শুভ সন্ধ্যা বন্ধুরা। আমি এই ব্লগ টা যখন লিখতে বসলাম তখন বাজে সন্ধ্যা ৮ টা ১০মিনিট। তাই শুভ সন্ধ্যা বললাম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি আছি মোটামুটি। আজ মন টা একটু বিষণ্ন। সংসারী মানুষ আমি। মান অভিমান তো কোনো কোনো দিন হতেই পারে নাকি? এই নিয়েই চলছে দিব্বি। আজকে মনটা যেহেতু একটু বিষন্ন তাই একটু এই নিয়ে লিখে ফেললাম। আমার সাথে আপনারাও একমত কিনা আমার ব্লগ টা পড়ে দেখুন।
প্রিয়জনদের কাছ থেকে আমরা প্রতিনিয়ত আঘাত পেতে পেতে এখন শক্ত হয়ে গেছি। তাই জীবনের চলার পথে কে থাকল, কিংবা কে আঘাত দিয়ে নিজের স্বার্থ বুঝেকেটে পরলো আলাদা করে সেইসব নিয়ে আর চিন্তা করি না। এই কষ্টকর পরিস্হিতি গুলো মনে আলাদা করে আর অনুভূতি র সঞ্চার করে না।
এখন সময়ের কালপ্রবাহে সবই সয়ে গেছে। এখন এইসব বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর সাথে ক্রমশ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।
কারণ একটাই----
আমার অভিমান, কষ্ট, চোখের জলের গভীরতা বোঝার ক্ষমতা কারো নেই।
তাই থেমে গেছি, শান্ত হয়ে গেছি নিজে থেকেই। এখন আর অহেতুক নিজের দাবি নিয়ে প্রিয়জনের মুখোমুখি দাঁড়াই না। চিৎকার করি না। অন্যায় এর প্রতিবাদ করি না।
বিশ্ব এই সংসারে একা এসেচি। চলব একা। রয়েও যাব একা। আবার চলেও যাব একা। মাঝের এই জীবন তরীতে যে সকল সম্পর্ক গুলোর সাথে জড়িয়ে রয়েছি শুধু চাই আজীবন সেই দায়িত্ব টুকু পালন করতে। কারো কাছ থেকে কিছুই আশা করা উচিত নয়। মা, বাবার থেকেও নয়। স্বামী, সন্তানদের কাছ থেকেও নয়। তারা যেন কোনোদিন ও এগুল তুলে না বলতে পারিনি কোনো কিছুর বিনিময়ে কিংবা কোনো কিছুর উদ্দেশ্য তাদের পাশে থেকেছি। জীবনে যেটুকু অর্জন করেছি মনে করি সেটুকুই অনেক।
এখনকার দিনে অনেক শিক্ষিত মানুষ দের মধ্যে এইটুকুও নেই। এখনকার শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ই যেন অর্থের জন্য পড়াশোনা। আমার অর্থ কম থাকুক, যোগ্যতা কম থাকুক কিন্তু ব্যবহারটা যেন সৎ থাকে। আমার মন, মানসিকতা যেন সুন্দর হয়। ব্যবহার যেন মার্জনীয় হয়। এটাই আমার বড় সম্পদ। আর মানুষের কাছ থেকে পাওয়া সন্মানটাই আমার জীবনের চরম অর্জন। এটাই আমি মনে করি।
অনেক কথা লিখে ফেললাম। আবেগের বশে। আমার লেখা গুলোর সাথে অনেকের একমত নাও হতে পারে। কিন্তু একজন গৃহ বধূর মনে এইসব ভাবনা মাঝে মাঝেই চলে আসে। তাই বললাম। আজ তাহলে আসি। কাল আবার এসব নতুন ব্লগ নিয়ে।
জীবন সত্যি ই চলমান। কাল হয়তো ফিরবো পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে। দুঃখ কে করবো জয়। এগিয়ে যাব সামনের দিকে।
0 মন্তব্যসমূহ