(Manali, sishu image)
তুমি যাকে সবথেকে বেশি ভালোবাসবে সেই তোমাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত দেবে। সুতরাং ভালোবাসো, কিন্তু জীবনের সব কিছু বিলিয়ে দিয়ে নয়। ভালোবাসো বলে এই নয় যে, নিজের জীবনের একান্তই কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা কিংবা স্মৃতি তাকে বলে নিজের বুক টা হালকা করবে। জানি, সকলে বলে নিজের প্রিয়জনের কাছে গোপন কথা , মানে যে কথা গুলো কাউকে তুমি বলতে পারো নি সেগুলো শেয়ার করাই যায়। আসলে কি বলোতো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, সেই প্রিয়জনটাই আপনার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করলো। তাই বলছি নিজের কিছু গোপন তথ্য সেটা একান্তই গোপন থাকাই ভালো
।
তোমায় কিন্তু কেউ ইচ্ছে করলেই আঘাত দিতে পারবে না। যদি না তুমি তাকে নিজে সেই জায়গাটা করে দাও। মানুষ আঘাত পায় কখন জানো? যখন সে নিজের কাছের মানুষটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। তুমি যাকে যতবেশি গুরত্ব দেবে সে তোমায় ততই অবহেলা করবে। তাই কাউকে প্রয়োজন এর তুলনায় একটুও বেশি জায়গা ছেড়ে দিতে নেই। নিজের প্রিয়জনের যত অর্থ, সম্পত্তিই থাকুক না কেন তবু নিজেকে স্বাবলম্বী হওয়া খুব জরুরি। সেটা যেমন ই হোক। কোনো কাজই তো ছোট না। নিজের পায়ে দাঁড়ানো মানেই নিজে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়ানো। যেখানে দিনের পর দিন ভালোবাসা, সম্মান, বিশ্বাস এর বদলে অবহেলা, অপমানিত হবে সেখান থেকে অর্থাৎ সেই সম্পর্ক থেকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসা উচিত।
আমাদের জীবনটা খুব ছোট জানো তো। কাল কথাটা র মানেও খুব অনিশ্চিত। আমরা আজ আছি কাল নেই। তাই প্রতিটি মুহুর্ত ই আমাদের সুন্দর ভাবে বাঁচা উচিত। এই সংক্ষিপ্ত জীবনে একজনের কাছ থেকে অবহেলিত হচ্ছ মানে এই নয় যে, তোমার জীবনের কোন গুরত্ব নেই। হয়তো যাকে তুমি এতদিন তোমার কাছের মানুষ ভেবে এসেছো তার কাছে তোমার প্রয়োজন শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু এই গোটা পৃথিবীর কাছে তুমি খুব মূল্যবান। তুমি নিজের কাছে নিজে খুব মূল্যবান।
সুতরাং একজন তোমায় রিজেক্ট করেছে মানেই এই নয় যে তোমার জীবনটা শেষ হয়ে গেল। যে কোনো মুহূর্ত, যে কোন সময়, যে কোন বয়স থেকেই মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কারো প্রেমে ব্রেকাপ হলে কিংবা ডিভোর্স হলে আমরা খুব লজ্জিত হই। ভাবি সকলের সামনে মুখ দেখাব কি করে, কি করে পাড়া প্রতিবেশী দের সামনে দিয়ে বেরোব? লোক হয়তো আমায় দেখে হাসাহাসি, খিল্লি করবে। এইসব ই মাথায় চলতে থাকে, তার ওপর প্রতারিত হওয়ার যন্ত্রনা তো আছেই। একবার ভেবে দেখো তো , প্রেম তো করেছিলে বিশ্বাস ঘাতক টার সামনে তুমি। বাইরের লোক তো নয়। তারা কি করে জানবে কি জন্য তোমাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তাছাড়া তোমায় কি তারা খাওয়ায় নাকি পড়ায়। তোমার জীবন নিয়ে তারা কথা বলতে আসবে কেন ? আর আসেই যদি তুমি তাদের তোমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলার অধিকার দেবে কেন। আর ডিভোর্স হলে স্বামী, স্ত্রী এর মধ্যে হয়। তাদের মনোমালিন্য র জন্য ছাড়াছাড়ি হয়েছে । এতে বাইরের লোক কেন উস্কানি দেবে কিংবা টোন টিটকারি কাটবে। সংসার তো করে ছিলে তুমি। তোমার কোথাও মনে হয়েছে উল্টো দিকের মানুষটা র সাথে আর পথ চলা সম্ভব নয়। তাই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছ তোমরা। সুতরাং এটা এমন কিছু অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
নিজের জীবনটাকে নিজের মতো সুন্দর ভাবে কাটানোর চেষ্টা করো। সর্বোপরি নিজেকে ভালো রাখতে শেখো। এটা আগে জরুরি। দরকার হলে কাউকে জীবনসঙ্গী / জীবনসঙ্গিনী করার দরকার নেই। জীবনটা নিজের মতো করে উপভোগ কর। থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে দেখব এবার জগৎ টাকে। কবি নজরুল ইসলাম যথার্থ ই লিখেছেন। সুতরাং ঘুরতে থাকো, পৃথিবীর রং, রস চুটিয়ে অনুভব করো।
এবার আমার লেখা পড়ে অনেকে বলবে শুধু নিজের কথা ভাবলে হবে পরিবারের লোক জনদের কথাও তো ভাবতে হবে। তাদের বিপদে অপদেও তো পাশে থাকা উচিত। হ্যাঁ, অবশ্যই থাকবে। আমি শুধু বোঝাতে চাইছি কারো বিরোহে কিংবা লোকের কথায় কান দেবেন না। নিজের পরিবারের পাশে থাকুন। যারা তোমার প্রকৃতই বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশী তাদের পাশে থাকুন। বিয়ে নামক সম্পর্কে না জড়াতে চাইলে করতে হবে না বিয়ে। নিজের আর্থিক ক্ষমতা থাকলে সন্তান দত্তক নিন। কিংবা কোনো অনাথ আশ্রম কিংবা বৃদ্ধাশ্রমে এর সাথে নিজেকে যুক্ত রাখুন ভালো থাকবেন।
বিয়ে না করলে অনেকে বলবে শেষ বয়সে তাহলে কে দেখবে কিন্তু এখন এমন অনেক বৃদ্ধাশ্রম আছে সেখানে কিছু অর্থ দিলে থাকা যায়। আর ওখানকার মানুষ জন খুব মিলেমিশে থাকে। আশা করি বাকি জীবনটাও ভালোই কাটবে। কিন্তু আবারো বলছি তার জন্য নিজে স্বাবলম্বী হওয়া খুব জরুরি। তবেই তো অর্থ আসবে হাতে। পরলোকের কাছে পড়ে পড়ে লাথি, ঝাঁটা খাওয়ার চেয়ে সরে এসে এভাবে জীবন টা উপভোগ করা অনেক অনেক ভালো।
লেখাটা ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন সকলে।
ছবি গুলো আমার। আপনারা সকলেই জানেন আমি রিসেন্ট সিমলা, মানালি ঘুরে এলাম। তারই কিছু ছবি দিলাম।
1 মন্তব্যসমূহ
92D0FAEC0E
উত্তরমুছুনTakipçi Satın Al
Footer Link Satın Al
Online Oyunlar
Pasha Fencer Hediye Kodu
Whiteout Survival Hediye Kodu