আগামী কাল বিয়ে বাড়ি যাবো। আমার বান্ধবীর বিয়ে। এর পরই আছে আমার পিসতুতো দেওর এর বিয়ে। পর পর দিন পড়েছে। তাই খুব ব্যস্ত আমি। শাড়ি গোছ গাছ চলছে। অনেক গুলো শাড়ি ই গুচিয়েছি। শাড়ির লিস্ট এর ফটো দিলাম। এরপর যখন বিয়ে বাড়িতে শাড়ি গুলো পড়বো কোনটা পড়ে কেমন লাগছে ছবি তুলে রাখবো। সেই ছবি গুলো পরে দেব। কিছু ইমিটেশন গয়না সাথে নিলাম। কারণ বিয়ে বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক টাই দূর। তাই সোনার গয়না পড়ার ভরসা হয় না। তাছাড়া আমরা মধ্যবিত্ত পরিবার। আমাদের ওতো সোনার গয়না নেই। কিছু হলে যেটা আছে সেই টুকুও চলে যাবে। তাই রিস্ক নেব না।
( হলুদ জামদানি টা গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে র সময় পড়বো। আর কোনটা কখন পড়ছি কাল ছবি দেব)বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরেই ছেলের ফাইনাল পরীক্ষা। তাই সব কিছু মিলিয়ে খুব খুব ব্যস্ত। আমি এখন ব্লগ টা লিখতে লিখতে এই ডাল মুট টা খাচ্ছি।
আপনারা কারা কারা আমার মত এইরকম মুখচাট খেতে ভালোবাসে ন, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ফেসবুক, ইউটিউব এ এখন সর্ট ভিডিও দেয়। এর ফলে দর্শক দের চট জলদি পড়াও হয়ে যায়। এখন কার ব্যস্ত দিনে সবাই সর্ট কাট খোঁজে। তাই আমি ও এখন মিনি ব্লগ দিচ্ছি। কেমন লাগছে জানাবেন।
আবার গত কাল আমাদের বাড়ির উঠানে মাঠ থেকে সরষে গাছ এনে গাদা দেওয়া হয়েছে। ছবি দিলাম। এই সরষে গুলো আমাদের মাঠে চাষ করা। এই গুলো আবার ঝাড়তে হবে। শুকোতে হবে। তবে এটা থেকে সরষে বেরোবে। এখন একটু কাঁচা আছে।
( আমাদের চাষের সরষে)
দেখুন সর্ষের শুঁটি গুলো.... এখনো কাঁচা আছে। এগুলোকে শুকোতে হবে। আচ্ছা। আসি। আমি এরপর লেটুস শাক রান্না করতে যাবো। অনেক কাজ। চুলে শ্যাম্পু করবো। ঘর মুচবো। জল। তুলব। পুজো করবো। আবার আসবো মিনি ব্লগ নিয়ে।
( এখনো কাঁচা আছে)
( এই গুলো সরষে গাদা থেকে ঝরে ঝরে পড়ছে। জড়ো করে রাখা হয়েছে।)
আশা করি আপনাদের আমার এই মিনি ব্লগ গুলো আপনাদের ভালো লাগবে। আমি আমার জীবনের ছোট ছোট কোলাজ আমার ব্লগের মাধ্যমে তুলে ধরবো।
লেটুস শাক রান্নার ছবি তুলেছিলাম। রান্নাটা করতে দুপুর দুটো হয়ে গিয়েছিল।
( রান্না চলছে। ভাবছেন তো কেমন হবে? আরে এইভাবে লেটুস শাক করলে আঙ্গুল চেটে খাবে। একদিন করবেন বেগুন আলু দিয়ে লেটুস শাক)
0 মন্তব্যসমূহ