করোনায় বিশ্ব জুড়ে চিকিৎসকদের অবদান

করোনায় বিশ্ব জুড়ে চিকিৎসকদের অবদান

গোটা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের তান্ডবে শংকিত এমন অবস্থায় সংক্রমিত মানুষ দের যারা প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সেই মানুষ রুপী দেবতা রা হলেন চিকিৎসক।চিকিৎসক সম্পর্কে মানুষের যে ধারণা, এক ধাক্কায় তার সংজ্ঞা উলটপালট করে দিতে যার উৎপত্তি সে হলো সর্বনাশা করোনা।এই দুঃসময়ে নিজে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েও সার্বিক সুস্থতায় যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তারা হলেন চিকিৎসক।সুধু চিকিৎসক ই নয়।চিকিৎসা বিজ্ঞান এর সাথে জড়িত স্বাস্থ্যকর্মী ,নার্স ,আয়া এরাই এখন ভরসা পৃথিবীর। চীনে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস সম্পর্কে যিনি সতর্ক বাণী দিতে চেয়েছিলেন তিনিও একজন চিকিৎসক।লি ওয়েন লিয়ং নামে ওই চিকিৎসক চীন এর উহান কেন্দ্রীয় হাসপাতাল এর চক্ষু বিশেজ্ঞ ছিলেন।কিন্তু তিনিও এই মারণ রোগে সংক্রমিত হয়েই মারা যান।তিনি চেয়েছিলেন আসন্ন বিপদগ্রস্ত এই মহামারী থেকে চীন কে সতর্ক রাখতে,তাঁর সহকর্মী দের সতর্ক করতে।অবশেষে নিজেই এই ব্যাধিতে জড়িয়ে পড়েন।সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যখন আতংকে ,গৃহবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছে,তখন নিরলস পরিশ্রম এ সংক্রমিত দের বাঁচানোর চেষ্টায় এই চিকিৎসকেরা।মৃত্যু ভয় কে পিছনে রেখে,পরিবার থেকে নিজেদের কে আলাদা করে,সন্তানের থেকে দূরে সরে ,মা বাবা র চোখের আড়ালে থেকেই বিশ্ব মাতার সজীবতা ফিরিয়ে আনতে তারা যেন বদ্ধপরিকর।পৃথিবীর ইতিহাসে এ স্মরণীয় হয়ে থাকবে করোনা ভাইরাস এ সংক্রমিত হয়ে নিহত ভারতীয় প্রবাসী চিকিৎসক জিতেন্দ্র কুমার রাঠোর এর নাম।যিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় রোত ছিলেন।পৃথিবী মনে রাখবে এক মায়ের আত্মবলিদান।যে মা ভারতের মধ্যপ্রদেশ থেকে চিকিৎসক ছেলে কে সুদূর চিনে থেকেই অসহায় মানুষ দের পাশে থাকতে আশ্বাস দেন।কুর্নিশ জানাই সেই স্বনামধন্য প্রবাসী চিকিৎসককে।সারা বিশ্বকে বাঁচাতে অনেক চিকিৎসক নিজেরাই করণায় সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন।সম্প্রতি মারা গেছেন মধ্য প্রদেশের এক চিকিৎসক।এই সংকটময় এ পাচ্ছেন না নিজেদের সুরক্ষিত করার পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা,মাস্ক এর অভাব। তবুও তারা হাল ছেড়ে দেয় নি।অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে প্রত্যেকটি দেশে গবেষণার কাজ।কিট তৈরি করেছেন। দেশে প্রায় এগারো হাজার ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা হয়েছে। দেশে প্রায় পাঁচশো ছিয়াশী টি করোনা হাসপাতাল করা হয়েছে। ভারত করোনা সম্ভাব্য ঔষধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রফতানি করে সকল দেশ কে সাহায্য করছে। এখনো পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি এর কোনো প্রতিষেধক।তবুও তাদের চেষ্টা থেমে নেই।যখন মানুষ কখনো কখনো রোগী মৃত্যুতে উত্তেজনাবশত চিকিৎসক দের হেনস্তা করেছে,হাসপাতাল,নার্সিংহোম ভাঙচুর করেছে,এমনকি চিকিৎসক দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।এই সমস্ত কার্যকলাপ করার পূর্বে এই কঠিনতম সময় এ তাদের অবদান যেন বিশ্ববাসী মনে রাখে। ঈশ্বর, মনের অন্তরে আছে। এই ঝড় ঝাপটায় যারা ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তারাই স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক। যারা দিন রাত পরিশ্রম করে সারাদিনে এতটুকু বিশ্রাম না নিয়ে রুগী দের সুস্থ করে ঘরে পাঠাচ্ছেন।আমাদের প্রার্থনা শুধু এটাই তাদের প্রাণ কে সজীব রেখো যারা ধরিত্রী কে পরিশুদ্ধ করার কারিগর।করুনাময় বিধাতার কাছে আর্জি জানাই এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার্থে মহান জীবসেনারা যেন জয়ী হয়।তবেই বেঁচে থাকবে পৃথিবী। অমর হয়ে থাকবে তাদের পরিশ্রম।

ছবি : সংগৃহীত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ