পহেলা বৈশাখ( 2024)এ সেজে উঠুন শাড়িতে। বঙ্গ তনয়া শাড়িতেই হয়ে উঠুক নারী।

 

Kids pohela boishakh drawing

(আমার নিজের আঁকা ছবি)


সামনেই পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরের আগমন। হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন মাত্র বাকি। দিন গোনা শুরু হয়ে গেছে। এই পহেলা বৈশাখ হলো বাঙালির আবেগের অনুষ্ঠান। এই দিন পুজো বাড়িতে কিংবা ঘরোয়া আড্ডায় আপামর বাঙালি সেজে ওঠে। আর বাংলার নতুন বছর তাই পুরুষ - নারী উভয়ই খাঁটি বাঙালি য়ানায় মেতে ওঠে। ইলিশ পান্তা থেকে শুরু করে রসগোল্লা, মিষ্টি সবই ওইদিন চলে যায় গপাগপ পেটের মধ্যে। মোটেই সেইদিন কেউ ডায়েট মানতে চায় না। আর এই বিশেষ দিনে বঙ্গ তনয়ার মেন পছন্দই হলো শাড়ী। আসলে শাড়িতেই নারী। আর এখন যেহেতু চৈত্র মাস চলছে শাড়ির দাম ও অনেক কম। 


তাহলে পহেলা বৈশাখ এর দিন পরার কিছু শাড়ি আপনাদের কাছে আমি শেয়ার করছি। 






এই শাড়িটার লুক টাই আমি প্রথম দেখাতে চাই। শাড়ীটার ম্যাটেরিয়াল টা একদম সফট। যাকে বলে একদম পিওর কটন। শাড়িটা পরলে ই বুঝতে পারবেন এত সফট এত কম্ফোর্টেবল কি বলবো। আর শাড়ীটার কালারটা শুধু দেখুন হালকা গেরুয়া কালার এর সাথে ব্ল্যাক। দারুন কম্বিনেশন। আর শাড়ীটাতে আছে দেখুন সস্ত্রীক চিহ্ন। জাস্ট বাঙালি য়ানায় ভরপুর। আর বৈশাখ মানে ই গরম। এই রকম একটা শাড়ি গরমে র দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ এর দিন পরতেই পারেন। তাহলে দেরি না করে কিনে ফেলুন চটপট। আর বাজারে এখন চলছে চৈত্র সেল। বাজেটের মধ্যে শাড়িটি অবশ্যই হয়ে যাবে। আর চাইলে কাউকে গিফট ও করতে পারেন। নির্দ্বিধায়। 


মডেল : আমি নিজেই।



এবার আসি দ্বিতীয় শাড়ীটাতে। এটি ও একটা হ্যান্ডলুম শাড়ি। মহামায়া হ্যান্ডলুম। আমি একটা ব্ল্যাক এর ওপর রেড বর্ডার দেওয়া কিনেছিলাম। যেহেতু ব্ল্যাক আমার ফেবারিট কালার। আপনারা চাইলে এই শাড়িটি সাদা আর লাল পাড়ের মধ্যে কিনে নিতে পারেন। দারুন শাড়িটা। খুব স্টাইলিস্ট একটা লুক ক্রিয়েট করবে। আর খুব হালকা শাড়ি। পড়লেও কম্ফোর্টেবল লাগবে। এই শাড়িটা কিছুটা বড় হয়। এর সাথে ব্লাউজ পিস ও ছিল। আমি অন্য ব্লাউজ দিয়ে ক্যারি করেছি। আপনারা চাইলে ব্লাউজ

তৈরি করেও নিতে পারেন। এটি আমি অনলাইন থেকেই কিনেছিলাম। লোকাল মার্কেট ও পাওয়া যায়। 




মডেল :আমি নিজে


তৃতীয় শাড়ীটা একটা ঢাকাই জামদানি। পহেলা বৈশাখ এর দিন খাঁটি বাঙালিয়ানা বজায় রাখতে পড়তেই পারেন একটা সুন্দর জামদানি শাড়ি। চোখে পড়ুন একটু কাজল, হালকা লিপস্টিক , আর একটা ছোট্ট টিপ। সাথে জামদানি । সাজটা খুব সুন্দর লাগবে। যেকোন কালার এর জামদানি ই ওইদিন ভালো লাগবে। 




মডেল : আমি নিজে


চতুর্থ শাড়িটা হলো একটা হ্যান্ডলুম শাড়ি। এটা একটু গর্যাস লুক আনবে। পহেলা বৈশাখে র সন্ধেয় বেলায় কোনো অনুষ্ঠান থাকলে এই রকম শাড়ি পরে ফেলুন। কম বাজেটের মধ্যে বেশ ভালো লাগে। ৬০০ টাকা র মধেয়ওই শাড়িটা পেয়ে যাবেন। একদম রাতের অনুষ্ঠানে র জন্য পারফেক্ট। খুব ভারী শাড়ি নয়। কিন্তু পড়লেও বেশ জমকালো লাগবে। যারা শাড়ি ক্যারি করতে পারে না বলে  কোনো অনুষ্ঠানে ইচ্ছে থাকলেও শাড়ি পরতে পারেন না, তারাও এটি ইজিলি ক্যারি করতে পারবেন। 




মডেল : আমি নিজে। 



পঞ্চম শাড়ি হলো সুতির ছাপা শাড়ী। যার সাথে বাঙালির আবেগ আছে জড়িয়ে। বাঙালি মা, বোনেরা এই শাড়িতে ই ভক্ত বেশি। আর উৎসবে দিন এরকম একটা ছাপা শাড়ি না কিনলে চলে বলুন তো ? আমি তো কিনে ফেলেছি। আপনারাও আর দেরি না করে চটপট কিনে ফেলুন।





(এটা কিনেছি। পহেলা বৈশাখ এর দিন পড়বো বলে)

আজকের ব্লগটা ইউসফুল মনে হলে অবশ্যই শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। আজকের মত টাটা। আবার ফিরবো আগামী কাল। ততক্ষন সকলে ভালো থাকবেন। 

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ