নিজেকে নিজের কাছে খুব মূল্যবান থাকতে হবে।

 


পৃথিবীতে দুর্বল মানুষ দের কোনো জায়গা নেই। নরম স্বভাবের মানুষ দের সবাই সুযোগে কাজে লাগাতে চায়। আর নিরীহ মানুষটি কাজটি নির্দ্বিধায় করে। এর বিনিময়ে তাদের কিছুই দেওয়া হয় না। তাদের নূন্যতম প্রাপ্য সম্মানটুকু ও নয়। কখনো কখনো তার এই কাজটি র জন্য অন্য কাউকে পুরস্কৃত করা হয়। আর আসল মানুষ টি চিরকালই প্রশংসার আড়ালে থেকে যায়। না আছে তাদের নিজের অধিকার চাওয়ার জেদ, না আছে তাদের হকটুকু ছিনিয়ে নেয়ার ইচ্ছা। দুনিয়া সব সময় এদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। খাটিয়ে নেয় এদের দিয়ে। আর মুনাফা লটে তারা। দিনের পর দিন এদের মাথায় যাকে বলে কাঁঠাল ভেঙে খায়। তাই অতিরিক্ত ভালো মানুষ রাই জীবনে বার বার ঠকে। ব্যর্থ হয়। দুঃখ পায় বেশি। 




নিরীহ মানুষেরা অপমান গুলোও মুখ বুজে সয়ে নেয়। তাদেরকে টোন টিটকারি কেটে কথা বলতে অনেকেই পছন্দ করে। কারণ তারা জানে একে যতই যাই বলা হোক না কেন এ সবটাই সয়ে নেবে। এরা অপমান গুলো এত টাই হাসি মুখে বরণ করে নেয় , যে অনেকে ভাবে আসলেই মানুষটা খুব বোকা। একে এত কথা শোনানো হয়, ব্যাঙ্গ করা হয় তবু তো কোনোদিন কোনো প্রতিবাদ করে না। আসলে কিন্তু তা নয়। এরা সব টুকু অপমান উপলদ্ধি করতে পারে। অন্তরে বহন করে নিতে পারে। সইতে পারে। ঝগড়া, অশান্তি কে এড়িয়ে চলতে ভালোবাসে। এরা চাইলেই মক্কম জবাব দিতে পারে। কিন্তু তর্ক করে নিজের মূল্যবান সময় টুকু নষ্ট করতে চায় না। শেষ করে দিতে চায় না কোনো সম্পর্ক। তাই তারা অন্যায় হচ্ছে দেখেও সয়ে নেয়। এদেরকাছে কর্ম টাই মূল উদ্দেশ্য। বাজে সময় নষ্ট করে পর নিন্দা পরচর্চা করতে এরা নারাজ। 


(আমার নিজের হাতে তৈরি এই রুমাল টা কেউ কিনতে চাইলে কমেন্ট বক্সে যোগাযোগ করুন)


কিন্তু বর্তমান সমাজে দাঁড়িয়ে নিজেকে এত টাও সকলের সামনে সস্তা করে দেওয়া একদম উচিত নয়। কোনো কোনো জবাবের প্রত্যুত্তর সুন্দর ভাবে দেওয়া উচিত। যেন আঘাত টা তার বুকে এসে থাপ্পড় মারে। তাহলে আর অন্য জনকে সবসময় ছোট ভাবতেও পরের বার থেকে অন্তত দুবার ভাববে। যে যেমন তার সাথে তেমন ই ব্যবহার করা উচিত। আপনার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কোন দিন নাহলে আপনাকে দিয়েই কোনো অসৎ কাজ করিয়ে নেবে। আপনি টের পর্যন্ত পাবেন না। উল্টে আপনি ফেঁসে যেতে পারেন। সমাজে এখন এইরকম মুখোশ ধারী লোকের অভাব নেই। ওত পেতেই আছে সরল মানুষ গুলোকে টুপি পরিয়ে তাকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর কিংবা তাকে ফাঁদে ফেলার। তাই ছোট থেকেই বাচ্ছাদের পড়ানো, নাচ, গান চর্চার পাশাপাশি বুদ্ধি খোলা রাখারও পরার্মশ দেওয়া হচ্ছে। এখন ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা বাইরে বেরোচ্ছে। এদের নিজেদের ও খুব সাবধানে চলতে হবে। বাইরে কোনো প্রলোভনে যেন পা না দিয়ে ফেলে সজাগ থাকতে হবে সর্বদা। 


আর নিজেকে সর্বদা স্পষ্টবাদী হতে হবে। নির্ভীক হতে হবে।জীবনে কনফিডেন্স হারালে হবে না। না হলেইই আপনি মনের দিক থেকে ভীতু হয়ে পড়বেন। আর এগোতে পারবেন না সামনের দিকে। কিছু লোক আপনার সমালোচনা করবে, আপনার নিন্দে করবে। তা করুক। নিজের কাছে নিজের একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করবে। তুমি যদি দিন শেষে মনে করো তুমি ঠিক , তাহলে তুমি নিজের কাছে নিজে জিতে গেছো। এটাই আগামী কালের জন্য আবার ইনস্পিরিশন। আজকের পজিটিভ কাজের সফলতাই আগামী কালের সূচনার শক্তি। 


মনে রাখবেন নিজের সাথে কোনো দিন আপোষ করে চলবেন না।  নাহলে আপনাকে অন্যের দাসত্বে চলতে হবে। আর দাসত্ব ময় জীবন খুব কষ্টকর। নিজের একটা পরিচয় গড়ে তোলা খুব জরুরি। সেদিকে মন দিন। নিজের পায়ের তলার মাটিটা শক্ত থাকলে কেউই আপনাকে টলাতে পারবে না। তাই নিজের জন্য নিজে সময় থাকতে খাটুন। অহেতুক অন্যের জন্য না খেটে। মনে রাখবেন ১০০ টার মধ্যে আপনি যদি লোকের ৯৯ টা কাজ ঠিক করেন। বাকি একটা কাজ ভুল করেন তাহলে ঐ একটা ভুল করার জন্যই আপনাকে কথা শুনতে হবে। সো নিজের কাজ নিয়ে থাকুন। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাঁচুন। ভালো থাকুন।।


নিজেকে নিজের কাছে খুব মূল্যবান থাকতে হবে। প্রতিটা দিন নিজের কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। একটু একটু করে রোজ ই নতুন কিছু আমাদের শিখতে হবে। তবেই আমরা বর্তমান সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো। নিজেকে কখনো ছোট মনে করলে চলবে না। নিজেকে নিজেই যদি অন্য কারো কাছে খুব সস্তার ভাবে তুলে ধরি লোক তো তার সুযোগ নেবেই। আমরা জীবনের চলার পথে অনেক কিছুই তো জানি না। কিন্তু সেইসব এর জন্য লজ্জা না পেয়ে, সংকুচিত না হয়ে সে বিষয় টা জেনে নিতে হবে। শিখে নিতে হবে। সবাই যে সবটা জানে তা তো নয়। আপনি যেটা জানেন হয়তো সেটা অন্য কেউ আবার জানে না। তাকেও আপনি হেল্প করবেন। এইভাবেই মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তবেই বৃহত্তর কোন কাজ সুস্থ ভাবে সফল হবে। 


সমাপ্ত

নিজেকে নিয়ে আরো কিছু কিছু কথা আমাদের এগিয়ে চলার জন্য খুব হেল্পফুল।


নিজের থেকে আপনার জীবনে অন্য কে বেশি গুরুত্ব দেবেন না। সে আপনার যত কাছের মানুষ ই হোক না কেন। যত প্রিয় মানুষই হোক না কেন। আপনাকে ঘিরে থাকা মানুষ জনদের প্রতি আপনার যত দায় দায়িত্ব আছে তা পালন করুন। তাতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু সবাই এর আগে নিজের শরীরের যত্ন নিন, নিজের মনের যত্ন নিন। 


কখনো চিৎকার করে তর্ক করে নিজের সত্য টাকে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন না। আপনি যদি সৎ হন, আপনার কর্ম যদি ঠিক থাকে তা আপনা থেকেই প্রকাশ পাবে। আপনি শুধু সৎ পথে পরিশ্রম করুন। যারা আপনাকে আপনার কাজের ত্রুটি ধরছিল তারাই একদিন আপনাকে গুরুত্ব দেবে। 


নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করুন। অন্যের দ্বারা নিজেকে চালিত করবেন না। এতে অন্যের ওপর দিনের পর দিন নির্ভরশীল হয়ে উঠবেন। আর নিজের প্রতি আস্থা হারাবেন। নিজের প্রতি কনফিডেন্স আনুন। কাজ করুন। 


সবাই এর সাথে পরিচয় রাখুন। বন্ধুত্ব রাখুন। কিন্তু বিশ্বাস টা রাখুন শুধু নিজের ওপর।


প্রতি টা সকাল তৈরি হয় নতুন কিছুর শেখার তাগিদ নিয়ে। আমাদের উচিত প্রতিটা দিন কেই কাজে লাগানোর। আর প্রতিটা সন্ধ্যায়ই আসে কিছু নতুন শেখার অভিজ্ঞতা নেই। আমাদের প্রত্যেক এরই উচিত সেই অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে জীবনে নতুন কিছু করার। 


জীবনে চলার পথে সঙ্গ থাকা খুব প্রয়োজন। কিন্তু তারা হয় যেন আপনার সত্যি সত্যি শুভাকাঙ্খী। কারণ জীবনে চলার পথে যারা শুধু মাত্র আপনার ভুল ধরবে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করুন। আর যারা আপনার ভুলটা ধরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে আপনার ভুলটার সংশোধন করিয়ে দেবেন তাদের সহচর্চায় থাকার চেষ্টা করুন। তারা আপনার উন্নতিতে আশীর্বাদ স্বরূপ। 

 



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ