চিকিৎসা শাস্ত্রে নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত স্যার রোনাল্ড রস জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৭ সালে ১৩মে।তাঁর জন্মস্থান আলমোরা এক পার্বত্য এলাকায়।তাঁর পিতার নাম স্যার ক্যাম্পবেল কলে গ্রান্ট রস।তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনী তে জেনারেল পদে নিযুক্ত ছিলেন।তাঁর মাতার নাম মাতিলদা সালেট।
রোনাল্ড রস কে মাত্র আট বছর বয়সে ইংল্যান্ড পাঠান হয় শিক্ষা লাভের জন্য।ছোট থেকেই রস ছন্দ,কাব্য,সংগীতে তার ভালোবাসা অনুভব করেন।প্রাণিবিদ্যা তেও তাঁর ছিল আগ্রহী মন।পিতার অনুরোধে তিনি চিকিৎসক হিসাবে লন্ডনের সেন্ট বার্থোলোমিউ হাসপাতালে যোগ দেন।তিনি প্রথম বার এল.এস.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হন।শেষ পর্যন্ত ১৮৮১সালে তিনি পাশ করেন ।এবং ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল সার্ভিস এ যোগ দেন।
এরপর ইংল্যান্ড এ স্যার প্যাট্রিক ম্যাসন এর সাথে তার পরিচয় ঘটে।তিনি আলফনস লেভারান কতৃক আবিষ্কৃত ম্যালেরিয়ার জীবাণু গুলির সঙ্গে তাঁর মতামত রস কে বলেন।ম্যাসন নিজেই এটা আবিষ্কার করেছিলেন যে ,বিশেষ প্রজাতির মশা মানুষের শরীরে জীবানুবাহী হিসাবে কাজ করে।পরবর্তী কালে রস এই গবেষণায় নিজেকে পুরোপুরি নিমজ্জিত করেন।এরপর তিনি ভারতে ফিরে এসে ম্যাসনের পরামর্শ অনুসারে কাজ শুরু করেন।শেষ পর্যন্ত ১৮৯৭সালে ২০আগস্ট তিনি আবিষ্কার করতে সক্ষম হল যে ,একধরনের কালচে বর্ণের দানাদার জাতীয় রঞ্জক পদার্থ অ্যানোফিলিস প্রজাতির পাকস্থলীর জলকোষে বিদ্যমান।জীবাণুর জীবন চক্র অনুসন্ধান করে তিনি দেখতে পান রোগাক্রান্ত পাখির দেহ থেকে সুস্থ পাখির দেহে ম্যালেরিয়া সংক্রমিত হচ্ছে।সুতরাং এটি কোনো বায়ু বাহীত রোগ নয়।এরপর রস ১৯০২সালে নোবেল পুরষ্কার পান।রসের জীবনের অধিকাংশ সময়ই কেটেছে ম্যালেরিয়া বিষয়ক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়েই।তিনি নাটক,বই, উপন্যাসের পাশাপাশি ম্যালেরিয়া সংক্রান্ত বইও লেখেন।তিনি রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।তাঁর বেশ কয়েকটি উপন্যাসের মধ্যে 'দ্য চাইল্ড অফ দ্য ওসেন','স্পিরিট অফ স্টম বিশেষ প্রশংসার দাবি রাখেন।তাঁর কাজের সম্মানার্থে কোলকাতা র পিজি হাসপাতালে এক স্মারক স্তম্ভ স্থাপিত হয়(১৯২৭)।তিনি ১৯৩২ সালে১৬ সেপ্টেম্বর পরলোক গমন করেন।
ছবি : সংগৃহীত
তথ্য সূত্র : বাংলা পিডিয়া,
উইকিপিডিয়া
0 মন্তব্যসমূহ