সুপ্রভাত বন্ধুরা। আর একটি নতুন সকালের শুভারম্ভ নিয়ে আপনাদের কাছে চলে এলাম। আমার দেশের, প্রবাসের সকল বন্ধুদের সুস্থতা কামনা করি ভগবানের কাছে। সকলে ভালো থাকুন। আজ হলো 4 মার্চ। সোম বার। আমি আজকের সকাল বেলার রুটিন টা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে হাজির হয়েছি। আপনারা ব্লগ টি পড়ুন । আশা করি আপনাদের খুব ভালো লাগবে। এই ধরণের ব্লগ মানে লেখা ব্লগ হয়তো খুব কম ই দেখেছেন।কি তাই তো? ভাবছেন ডেইলি মর্নিং রুটিন যারা ইউটিউব করে তারা ভিডিও ওর মাধ্যমে শেয়ার করে। কিন্তু আমি এখানে এই ভাবে কি করে করবো। তাহলে সবটা পড়তে সাথে থাকুন আমার।
সকাল : ৫:৩০ থেকে ৬ টা পর্যন্ত সময়কাল :
আমার প্রতিদিন ই ঘুম ভাঙে সকাল ৫:৩০ তে। যেহেতু প্রতিদিন ই মোটামুটি এই সময় টাতে ঘুম থেকে উঠি তাই এলার্ম দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। ঘুম থেকে উঠেই চলে যাই ব্রাশ করতে। নিত্যনৈমিত্তিক কাজ গুলি সারতে।
ঘরোয়া ফেসওয়াশ এর ব্যবহার : এই ফেসওয়াসটি আপনারাও ব্যবহার করতে পারেন। যে কোনো বয়স এই এটা ব্যবহার করা যাবে।
আমি সকাল বেলায় নিজের মুখটা একটি ফেসওয়াশ দিয়ে ফ্রেশ করে নিই। দিনের শুরুতেই কোনোরকম ক্যামিকেল প্রোডাক্ট ব্যবহার আমি করি না।
ফেসওয়াসটি তৈরি করতে যে সকল উপাদান লাগবে তা হলো :
১: মসুর ডাল এর গুঁড়ো : ১ চামচ।
২: গোলাপ জল : ২ চামচ
৩: গ্লিসারিন : ২ ফোঁটা
ফেসওয়াসটি ব্যবহার এর পদ্ধতি :
একটি ছোট বাটিতে এই উপকরণ গুলি মিশিয়ে 2 মিনিট হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ২ মিনিট রাখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিয়মিত মসুর ডাল ব্যবহার করলে ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়। ত্বক হয় ফর্সা, টানটান।
তবে আপনারা ভাবছেন সকাল বেলায় সব মানুষই ব্যস্ত এতকিছু কি করে সম্ভব । কিন্তু অসম্ভব ও নয়। মেনে চলুন আমার টিপস।
মসুর ডাল একেবারে অনেকটা গুঁড়ো করে একটি কৌটায় রেখে নিন। সকালে উঠে শুধু গোলাপ জল এর সাথে মেশান। তাহলেই হলো। আর এখন শীত কাল ছিল তাই গ্লিসারিন ব্যবহার করছিলাম। এবার আস্তে আস্তে গরম পড়ে যাচ্ছে তাই গ্লিসারিন এর ও প্রয়োজন নেই।
ফেসওয়াশ টা লাগিয়ে 2 মিনিট রাখার সময় নেই? দাঁড়ান ! সেই উপায় ও বলছি। ব্রাশ করার আগে মুখে ফেসওয়াশ টা মেখে ব্রাশ করুন। ততক্ষনে ব্রাশ করা হয়ে যাবে। আর ফেসওয়াশের কাজ ও ভালো মতো হয়ে যাবে। সহজেই সমাধান।
ব্রাশ করে মুখ ধুয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে, মুখে ক্রিম লাগিয়ে ডোজ চলে যাই রান্না ঘরে।
সকাল ৬ থেকে ৭ টা :
প্রথমেই জল খাবার এর জন্য আলুর তরকারি বসিয়েছিলাম। একটা ওভেন এ তরকারি হচ্ছিল। আর একটা ওভেন এ ছোলা ভাজছিলাম। শশুর মশাই ছোলা ভাজা দিয়ে মুড়ি খাবেন। ছোলা টা ভাজা হয়ে গেল।
ছোলা ভাজা চলছে
এবার আমার জন্য লিকার চা করে নিলাম।
আমার লিকার চা
আমার চা নামিয়ে নিয়ে শশুর শাশুড়ির জন্য চা বসালাম। ওনারা দুধ চা খান। শশুর মশাই খান চিনি ছাড়া দুধ চা। শাশুড়ি মা খান চিনি দেওয়া।
শশুর মশাই এর চিনি ছাড়া দুধ চা
শশুর মশাই এরও চা কমপ্লিট।
ঐদিকে আলুর তরকারিও হয়ে গেছে।
সকাল ৭ থেকে ৮ :১৫ টা :
ছেলে কে ঘুম থেকে তুলে ব্রাশ করলাম। পড়তে বসা লাম। লিখতে দিলাম। ওকে লিখতে দিয়ে কাজ করতে গেলে লেখে না। তাই পাশে বসে থাকতে হয়। ওকে লিখতে দিয়েই ওর জন্য ছাতু র শরবত এনে দিলাম। লিখতে লিখতে খেয়ে নেবে।
এর মাঝে আমি হরি তলায় জল দিয়ে এলাম। ধুপ, ফুল দিলাম।
৮: ১৫ থেকে ৮:৩০
ছেলের স্কুলের টিফিন করলাম। এগ রোল। ময়দা ওকে দিই না। আটা দিয়ে করেছিলাম। ঘরোয়া হেলদি যাকে বলে।
এগরোল ছেলের টিফিন।
৮:৩০ থেকে ৯ টা
ছেলেকে স্নান করিয়ে, ড্রেস পরিয়ে, টিফিন জল গুছিয়ে ভাত খাইয়ে স্কুলে পাঠালাম। ওর আজ পরীক্ষা। ভাত টা আমার শাশুড়ি মা করেছেন। আপনারা সকলে আশীর্বাদ করুন ও যেন ভালো পরীক্ষা দেয়।
আজ এই পর্যন্তই। কেমন লাগলো আজকের ব্লগ টা জানাবেন। সকলে ভালো থাকুন। আবার ফিরবো নতুন ব্লগ নিয়ে।
0 মন্তব্যসমূহ