করোনার প্রভাব মধ্যবিত্ত সমাজে


করোনার প্রভাব মধ্যবিত্ত সমাজে


চীনের উহান প্রদেশ থেকে দেশ দেশান্তর পেরিয়ে করোনা এখন আপনার আমার ত্রাস এর সঞ্চার করেছে।ইতিমধ্যেই ভারতেও বিভিন্ন রাজ্যে এই ভাইরাসএর প্রকোপ ব্যপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।মহারাষ্ট্র, সহ দিল্লী, তামিনাড়ু, কেরালা,উত্তপ্রদেশ ,এমনকি আমাদের পশ্চিমবঙ্গ এই মরণ রোগের সংক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত। বিশ্ব অর্থনীতি তে এর প্রভাব বিশাল ভাবে প্রভাবিত করছে। এখনো পর্যন্ত ভারতে করোনা সংক্রমণ এর সংখ্যা ৬৬৩৮।মৃত্যু ১৯৯। এই কড়া পরিস্থিতি তে বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান, স্বনামধন্য ব্যক্তি রা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্র ও রাজ্যসরকারকে।ত্রান তহবিলে জমা পড়ছে অর্থ। দেশের নিম্ন, গরিব মানুষদের পাশে সরকার এগিয়ে এসেছে।তাদের ফ্রী তে রেশন পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোথাও কোথাও বাড়ি ভাড়া ও মুকুব করার কথা বলা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে টাকা দেয়ার আশ্বাস ও সরকার দিয়েছেন। তা সত্যি প্রশংসনীয়। কিন্তু এই লক ডাউন এর জেরে বন্ধ হয়ে গেছে হাজার হাজার কলকারখানা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন। যাদের অনেকটাই মধ্যবিত্তের আওতায় পড়ে। আধুনিক সমাজব্যাবস্থায় প্রায় প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে প্রেসার,থাইরয়েড,সুগার,বাত বিভিন্ন যন্ত্রণা দায়ী নিত্য রোগের আনাগোনা। মাসিক আয়ের বেশির ভাগ টাই সেইসব জীবনদায়ি ওষুধ ক্রয়েই খরচ হয়ে যায়। সুতরাং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মাসিক আয়ের সঞ্চয় বলতে কিছুই থাকে না। করোনা বিপন্ন দেশে এমতা অবস্থায় মধ্যবিত্ত সমাজের জীবন আরো দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।এরা সরকারি সুযোগ এর আওতায় থাকছে না। যে টুকু জমানো টাকা সমস্তই শুন্য হয়ে আসছে। কোনো রকমে কোনো সাহায্য ছাড়াই আতঙ্কে জীবনযাপন করছে।হয়তো এমন একটা সময় এর মুখোমুখি এরা পড়বে যখন বাড়তি সঞ্চয় তো থাকবেই না বরং তাদের নিত্যনৈমিত্তিক চাহিদা গুলোই মেটানো কষ্টকর হয়ে উঠবে। বিশ্ব অর্থনীতির চালিকাশক্তির মূল বাহন এই মধ্যবিত্তই। অর্থনীতির অগ্রসর এ তাদের এক বিরাট ভূমিকা আছে। তাই অর্থনীতির ক্ষতির সাথে সাথে এদের ও বিপদের আশঙ্কা প্রবল। সুতরাং করনার মোকাবিলার সঙ্গে সঙ্গে মধ্যবিত্ত আজীবন যুদ্ধে সামিল থাকবে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে।

ছবি : সংগৃহীত

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ