- ইচ্ছে না থাকলে কাউকে ভালোবাসবেন না। মনের , বা কোনো শারীরিক লালসা মেটানোর জন্য কাউকে দিনের পর দিন কোনভেস্ট করে প্রেমের জালে জড়াবেন না। বিয়ে করার সামর্থ্য না থাকলে শুধু শুধু তাকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখা বেন না। প্রত্যেকেই নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে মনে মনে অনেক স্বপ্ন দেখেন। সুখের সংসার গড়ার, আরো কত কি...সেই স্বপ্ন ভাঙার অধিকার কারো নেই। মানুষের মন নিয়ে, ইমোশন নিয়ে শরীর নিয়ে যারা খেলা করে তারা আর যাই হোক মানুষের পর্যায়ে পরে না।
যে প্রকৃতই ভালোবাসবে সে কখনোই তার সঙ্গী কে অর্ধেক রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যাবে না। যে ভালোবাসা মাঝ পথে ছেড়ে চলে যায় তা আসলে ভালোবাসাই ছিল না। তা ছিল ক্ষনিকের মোহ মাত্র। তাকে প্রতারক ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। তাই যারা টাইম পাস করার জন্য একটা সম্পকে থাকতে চায় তাদের বলি অন্যকে ঠকিয়ে চিরদিন সুখে কেউ থাকতে পারে নি। তুমি ও পারবে না। তার চোখের জলের দাম তোমাকেও একদিন না একদিন দিতে হবে। তুমিও একটা সময়ের পর চোখের জলে ভাসবে অন্য কারো কাছে প্রতারিত হয়ে।
যদি সত্যিই কাউকে ভালোবেসে থাকো, তাকে সারাজীবন আগলে রেখো। কোনো পরিস্থিতি তেই তাকে ছেড়ে দেবে না। পরিবার কে মানিয়ে নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিবাহ করো। সুখে থেকো।
কিন্তু মিথ্যে ভাবে ভালোবাসার জালে জড়িয়ে কারো জীবনটাকে অন্ধকারে ভরিয়ে দিও না। ভালোবাসা খুব পবিত্র একটা সম্পর্ক তাকে সন্মান করো, ভালোবাসো, যত্নে রেখো, শ্রদ্ধা কোরো।
সমাপ্ত
যাকে ভালোবেসে তুমি দিনের পর দিন অপমানিত হয়েছ, সমাজের নানা কু কথা শুনেছো, পারিপার্শ্বিক অনেক কষ্ট সহ্য করেছ, একটা সময়ের পর দেখবে সেও তোমায় ছেড়ে দিয়েছে নানান অজুহাত দেখিয়ে। একটা মানুষকে কি অসম্ভব রকমের ভালোবাসলে সকলের আড়ালে রেখেও সেই ভালোবাসার সম্পককে বাঁচিয়ে রাখা যায় একমাত্র তারাই জানে যারা সত্যিকারে ভালোবাসে। আমি সেই প্রকৃত প্রেমিক/ প্রেমিকা দের উদ্যেশ্যে প্রার্থনা করি, তোমার এত টা ভালোবাসা, এতটা আত্মত্যাগ এর পরেও যে তোমায় ছেড়ে চলে গেছে তাকে ভুলে যাওয়ার মতো শক্তি যেন তোমায় সৃষ্টিকর্তা দিক। আবার কোনো এক ভালোবাসায় তোমায় ভরিয়ে দিক। সেই ক্ষত গুলো যেন তোমার মিলিয়ে যাক। হাজার হাজার পুষ্প বৃষ্টির মতো ভালোবাসা ঝরে পড়ুক তোমার জীবনে।
সমাপ্ত
অভিমান সেই মানুষটির ওপর ই দেখাও যে মানুষটি অপনার অভিমানের মূল্য বোঝে। আপনার অভিমানের মান রাখতে পারে। অভিমান একটা আদুরে শব্দ। এখানে অনেকটা যত্নের, ভালোবাসার খামতি থাকে। তা জমতে জমতে অভিমানে পরিণত হয়। অভিমান মানে একটা সুপ্ত বাসনা। অধিক ভালোবাসা পাওয়ার বাহানা, অধিক যত্ন পাওয়ার বাসনা। অনেকটা প্রশংসা শোনার ইচ্ছা। অভিমান মানুষ নিজের মানুষ টার উপরেই করে। তাই অভিমান হলে তাকে আরো বেশি করে আগলে রেখো, তার শূন্য ভালোবাসার জায়গা গুলো যত্ন, ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিন। ভালোবাসা থাকলে অভিমান তো থাকবেই। মান অভিমান নিয়েই যে ভালোবাসা গড়া।
সমাপ্ত
নম্র ভাবে কথা গুলো মানুষ গুলোর মধ্যে একটা সুন্দর মন আছে। তারা কাউকেই আঘাত দিয়ে কথা বলে না। কাউকে কোনো পরিস্থিতিতে টোন টিটকারি কেটে ছোট করে না। এইসকল মানুষ গুলো খুব বিনয়ী হয়। এরা অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়ে থাকেন। অপ্রিয় সত্য কথা বলে না। অন্য ব্যক্তি দের করা অপমানের জবাব ও তারা খুব বিনয়ের সাথে ধারালো কথার মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। এনারা ঝগড়া, অশান্তি একদম পছন্দ করেন না । এরা খুব ঠান্ডা মেজাজের ব্যক্তি হন। মানুষের সৌন্দর্য তার পোশাক, আশাকে নয়, তার ব্যবহারই তার পরিচয়। তাই আমাদের উচিত ছোট থেকেই বিনয়ী হওয়ার। সুন্দর ভাবে কথা বলা মানুষ গুলো খুব সহজেই মানুষের মন জয় করে নিতে পারে। এদের মানুষ যদি দুর্বল মনে করেন তাহলে ভুল ভাববেন। আসলে এনারাই প্রকৃত শিক্ষিত , মার্জিত মানুষ।
সমাপ্ত
যারা ছিল তারা আর জীবনে কেউ নেই। অথচ একটা সময় সারাটা দিন আমরা তাদের নিয়েই কত ভাবতাম। এই ধরুন না, আমাদের স্কুল জীবনের কথা। একটা সময় আমরা স্কুলের বন্ধুদের সাথে কত মজার মজার মুহূর্ত কাটিয়েছি। দিনের পর দিন তাদের সাথে আমাদের কত সুখের স্মৃতি জমিয়েছি। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে তারা সবাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। কেউ কেউ অন্য কলেজে চলে গেছে। কেউ অন্য শহরে চলে গেছে। আবার আমরা কলেজ লাইফে যাদের পেয়েছি তাদের সাথেই আমার নিবিড় সম্পর্কে জড়িয়েছি। আবার সময়ের নিয়মে তাদের সাথেও আমাদের যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গেছে। এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম। সময়ের পরিহাস । যারা ছিল একটা সময়ের পর তারা চলে যায়। আবার যারা আসে বা আসবে তারাও একটা সময়ের পর চলে যাবে। কেউই আপন নয়। জীবন তরঙ্গের কয়েকটা দিনের কতগুলো মুহূর্তের অতিথি মাত্র।
সমাপ্ত
কিছু কিছু মানুষ আছে যারা একটা সম্পর্ক কে বাঁচিয়ে রাখতে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করে। অনেক কিছু মানিয়ে নেয়। তবু ভালোবাসার মানুষকে ছাড়তে চায় না কোনো শর্তেই। নিজের সব টুকু সুখ, ভালোলাগা কে জলাঞ্জলি দিয়ে সে শুধু তার ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখতে চায়। তার মন পেতে চায়। তাই তার মনের মতো করে নিজেকে গড়ে নিতে চায়।
যারা প্রকৃতই ভালোবাসে তারা নিজেকে ভালোবাসার মানুষটির পছন্দ মতো নিজেকে পরিবর্তন করে দেয়। নিজেকে অন্যের মতো করে গড়ে তোলা খবুই কষ্টকর ব্যাপার। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটি র থেকে সবটুকু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য তারা সব কিছু ত্যাগ করতে পারে।
হাজার কষ্ট, যন্ত্রনা সহ্য করেও চায় সে সম্পর্ক টাকে টিকিয়ে রাখতে। নিজের সর্বস্ব টুকু বিলিয়ে দিয়ে ভালোবাসার মানুষটিকে আগলে রাখতে চায়। যারা সম্পর্কে র গুরুত্ব দেয় তারা হাজার যন্ত্রনা কষ্ট লুকিয়েও ভালোবাসার মানুষটি কে ভালো রাখতে চায়। তার চাওয়া, পাওয়ার মর্যাদা দেয়। নিজের অনুভূতি, না পাওয়ার বেদনা গুলো ভুলেও ভালোবাসার মানুষটির জন্য সব করে। তার পছন্দ, অপছন্দ বিষয়ে সতত সজাগ। ভালোবাসার মানুষটি র কাছ থেকে শত লাঞ্ছনা সত্ত্বেও সব কিছু মুখ বুজে সয়ে যায়। নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবেসে।
কিন্তু ভাগ্য হয়তো এইরকমই যার ভালোবাসা যত নিখুঁত,যত সে ভালোবাসার মানুষটির প্রতি যত্নবান সেই তত নিগ্রহের শিকার হয় ভালোবাসার মানুষটির থেকে। দিনের পর দিন হাজার স্যাক্রিফাইস, কম্প্রোমাইজ করা সত্ত্বেও যখন আর সম্পর্ক টাকে সে বাঁচিয়ে রাখতে পারে না সবচেয়ে বেশি কষ্ট সেই পায়। মনে মনে ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়ে । মানসিক ভাবে বিপযস্ত হয়ে পড়ে। বাঁচার আশাটাই তার মরে যায়। প্রাণহীন জীবন্ত শরীর নিয়ে শুধু মাত্র বেঁচে থাকে।
সমাপ্ত
জানতো , তোমার কাছ থেকে আমার একটা চাহিদা ছিল। সে চাহিদাটা অনেক বড়। তুমি চাইলেই পারতে আমার চাহিদা পূরণ করতে। কিন্তু না , এ চাহিদা কোনো অর্থ দিয়ে পূরণ করার নয়। এই চাহিদা পূরণ করতে হলে তোমাকেও আমার মতো সমান মনের অধিকারী হতে হবে। আমার চাহিদা যে বিশাল। এটা কোনো অর্থ দিয়ে কেউ কিনতে পারে নি আজ পর্যন্ত। আমার চাহিদা এটাই - আমি তোমায় যতটা মন, প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি তুমিও আমায় সেইরকম মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসবে। জানি আমার চাহিদা পূরণ হওয়ার নয়। তবুও বার বার একই দাবি নিয়ে তোমার মনের দরবারে নত হয়ে দাঁড়াতে চাই। ভালোবাসতে চাই। আমার চাহিদা মেটাতে চাই। আমি বারে বারে ব্যর্থ হই। হেরে যাই। আবার ভালোবাসি। আজীবন ভালোবাসি। চাহিদারা আবার পুনর্জন্ম নেয়। আবার একই কাজ করে চলে নিরন্তন।
সমাপ্ত
0 মন্তব্যসমূহ