মন শান্ত রাখতে চান, তাহলে এই উপায় গুলি মেনে চলুন। ফল পাবেন হাতে নাতে। Ways to calm the mind

  রাধে , রাধে 




আমাদের বাড়ির লক্ষহী পূজার ছবি

ভগবান এর নাম নিয়ে আজকের ব্লগ শুরু করলাম।


আমরা কম বেশি সকলেই মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগি। এটা শুধু প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা পূর্ণবয়স্ক মানুষদের সমস্যা নয়। আজকাল বাচ্ছাদের ও পড়াশোনা ও এক্সট্রা ক্রিয়েটিভিটির যা চাপ তাতে তাদের মানসিক প্রেশার পরতে বাধ্য। আমরা এই চাপ টাকে চাইলেও মন থেকে সরাতে পারি না। সারাদিনের কাজের একটার পর একটা হিসাব মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতেই থাকে। কিন্তু জীবনে চলার পথে চাপ তো থাকবেই। সেটাকেই আমাদের শান্ত মনে অতিক্রম করে জীবনে এগিয়ে চলতে হবে। তাই মন শান্ত থাকাটা খুবই জরুরি।


আজকে আমি আলোচনা করবো আমরা কিভাবে আমাদের মন কে শান্ত রাখবো।

কিভাবে মনকে সংযত রেখে, সুস্থ রেখে কাজকে সুন্দর ভাবে সুসম্পূর্ণ করবো। 


মন শান্ত রাখার জন্য আমাদের যে টিপস গুলো মেনে চলতে হবে সেগুলি হলো


১: ভোরবেলা উঠতে হবে প্রতিদিন


২: ধ্যান বা যোগাসন করুন।


৩: প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান 


৪: ভালো গান শুনুন


৫: পূজা, অর্চনা করুন, ধর্মীয় বই পড়ুন


৬: শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য সময় রাখুন


৭: ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন


৮ : মাঝে মাঝে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন


৯ : রোজকার কাজের একটা রুটিন তৈরি করুন।



১: ভোরবেলা উঠতে হবে প্রতিদিন : 


মন কে শান্ত রাখার জন্য ভোর বেলা ঘুম থেকে ওঠা খুবই জরুরি। কারণ আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই কাজ আছে। আর এই কাজ গুলি নিপুন ভাবে সম্পূণ করার জন্য ভোরবেলা ওঠা উচিৎ। ভোরে উঠলে হাতে সময়টাও অনেক পাওয়া যায়। ফলে সারাদিন রুটিন মাফিক কাজ টাইমে করা যায়। ফলে মানসিক উদ্দেক কম হয়। টেনশন কম হয়। মাথায় বেশি হেডেক নিতে হয় না। 


উদাহরণ স্বরুপ দেখবেন, যদি কোনো দিন লেট করে ঘুম থেকে ওঠা হয় দেখবেন সব কাজ দেরিতে হচ্ছে। এরফলে কাজ করতে ইচ্ছে চলে যায়। কোনো কাজ নিয়মমাফিক হয় না। কোন কোন কাজ সময়ের অভাবে ডলি রুটিন থেকে বাদ চলে যায়। তখন মনে হয় ইস ভোর বেলা উঠলেই ভালো হতো। আধ/ এক ঘন্টা বেশি ঘুমিয়ে কি লাভটাই হলো! 


ধ্যান বা যোগাসন করুন : 

ভোরবেলা উঠেই কাজে লেগে পড়ার কোনো দরকার নেই। বরঞ্চ নিজের শরীরের যত্ন নিন। যোগাসন বা ধ্যান করুন। শরীর ই তো সম্পদ। ধ্যান বা মেডিটেশন করলে মন অনেক শান্ত হয়। মন থেকে অনেক নেগেটিভ চিন্তাভাবনা দূর হয়। প্রথম প্রথম দশ দিন সময় নিয়ে ধ্যান করুন। দেখবেন আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। আর মনের ওপর দেখবেন নিজের পজেটিভ প্রভাব থাকছে। সারাদিনা যে একটা খিটখিটে ভাব, রগ চটা মেজাজ থাকে সেটা থাকছে না। মনের আনন্দে উৎসাহ নিয়েই কাজ করতে ইচ্ছা জাগবে। আর যোগাসন এর মাধ্যমে তো শরীর সুস্থ থাকে। শরীর সুস্থ থাকলে মন ও সুস্থ থাকবে। তাই প্রতিদিন অন্তত আধ ঘন্টা যোগাসন করুন কিংবা হেঁটে আসুন।


২: প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান : সকালে হোক কিংবা বিকেলে প্রকৃতির মাঝে কিছুক্ষন সময় কাটান। সেটা খোলা মাঠে হতে পারে, বাচ্ছাদের পার্কে ,কিংবা উন্মুক্ত খোলামেলা আকাশের নিচে ছাদে। বাচ্চাদের খেলা ধুলা আপনার মনকে তরতাজা করে দেবে। খোলা আকাশের নিচে একান্তে সময় কাটালে অনুভব করতে পারবেন যবন কতটা রঙিন। দিনে অন্তত পাঁচ থেকে দশ মিনিট সবুজ গাছপালা র দিকে তাকান। এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ও ভালো।


৩: ভালো গান শুনুন মন ভালো হয়ে যেতে বাধ্য : 


যাদের যেমন কাজ সেই অনুসারে কাজ করতে করতে গান শুনুন। নিজের পছন্দ মতো গান চালিয়ে কাজ করলে কাজটা আর কাজ মনে হয় না। আর তাড়াতাড়ি হয়েও যায়। এতে মনের মধ্যে পরবর্তী কাজের জন্য অস্থিরতা কাজ করেনা। আর যাদের কাজের সাথে সাথে গান শোনা সম্ভব নয় তারা কাজের শেষে ভালো সফট গান শুনতে পারেন। গান ই পারে মনকে শান্ত করতে, মন উদাস করতে। মনকে ফ্রেশ করতে। 


৪: ধর্মীয় ভাবাবেগ কে নিজের অন্তরে ঠাঁই দিন মন ভালো থাকবে: 

যে যার ধর্ম অনুযায়ী সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রতিদিন প্রথনা করুন। সকলের মঙ্গল কামনা করুন । সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে কিছুক্ষণ আবদ্ধ রাখলে মন শান্ত হয়। 


৫: শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজের জন্য সময় বের করুন : মানুষের জীবন মানেই কর্মচঞ্চলতা। কিন্তু ব্যাস্ত জীবন থেকেও কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখুন। এই জন্য বই পড়তে পারেন, ত্বকের চর্চা করতে পারেন। এতে মন ভালো থাকে। 


৬: ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন : রাতে ঘুমানোর আধ ঘন্টা আগে থেকেই মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন। এতে ঘুম ভালো হবে। শরীর ভালো থাকবে। মন ও থাকবে ভালো। চেষ্টা করুন রাত ১১টার মধ্য ঘুমিয়ে পড়তে।


৭ : মাঝে মাঝে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ুন : দিনের পর দিন একঘেয়ে কাজ করতে করতে আমরা হাঁপিয়ে উঠি। আমাদের তখন একটু বিরতির প্রয়োজন হয়। তাই এক দুইদিন ছুটি পেলেও হারিয়ে যান প্রকৃতির মাঝে। বন্ধু, আত্মীয় দের সঙ্গে কিংবা একাকী। 


৮: রোজকার কাজের একটা রুটিন তৈরি করুন : প্রত্যেক দিনের কাজের একটা রুটিন তৈরি কইরা থাকলে নিয়ম মাফিক কোন মানসিক চাপ ছাড়াই সেই কাজ সময় মতো সম্পন্ন করা যায়। ফলে মানসিক অস্থিরতা থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। 


মোদ্দা কথা হলো আমাদের প্রত্যেকের ই লাইফে কাজ থাকবে, কর্মই তো জীবন। সেটিকে কৌশলে সম্পূর্ণ করতে পারলেই মন শরীর ঠিক থাকবে। কর্মহীন জীবন তো জড়তার মতো বেঁচে থাকা।


আজকের ব্লগ টা এই পর্যন্তই। আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আবার এসব নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে। আজ আসি। আপনারা সকলে ভালো থাকুন। এই কামনা করি। 


হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ