সৌন্দর্য্য হলো একধরণের শক্তি। যা মানুষের মনে আনন্দের সঞ্চার ঘটায়। ক্ষমতার উন্নয়নে সহয়তা করে। মানুষকে চিরযৌবন রাখে

 




প্রতিটি মানুষরই নিজস্ব কিছু সৌন্দর্য আছে। অনেকেই বলে মেয়ে মানুষ কুড়ি তেই বুড়ি। আসলে কথাটা ঠিক না। মানুষের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে তার গতানুগতিক জীবীনধারায়। তার নিত্য নৈমিত্তিক জীবন ধারা যদি খুব সরল হয় , চাপ মুক্ত থাকে সেই মানুষ টাকে বাইরে থেকে প্রানছল লাগে। স্বভাবতই তাকে অল্প বয়সী মনে হয়। ও গ্ল্যামারাস লাগে। মনে সুখ শান্তি থাকলে চেহারায় লাবণ্য আপনিই ফুটে উঠবে। কিন্তু নিজেকে চাপ মুক্ত রাখার জন্য অবশ্যই কঠোর ডিসিপ্লিন মেন্টেন করা উচিত। আজকাল কার জেনারেশন এ মানুষ ভীষণ ভীষণ ব্যস্ত। কাজের চাপ প্রচুর। তাই অতিরিক্ত চাপের ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি শরীর এ। আজকাল কার ছেলে মেয়েদের অল্প বয়সেই চুল পেকে যাচ্ছে। মুখে ফাইন লাইন্স চলে আসছে। দাগ পড়ে যাচ্ছে। এর জন্য সমান ভাবে দায়ী পলুউশন। মানে দূষণ। আমাদের নিজেদের ফিট রাখার জন্য ও ত্বকের যত্ন রাখার জন্য নিয়মিত সময় করে ব্যায়াম , যোগাসন করা উচিত। প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া উচিত। ফল, সিজনের শাক সবজি বেশি খাওয়া উচিত। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় জিনিস পরিমানে কম খাওয়া দরকার। তেল মশলা যতটা পারা যায় কম খাওয়া উচিত। নুন এর পরিমাণ কম করা উচিত। এবং চিনি তো একদম মারাত্মক জিনিস। এটিকে পুরো পুরী বর্জন করা উচিত। 


তাহলে আমাদের শরীর ঠিক থাকবে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার রিসেন্ট নাইট টাইম স্কিন এন্ড হেয়ার কেয়ার রুটিন শেয়ার করবো।


আমি আগেই বলেছি আমি বেশির ভাগ ই ঘরোয়া উপাদান দিয়ে স্কিন কেয়ার করি। এতে আমার স্কিন ভালো ই আছে। তবে আমি এইগুলো নিজে এক্সপেরিমেন্ট করে করি না। বড় বড় ইউটিউব আর দের ভিডিও দেখে করি। এবং অনেস্ট লি বলছি এতে আমি ভালো আছি। আমার ত্বক ভালো আছে। আপনারা তো আমার ছবি দেখেছেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে আজকের নাইট টাইম স্কিন কেয়ার এ রুটিন টা বলি।


আমার নাইট টাইম স্কিন কেয়ার খুবই সোজা। এটা যে কেউ ইউস  করতে পারবে। 

Diy face wash

( মুসুর ডাল ও গোলাপজল এর ফেসপ্যাক) 

ফেস ওয়াশ : 

ফেস ওয়াশ এর জন্য আমি আমি মুসুর ডাল ব্যবহার করি। মুসুর ডাল গুঁড়ো করে রেখে দিই একটা কৌটো তে। এবার এক চামচ মুসুর ডাল গুড়ি ও রোজ ওয়াটার মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিই।

এটা খুব ভালো একটা প্রাকৃতিক ফেসওয়াস। এতে সান ট্যান ও রিমুভ হয়ে যায়। আর মুসুর ডাল স্কিন কে দ্রুত ফর্সা করতে খুবই উপকারী। আমার তো এইসব ঘরোয়া টোটকা খুব কাজে দেয়। আমি একেবারে অনেকটা মুসুর ডাল গুঁড়ো করে রাখি। এই ভাবেই ফেস ওয়াশ করি। গোলাপ জল ছাড়াও দুধ দিয়েও মুসুর ডাল এর গুঁড়ো মিশিয়ে ফেস ওয়াশ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ন্যাচারাল স্ক্রাবার এর কাজও করে। তাই আলাদা ভাবে স্ক্রাব দরকার পড়ে না।


টোনিং

টোনিং এর জন্য আমি গোলাপ জল ব্যবহার করি। তাছাড়া চাল ভেজান জল টোনার হিসাবে খুব ভালো। এটাও আমি ব্যবহার করি। স্কিন হোয়াইট নিং এ খুব কার্যকরী। 

একমুঠো চাল ভালো করে ধুয়ে ওভার নাইট জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন জল টা ছেঁকে নিতে হবে। এই জল টাই টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে হবে। এটি একসপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। 


( গ্লিসারিন ও এলোভেরা জেল এর যুগল বন্দি)

ময়শ্চারাইজার : 

ময়শ্চারাইজার এর জন্য আমি এলোভেরা জেল ও গ্লিসারিন ব্যবহার করি। হাতে অল্প এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে তিন চার ফোটা গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে মাখি। স্কিন দারুন নরম থাকে। গ্লিসারিন আর এলোভেরা জেল দুটো ই ত্বকের জন্য খুব উপকারী। 


( এটা হিমালয়া কোম্পানি র লিপ বাম। খুব ভালো । ঠোঁট খুব নরম থাকে। ) 

ঠোঁটের যত্ন : ☺️💐

শুধু মুখের যত্নই যথেষ্ট নয় ।এর সাথে ঠোঁটের যত্ন ও খুব জরুরি। নাহলে ঠোঁট ড্রাই হয়ে যেতে পারে। ঠোঁট কালো রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই আমি প্রতিদিন রাতে এই লিপ বাম টা ব্যবহার করি।


 ( বায়োটিক হেয়ার সিরাম )



চুলের যত্ন এ এইটুকুই আমার সম্বল : 

আমি চুলের যত্ন সেইভাবে নিই  না। আমি শুধু বায়োটিক এর হেয়ার সিরাম টা ব্যবহার করি। এই সিরাম টা স্ক্যাল্পে লাগানো যায়। ম্যাসাজ করতে হয় হালকা। এতে চুল এর গ্রোথ হয়। চুল টা নরম সিল্কি ও থাকে।


সুতরাং বাইরের জিনিস না ব্যবহার করে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করুন। এবং সুস্হ থাকুন। 

ধন্যবাদ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ