স্বাবলম্বী হতে পারি নি তাই ছোট ছোট ইচ্ছে গুলোও পূরণ করতে পারি না। ( I could not be independent. So I can't fulfill even small wishes


 ( পুরুলিয়া ভ্রমণের ছবি দিয়ে ব্লগ শুরু করলাম।)

সময় এখন বেলা ১১: ৪০ 


আজ 20 জানুয়ারি। সকাল বেলা এখন। প্রতিদিন এর জীবন যাপন এর মতোই আজকের দিনটি খুবই সাধারণ। এখন আমি ছাদে বসে আছি । এই শীত কালে ছাদে বসে রোদ পোহাতে কার না ইচ্ছা করে বলুন তো? কিন্তু ওই যে সময়ের বড়ই অভাব। আজ রোদের তেজ টাও আছে ভালো।

Sunlaight

( কম্বল শুকোচ্ছে)।

তাই ভাবলাম কয়েকদিন কম্বল রোদে দেওয়া হয় নি। আজ একটু ছাদে দিয়ে আসি। তাই ছাদে উঠলাম। দেখুন পুরো ছাদ টা জুড়ে রোদ উপচে পড়ছে। টানা একভাবে বেশকিছুক্ষন থাকলে গরম করবে। তাই আমি হাফ রোদ হাফ ছাওয়া য় আছি। একটু পরই নেমে পড়বো। এখনো স্নান হয় নি। এখন টাইম বেলা 11:43।

আমি একটু বেলা করেই স্নান করি। আমাদের ছাদ থেকে প্রকৃতির দৃশ্যটা কতটা মনোরম তাই না?

 ( ছাদ থেকে প্রকৃতির দৃশ্য) শীত কালে ছাদে রোদ


চলো এখন বাই। স্নান করে আসছি। আবার একটু পর এর সময় কার জীবন লিপি নিয়ে আসছি। 


এখন সময় দুপুর ১: ০২ মিনিট:


১১:৪৫ নাগাদ আমি ছাদ থেকে নেমে স্নান এর জন্য তোড়জোড় শুরু করলাম। তার আগে একটা ভালো শাড়ি রোদে দিয়েছিলাম সেটা তুলে আনলাম।

( এই শাড়িটা কেমন দেখতে? এটা একটা হ্যান্ডলুম শাড়ি)

ঐটা পড়ে আমি গতকাল একটা জন্মদিন বাড়ি গিয়েছিলাম। তারপর গতকাল কিছু গ্রোসারি কিনেছিলাম সেই গুলো গুছিয়ে রাখলাম। বাথরুম দুটো পরিষ্কার করলাম। তারপর গিয়ে স্নান সারলাম। আমি স্নান এর সময় একটু আটা, গোলাপজল, গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে মুখে মেখেছিলাম।


( ফেসপ্যাক )

এটা দিয়ে ফেস টা ক্লিন করলে দারুন পরিষ্কার হয়। স্নান সেরে জামা কাপড় শুকোতে দিতে ছাদে গেলাম।

( স্নান সেরে আমি ) কেমন লাগছে? রোদের জন্য তাকাতে পারছিলাম না। ঠিক মতো। 


তখন নিজের একটা ছবি ও তুলে নিলাম। ছাদ থেকে নেমে পুজো সারলাম। আর হ্যা, স্নানের পর একটা লেবু খেয়েছি। ১১:৪৫ এর পর থেকে ১ টা অবধি এত কিছু করলাম। সেই গুলোই নোট করে রাখলাম। আপনাদের সাথে আরো অনেক কিছু আমার জীবনের শেয়ার করবো আস্তে আস্তে। এখন আমি ঐ ১৫/ ২০ মিনিট মতো একটা গল্পের বই পড়বো। এটাও আমার সারাদিনের একটা নেশা বলতে পারেন।

গল্প বই টার ছবি দেবো।

Bengali story book

( এই বই টা খুব সুন্দর। আপনারাও পড়তে পারেন। )


তারপর ওই ১:৪৫ নাগাদ দুপুর এর খাবার খাবো। আমার সারাদিনের কাজের গতিবিধি আপনাদের কেমন লাগছে জানাবেন । আমি এখন আসি। আবার আসবো কিছুক্ষন পর। আমার জীবন ধারার কিছুটা অংশ তুলে ধরতে। 


এখন সময় দুপুর ৩ টে।

খাওয়া দাওয়া সেরে ঘরে এলাম। দুপুরের সব কাজ প্রায় শেষ বাসন ধোয়া, জামা কাপড় তোলা। ছেলে স্কুল থেকে ফিরবে বিকাল ৪:১০ । তারপর ওকে ভাত খাওয়াবো। আমার ছেলের বয়স সাত। এখনো নিজে থেকে খাই না। খেলে অর্ধেক খেয়ে অর্ধেক রেখে দেয়। মায়ের মন বুঝতেই পারছেন। তাই খাইয়ে দিই। এই সময় টুকু একটু রেস্ট এ থাকি আমি। জানেন তো বাড়ির গৃহবধূ রা যতই কাজ করুক সেই কাজের কোনো দাম থাকে না। প্রত্যেকটা মানুষ এরই তাই স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা উচিত। আমার কোনো ইনকাম নেই। বর এর টাকায় খাই , ঘুরি। লজ্জা লাগে খুব জানেন তো। কিন্তু আমার বাড়ি টা গ্রাম অঞ্চলে এমন জায়গায় এখান থেকে বেরিয়ে জব করা খুব মুশকিল। তাছাড়া বাড়িতে শশুর, শাশুড়ি আছেন। বর অফিস বেরিয়ে যান। আমাকেই তাদের খেয়াল রাখতে হয়। তাই এই একটু অনলাইনে লেখালিখি করি। সুবিধা কিছুই হয় নি। মানে কোনোরকম টাকা এখনো ও এটা থেকে আমি পাই না। তবু ওই মাঝে মাঝে মনে হয় যদি কিছু করতে পারি এই আরকি। আমার নিজের মনের এই কষ্ট টা কাউকে বোঝাতে পারি না। কিছু একটা করতে পারলে তো নিজেরই ভালো বলুন না। নিজের ইনকাম কিছু কেন, বর কে গিফট দেয়া, ছেলের পছন্দ মতো কিছু সারপ্রাইজ দেয়া আমি কিছুই পারি না। আমি এতটাই হতভাগ্য মা, বউ, আমার মা- বাবার মেয়ে। আমি নিজের টাকায় কোনোদিন মা বাবাকে কিছু দিতে পারি নি। এখন আমার বাবার  শরীর টা কয়েকদিন খারাপ যাচ্ছে। পাশে দাঁড়াবার মতো ও আমার নিজস্ব সামর্থ নেই। বর যথেষ্ট দেয়। করেও। সে নিযে আমার অভিযোগ নেই।  কিন্তু আমার হাতে কোনো অর্থ নেই। যা দিয়ে মা বাবার পাশে আমি থাকতে পারি। কি আর বলবো। সবই আমার কপাল। আপনাদের সাথেই শেয়ার করলাম। বর কে বললে বলে আমি আছি তো। তোমায় ইনকাম করার দরকার কি ? কেন দরকার সে আর কি বুঝবে। যাক আমি এই অবসরে একটা ব্লাউস এর হুক বসানোর কাজ টা সেরে নিই। আবার বৈকালেই ছেলে এসে যাবে। তখন ওকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবো।  এখন কার মতো আসলাম। 


সন্ধেয় ৬ টা

দেখুন এই ব্লাউস টা আমি ফেব্রিক করেছি। কেমন হয়েছে বলুন তো?


( এটা। আমি একবার ব্যবহার করে ধুয়েছিলাম তো। তাই একটু কুঁচকে গেছে )

ওই অবসরে টুকিটাকি করি আর কি। এই মাত্র রাতের খাবার করে রান্নাঘর থেকে এলাম। আমি সন্ধের মধ্যেই রাতের খাবার তৈরি করে নিয়ে থাকি। আমি ৬:৩০ থেকে ছেলে পড়তে বসাই। ওর কোনো টিউশন টিচারনেই। আমি ই পড়াই। ভীষণ দুস্টু আমার ছেলে। পড়াতে নাজেহাল হয়ে যেতে হয় আমায়। আর সারাদিন কাজের পর পড়াতেও কেমন হয়। কিন্তু করার কিছু নেই। এটা তো আমাকেই করতে হবে তাই না? তাহলে আমি ছেলেকে হালকা কিছু স্ন্যাকস দিয়ে পড়তে বসাই। আর এই ব্লগ টা রাতের ডিনার দেখিয়ে শেষ করবো। দেখা হবে আজকের লাস্ট বার এর জন্য। রাত ৯: ১৫ তে। এখন টাটা....


রাত ৯:৪০ 

এই সবে ডিনার হলো। রুটি ,ডাল, ছানা আজকের মেনুতে ছিল। আমার প্রতিদিনের জীবনে র একটা দিন শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আজ তাহলে আসি। ব্লগটা আর একটু পরেই পোস্ট করে দেব। ছবি গুলো দিতে হবে তো তাই এককটু দেরি হবে। শুভ রাত্রি।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ