর এক অদ্ভুত নীরবতা।
আমরা প্রতিদিন কত কথা বলি, কত হাসি, কত ছবি তুলি—কিন্তু মনের গভীরে জমে থাকা সেই “অবলা শব্দগুলো” কাউকে কি বলি?
না, বলি না।
কারণ ভয় পাই—হয়তো কেউ বুঝবে না।
আমি জানি,
প্রতিটা মানুষের ভেতরে এমন একটা ঘর থাকে, যেখানে আলো ঢোকে খুব কম। বাইরে যত আলো থাকুক, মন কখনও কখনও তবু ভারী হয়ে থাকে। সেই ভারের ওজন মাপা যায় না। মুখে হাসি, চোখে ক্লান্তি, ভেতরে একরাশ শূন্যতা।
( ঠিক বললাম তো?)
মনের ভার আসলে কোনো এক দিনের নয়—
এটা ধীরে ধীরে জমে ওঠা মেঘের মতো।
ছোট ছোট হতাশা, না-পাওয়ার কষ্ট, কারও অবহেলা, নিজের ওপর ক্ষোভ… সব মিলে একটা নরম ঝড় তৈরি করে।
কখনও মনে হয়—সব ফেলে দিয়ে পালিয়ে যাই।
কিন্তু পালালেও কি মনকে ফেলা যায়? আপনারাই বলুন পাঠক বন্ধু? আপনাদেরও কি এইরকম অনুভূতি কখনো কখনো হয়?
নীরবতারও এক ভাষা আছে
একদিন কেউ প্রশ্ন করেছিল— “তুমি এত চুপ কেন?”
হেসেছিলাম।
কারণ আমি জানি, চুপ থাকা মানে অনেক সময় নিজের সাথে কথোপকথন।
মনের ভিতর এক অদ্ভুত আলো-অন্ধকার খেলা চলে, যা কাউকে বোঝানো যায় না।
যে মানুষ হাসিমুখে নিজের যন্ত্রণা লুকিয়ে রাখে, সে কখনও দুর্বল নয়— সে অসীম শক্তিশালী।
কারণ সে জানে—কাঁদলে পৃথিবী থামবে না। কি ঠিক বললাম তো পাঠক বন্ধুরা? আমার সাথে একমত হলে কমেন্ট এ জানাতে ভুলবেন না।
মনের ভার ঝেড়ে ফেলার উপায় নেই, আছে বোঝার চেষ্টা
আমরা চেষ্টা করি মনকে বোঝাতে— “সব ঠিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু ভেতরের কণ্ঠস্বর বলে— “ঠিক তো কিছুই হচ্ছে না।”
এই দুইয়ের টানাপোড়েনে দিন কেটে যায়।
আমি শিখেছি—মনকে বোঝাতে হয়, জোর করে নয়, আলতো করে।
যেমন সকালে নিজের গালটা ছুঁয়ে বলো, “তুই ভালো আছিস, এটাই যথেষ্ট।” নিজেকে নিজেই বাহবা দিতে হয়। আজকাল আর কেউ সুন্দর সুন্দর মনভোলানো কথা বলে না। সবাই যেন কেমন ব্যস্ত রিল লাইফ নিয়ে।
( কি মর্মান্তিক কঠিন সত্য এই কথা...)
নিজের সাথে থাকা শেখা
এক সময় ভাবতাম, পাশে কেউ থাকলেই মনের ভার কমে।
কিন্তু না, একদিন বুঝলাম—সবচেয়ে বড় সান্ত্বনা নিজের ভেতরেই লুকিয়ে আছে।
যেদিন নিজেকে ক্ষমা করতে পারি,
যেদিন নিজের অপূর্ণতাকে মেনে নিতে পারি—
সেদিনই একটু হালকা লাগে।
জীবনের প্রতিটি ভাঙন, প্রতিটি কষ্ট একটা শিক্ষা।
যা মনকে পরিণত করে, চোখকে শান্ত করে। তবে এই বার বার জীবনের কাছ থেকে ঠেক পাওয়া আর তার থেকে পাওয়া শিক্ষার কবে যে শেষ হবে কি জানি...
কখনও কখনও কান্নাই ওষুধ
কাঁদলে মন দুর্বল হয় না, বরং পরিষ্কার হয়।
বৃষ্টির মতোই কান্না মন থেকে ধুলো মুছে দেয়।
তাই আমি কাঁদি। নিঃশব্দে, অন্ধকার ঘরে, নিজের কাছে।
তারপর আয়নায় তাকিয়ে হেসে ফেলি—
“এই যে, তুই আবার টিকে গেলি!” কি অদ্ভুত আমাদের জীবন তাই না???
শেষ কথাগুলো
মনের ভার ফেলার আসলে কোনো নির্দিষ্ট পথ নেই।
কখনও এক কাপ কফি পাশে নিয়ে লেখা শুরু করো,
কখনও গাছের পাতায় হাত বুলোও,
কখনও ভোরবেলায় ছাদে গিয়ে একবার সূর্য ওঠা দেখো।
তখন বুঝবে—
সব ভার একসময় হালকা হয়ে যায়।
কারণ মন কখনও চিরকাল ভারী থাকে না,
যদি আমরা তাকে একটু ভালোবাসা দিই।
(হরে কৃষ্ণ... রাধে রাধে...)
আমি তো এই ভাবেই ভালো আছি। কখনো ছন্দে হাসি। কখনো কষ্টে কাঁদি, আবার কখনো কিছুই না নীরব থাকি। আপন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখি।
বোধ হয় ....
“যে হাসতে হাসতে নিজের কান্না লুকোতে জানে, সে-ই জীবনের সবচেয়ে সাহসী মানুষ।”
আজকের ব্লগ এই পর্যন্ত ই । কেমন লাগলো? জানাতে ভুলবেন না। আমি আপনাদের একটা কমেন্ট এর জন্য অধীর আগ্রহের সহিত অপেক্ষা করে থাকি। আমার লেখা গুলো ভালো লাগলে আমি খুব খুশি হতাম। এ লেখা আমার জীবনের ডায়েরি। সারা জীবন ধরে লিখে যাব। এ গুলোই আমার স্মৃতি হয়ে থাকবে। আজ তবে আসি। শুভ রাত্রি।



0 মন্তব্যসমূহ