ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে ভালোবেসে ভালোবাসায় বেঁধে যে রাখে ( A real love story )

 

Beautiful flower

( আমাদের গাছের ফুল। কি সুন্দর তাই না? ভালো করে লক্ষ্য করুন চারটে পাপড়ি সাদা। আর একটি পাপড়ি তে লাল লাল ছিটে। প্রকৃতির কি অপরূপ সৃষ্টি। এই ফুল টার নাম আমি জানি না। কিন্তু এই ফুলে প্রতিদিন পুজো করি। এই ফুল টার নাম আপনারা কেউ জানলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ।)


সুপ্রভাত বন্ধুরা সকলে কেমন আছেন? আমি খুব ভালো আছি। আশা করছি আপনারাও খুব ভাল আছেন। চলে আসলাম আবার একটা ব্লগ নিয়ে। আজ 5 মার্চ। মঙ্গল বার। এখন ঘড়িতে সময় বেলা ১০: ৩০ । এখন আমি ব্লগ টা লিখতে বসেছি। সকাল এর জল খাবার খেয়ে নিয়েছি। আজ সকাল এর খাবার খেতে একটু দেরি ই হলো। কারণ আজ কে আমার কিছু ব্লাড টেস্ট ছিল। তাই ও গুলো কমপ্লিট হওয়ার পর রান্না করলাম তারপর খেলাম। আজ কে আমি একটা খুব মন ভালো করে দেওয়ার মতো একটা খবর অপনাদের শেয়ার করবো। আমার তো ঘটনাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে খুব ভালো লাগলো। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি। আসলে কি বলুন তো,  এই দুনিয়ায় অনেক খারাপ খবর তো আমরা শুনি, দেখি অত্যাচার, অবিচার, খুন, ধর্ষণ । ভালোবাসায় বিশ্বাস ঘাতকতা, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সহবাস তারপর বিয়ে করতে অস্বীকার করা। এই সব ভুঁড়ি ভুঁড়ি খবর দেখে আমাদের মন আরো অস্থির হয়ে পড়ে। মানুষের ওপর থেকে বিশ্বাস, ভরসা যেন উবে যায়। কিন্তু এত কিছু খারাপ খবরের মাঝে একটা ভালো খবর শুনলে মনে আবার বিশ্বাস ফিরে আসে। মনে হয়, পৃথিবী তে এখনো সব কিছু শেষ হয়ে যায় নি। এখনো মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। একটা মানুষ আর একটা মানুষের ভরসার হাত হতে পারে। সারাজীবনের বাঁচার কাঁধ হতে পারে। সেইরকম ই একটা সত্যি গল্প কাল দেখলাম একটা নিউজ চ্যানেল এ। 


আড়াই বছর আগে থেকে অমিত আর সূচরিতার প্রেমের সম্পর্ক। অমিত দিল্লি নিবাসী। কর্মসূত্রে দুর্গাপুর এসেছিলেন। সেখান এই আলাপ সুচরিতা পাত্রের সাথে। তারপর প্রেম। দীর্ঘ আড়াই বছর প্রেমের সম্পর্ক চলার পর অবশেষে দুই বাড়ির মতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ওদের দুজনের। বিয়ের দিন ঠিক হয় 2 মার্চ। সেই মতোই সব তোড়জোড় চলছিল। বিয়ের কার্ড ছাপানো, আত্মীয় পরিজন কে নিমন্ত্রণ করা সবটাই সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই 29 ফেব্রুয়ারি সূচরিতার শরীর খারাপ হয়। জন্ডিস ধরা পড়ে। তাঁকে বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। এই মুহূতে সকলেই ভেবেছিল বিয়ে টা হয়তো হবে না। আর এটাই কিন্তু স্বাভাবিক ছিল। চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে তারা ভালোবাসার ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল। ডেট ও ঠিক। বকিন্তু আচমকা এইরকম পরিস্থিতি তে শারীরিক অসুস্থতার সাথে সাথে সুচরিতা মানসিক দিক থেকেও ভেঙে পড়েছিল। কাঁদতে কাঁদতে অমিত কে হসপিটালে থেকেই সুচরিতা ফোন করে বলে আমাদের বিয়ে টা হয়তো আর হবে না। কিন্তু অমিত সে কথা শুনে বলে , বিয়ে হবে। আর বিয়ের নির্বাচিত দিনেই বিয়ে হবে। আর সেই কথা মতোই কাজ হলো। হাসপাতালে র ওয়ার্ডেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওখানেই হলো অমিত সুচরিতার সিঁদুর দান, মালা বদল। 


সত্যি ই এ এক নজিরবিহীন অপরূপ সুন্দর দৃশ্য। সেই দৃশ্য দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। মানুষকে ভালোবাসতে ইচ্ছা জাগে, বিশ্বাস রাখতে ইচ্ছে জাগে। সুচরিতা খুব ভাগ্যবতী এমন একজন আদর্শ, চরিত্রবান পুরুষ কে জীবনসঙ্গী হিসাবে পেয়ে। কথায় বলে , জন্ম মৃত্যু বিয়ে তিন বিধাতা নিয়ে। ওপর ওয়ালার আশীর্বাদ যার মাথার ওপর থাকে তাকে কেউ হারাতে পারে না।


সত্যিই কথাটা ধ্রুব সত্য। ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে ভালোবেসে ভালোবাসায় বেঁধে যে রাখে। অমিত সারাজীবন এই ভাবেই তার জীবনসঙ্গিনী কে আগলে রাখুক। ভালো থাকুক দুজনে। আর সুচরিতা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাক। ভগবানের কাছে এই প্রার্থণা করি।


এটা কিন্তু একদম সত্যি ঘটনা। কাল দেখলাম নিউজচ্যানেল এ। আমার খুব ভালো লাগলো তাই আপনাদের শেয়ার করলাম।    




আর একটা ঘটনা আপনাদের আজ শেয়ার করবো।

বলছে, বউ এর সাথে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বর নাকি  এক কোটি টাকা লাভ করে বাড়ি ফিরেছেন। ভাবা যায়! বলুন তো? এটা কি করে সম্ভব ! শুনে তো আমি ও অবাক। আমার বর তো এইটুকু শুনেই বলছে তাহলে আমি সবসময় তোমার সাথে ঝগড়া করবো। বললাম থামো তো, ব্যাপার টা কি দেখি।

খবরটা হলো বর এর একটা ছোট খাটো সেলুন আছে। ইনকাম খুব একটা ভালো হয় না। ধুপগুড়ির ঘটনা এটা। এবার বউ বায়না ধরেছে একদিন মাংস খাবে। অনেকদিন খায় নি। কিন্তু অভাবের সংসারে বর প্রথমে মাংস আনতে রাজি হয় নি। কিন্তু অবশেষে বউ এর চাপে সে আনতে যেতে রাজি হয়। 


কথা মতো এক কেজি মাংস কিনে বর ফিরছিল। ত্রিশ টাকা ফিরেছিল। আসার পথে রাস্তায় লটারি র টিকিট বিক্রি করতে দেখে ওই টাকায় লটারি কেনে সে। আর এতেই সে মালামাল


হয়ে যায়। জিতে যায় এক কোটি টাকার পুরস্কার। ভাবতে পারছেন আপনারা? আর কতরকম কি দেখতে, শুনতে হবে। আমি শুনে অবাক। 


পৃথিবীতে অনেক কিছুই হয়। জানতে পারি ভালো লাগে আর এই ব্লগের সুবাধে আপনাদের ও তা জানাতে পারছি। এখন লিখতে লিখতে অনেকটা বেলা হলো। এবার রান্না করতে যাবো।

আজ কে রান্না হবে দুপুরে ডাটা, আলু, বেগুন দিয়ে একটু ঝোল। পটলের তরকারি। ডিম কষা।

এখন তেমন ভালো কিছু রান্না হচ্ছে না। আর সেটা কেন,  আপনাদের পরে বলবো বলেছিলাম এখন বলছি। আমার বর এর পায়ে লেগেছে। প্লাস্টার হয়েছে। রেস্ট এ আছে তো। তাই দোকান বাজার তেমন হচ্ছে না। আর আমরা যেহেতু গ্রামে থাকি, দোকান পত্র একটু দূরে তাই আর কি। এইদিকে ছেলের ও পরীক্ষা তাই আমি ও বেরোতে পারছি না। তবে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না। গ্রামে ঘরে সবজি পাতির অভাব নেই। তাই হয়ে যাচ্ছে। মাছ, মাংস টা কম হচ্ছে এই আর কি।


আজ এই পর্যন্ত ই। আবার কাল আসবো নতুন ব্লগ নিয়ে। সকলে ভালো থাকবেন। আমার ব্লগ ভাল লাগলে অবশ্যই সকলে শেয়ার করবেন।


আমাদের গাছের একটা ফুলের ছবি দিলাম। এটা কি ফুল কেঊ জানলে আমায় কমেন্ট করে জানাবেন। প্লিজ। আমি তো জানি না নাম। কিন্তু সুন্দর ছোট্ট ফুল টি। খুব মিষ্টি দেখতে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ