![]() |
আজ ৮ মার্চ। মহা শিবরাত্রি। আজকের ব্লগটা একটু স্পেশাল ই হবে। আজ সকাল থেকেই আপনাদের সাথে ব্লগ শেয়ার করবো। আজকের কিকি রান্না বান্না হয় তাও দেখাবো । চলুন আজকের ব্লগটা স্টার্ট করি। প্রথমেই বাবা ভোলানাথ কে অর্পণ করার জন্য যে সকল ফুল তুলেছিলাম তার ছবি ভাগ করে নিচ্ছি আপনাদের সাথে। তারপর ধীরে ধীরে এগোতে থাকবে আমার ব্লগ। সাথে থাকুন।
ভোর ৫:০০
টিক ....টিক....টিক....টিক.....ঠিকই বুঝে ছেন, মোবাইল এর এলার্ম এর শব্দে আজ জেগে উঠেছি। এমনিতে আমার এলার্ম এর দরকার পড়ে না। কিন্তু গতকাল রাতে কি মনে হলো দিয়েই রাখলাম। এলার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়লাম। ছেলের পরীক্ষা শেষ। তাই ও এলার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে আমার সাথে উঠে পড়লো। এমনিতে এত ভোর বেলায় ওঠে না। আমি তো বলছিলাম পড়ার সময় তো ডাকলে উঠিস না? আজ পড়াশোনা নেই অমনি ঘুম ভেঙে গেল ? জানেন তো আমার ছয় বছরের আর্য্য কে ঘুম থেকে ডাকার জন্য আমায় অনেক কসরত করতে হয়। আর ওকে ঘুম থেকে ডাকার সময় ও ঘুমের ঘোরে ঘুম চোখে বলে আমার এখনো ঘুম ভাঙে নি....ঘুম গোটা আছে। কি হাসির ব্যাপার বলুন তো?
ও যেহেতু শুনেছে ঘুম ভাঙে নি এটা সবাই বলে... তাই ওর ঘুম না ভাঙলে বলে ঘুম ভাঙে নি গোটা আছে।
আসলে বাচ্ছা তো ওদের এই কথা গুলো ই খুব সুন্দর লাগে।
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে বিছানা পরিষ্কার করে নিলাম। নিজে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।
সকাল :
৫:৪৫
হরি তলা ধুয়ে নিলাম:
হরি তলা ধুয়ে তুলসী তলায় জল দিলাম। ফুল দিলাম।
৬:১৫
তাড়াতাড়ি করে এসে চা বসালাম। কারণ ঘুম থেকে উঠেই মনটা শুধু চা চা করে। লিকার চা খাই আমি। এই যে চা আমার রেডি। ১৫-মিনিট ল্যাপটপে একটু দরকারি কাজ করলাম। গরম গরম চা এর টেস্ট নিতে নিতে। সকাল বেলায় চা খাওয়ার আমেজ টা দারুন লাগে। এই চায়ের টেস্ট ই আমার সারাদিনের কাজের এনার্জি। এরপর আমি ফুল মুড নিয়ে সারাদিন কাজ করি।
সকাল ৬:৩০:
আর্য্য এতক্ষন গরম জল খেলছিল। ওকে এবার ছাতুর সরবত করে খাওয়ালাম। আমি তারপর ফুল তুলতে গেলাম শিবরাত্রির জন্য। আকন্দ গুল, নীলকন্ঠ ফুল তুলে আনলাম। গতকাল পূজার জন্য ফল কিনে এনেছি। সন্দেশ ও। ফুল তুলে রেখে গোয়ালার কাছ থেকে দুধ নিলাম। পুজো দেওয়ার জন্য।
সকাল ৭ টা
ঘর দোর মুছে নিলাম। নিরামিষ আলুর দম করলাম। শাশুড়ি মা আলু কেটে দিয়েছিলেন। আমি আর মা খাব না। কিন্তু বাপি, বর মশাই, আর্য্যর জন্য করলাম। টিফিন এর জলখাবার এর জন্য।
সকাল ৮ টা : কিছু দূর্ভাগ্য জনিত কারণে এবারের পুজোটা আমি দিতে পারব না। এই সময় আমি জানতে পারলাম
।মা তো দিতে পারবেই না। কারণ মায়ের কালাওষুধ। দুই মাস আগে আমার ঠাকুর শাশুড়ি মা মারা গেছেন তাই। এখন জানতে পারলাম আমারও দেওয়া চলবে না। সব কিছু রেডি করে জানতে পারলে কেমন লাগে বলুন তো?
সকাল ৯ :
স্নান সেরে নিলাম। মন খারাপ করে একটু শুয়ে পড়েছিলাম। মা বললেন পুজো দিতে নেই যখন তখন আর উপোষ করে থাকতে হবে না। কিছু খেয়ে নিতে। আমি আবার লুচি পরোটা খেতে একদম ই পছন্দ করি না। আর ময়দার জিনিস আমার একদম চলবে না ডক্টর বলেছেন। তাই গোলা রুটি করলাম
গরম গরম একটা করে করছি আর দিচ্ছি বর মশাই, আর্য্য, মা কে একটা করে দিচ্ছি।
সকাল ৯ টার পর থেকে শিবরাত্রি বিষয় নিয়েই লিখবো ভেবেছিলাম। আচার টা যেহেতু হচ্ছে না এখান থেকে অন্য ব্লগ লিখছি। পড়ুন খুব ইটারেস্টিং হতে চলেছে আজ কের ব্লগ।
গোলা রুটি খেয়ে , একটা গেট রেডি উইথ মি একটা ব্লগ দেব ভেবেছিলাম, সেটা নিয়ে লিখতে বসলাম।
প্রথমেই আমি স্কিন টা ভালো ভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছিলাম। আমি ব্যবহার করেছিলাম ঘরোয়া ফেসওয়াশ।
তারপর মুখটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে গোলাপ জল টা টোনার হিসাবে ব্যবহার করে নিলাম।
তারপর আমি এই ক্রিম টা মুখে মেখে নিলাম।
যেহেতু সকাল বেলার মেক আপ এটা তাই সানস্ক্রিন মাস্ট।
আমি এই সানস্ক্রিন টা ব্যবহার করি। খুব ভালো ড্রাই স্কিন এর জন্য।
এরপর আমি এই প্রাইমারটা ব্যবহার করে নিলাম।
এবার আমার স্কিন মেকআপ করার জন্য রেডি হলো।
আবার ইলুমিনেটিং ক্রিম এর সাথে ফাউন্ডেশন এড করে নিলাম।
বিউটি ব্লেন্ডার টাকে জলে স্পঞ্জ করে নিয়ে ফাউন্ডেশন ছোট ছোট করে মুখে লাগিয়ে বিউটি ব্লেন্ডার এর সাহায্যে ভালো করে লাগিয়ে নিলাম। অবশ্যই প্রসেসটা খুব ধৈয্য সহকারে করতে হবে। ড্যাব ড্যাব করে ব্লেন্ডার টা মুখে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর দেখবেন মেকআপ টা সুন্দর ভাবে মুখে বসে গেছে। এবার আই ব্রো করার পালা।
আমি আই ব্রো টা করি এটা দিয়ে। এই তুলিটা দিয়ে খুব সুন্দর আই ব্রো টা ড্র করা যায়।
এরপর আমি এই কাজল পেন্সিল টা চোখ এ পড়ে নেব। কাজল পড়লে চোখের সৌন্দর্য খুব সুন্দর ভাবে বৃদ্ধি পায়। কাজল টা আমি একটু মোটা করে পড়তে পছন্দ করি।
এবার এই মাস্করাটা টা চোখের পাতায় লাগিয়ে নেব। খুব সুন্দর একটি মাস্কারা এটি। এই মাস্করাটা ব্যবহার করলে আইল্যাস ব্যব্যবহার করার দরকারই পড়বে না। সকলকে অনুরোধ রইলো একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। নিরাশ হবেন না কথা দিলাম। আমার মতো এখনো অনেকে আছেন ফলস আই ল্যাস ব্যবহার করতে পারেন না। তাদের ক্ষেত্রে রাম বাণ এটি।
গালে, চোখের প্ল্যাট এ এটা দিলাম। যেহেতু সকাল বেলার মেকআপ তাই আর আই শ্যাডো ব্যবহার করি নি।
আবার লাস্ট এ পরে নেব লিপস্টিক। যেটা ছাড়া সাজটাই প্রায় অসম্পূর্ণ। কি বলেন আপনারা?
আমি যে শাড়ি টা পড়েছি এটা মায়ের। কেমন লাগছে আমায় জানাবেন। আমি কোনো মেক আপ আর্টিস্ট নয়। যেমন পারি নিজেকে মনের মতো সাজাই।
এটা সব শেষে ব্যবহার করেছিলাম।
সব শেষে গালে, নাকে এটা হাইলাইটার ব্যবহার করেছিলাম|
।
সব শেষে আসি হেয়ার স্টাইল এ। চুল টা জাস্ট একটা হাত খোঁপা করে ক্লিপ আটকে ছিলাম।
আজ শিব রাত্রির ব্লগ দেব ভেবেছিলাম। সেটা তো হলো না বুঝতে পারলেন। তাই গেট রেডি উইথ মি দিলাম।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন । আমার ব্লগটি সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ রইলো। ভালো থাকবেন সকলে। শুভ রাত্রি।
0 মন্তব্যসমূহ