13 মার্চ 2024
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছি সাত টার সময়। আসলে আমি এখন বাবার বাড়ি আছি। তাই সংসারের কাজ থেকে কয়েকদিন মুক্ত। তবে মা কে তো হেল্প করতেই হবে। তাই সেটুকু টুকিটাকি কাজ করছি। আচ্ছা, আমি এক ধরণের অদ্ভুত খাবারের প্রতি খুব আসক্ত। যেটা বিষয়ে আপনাদের জানাতে চাই। আমি যে রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাইছি এই রেসিপিটা সম্ভবত আপনারা আগে কখনো ট্রাই করেন নি। আবার করতেও পারেন। রেসিপিটি আহা মরি কিছু না। খুবই ফাঁকিবাজি একটা রেসিপি। কিন্তু যারা স্পাইসি লাভার, তাদের অনেক ভালো লাগবে রেসিপি টা। এবার জানতে চাইছেন রেসিপিটা কি তাই তো? রেসিপিটার নাম শুনলে আপনারা আৎকে উঠবেন। ভাববেন আমি কি নাটক করতে বসলাম নাকি! আরে না না। সেরকম কিছু না।
আচ্ছা, রেসিপিটার নাম বলেই দিচ্ছি ফ্রায়েড রাইস। আরে, আরে, ভুল বুঝবেন না প্লিজ। এটা সেই ফ্রায়েড রাইস নয়। মানে চাইনিজ দের মতো ফ্রায়েড রাইস নয়। একে বলতে পারেন ফাঁকিবাজি ফ্রায়েড রাইস, কিংবা দেশি/ ঘরোয়া ফ্রায়েড রাইস, কিংবা স্পাইসি ফ্রায়েড রাইস/ নাহলে বলতে পারেন গরিবের ফ্রায়েড রাইস। রেসিপিটা দেখে আপনারাই কমেন্ট করে জানাবেন এই রেসিপিটা র নাম কি দেওয়া যেতে পারে। আমি বাবার বাড়ি আসলে প্রায়ই রাতের ডিনার এ এটা বানিয়ে থাকি। গতকাল রাতে বানিয়েছিলাম। আসলে বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়েই এই রেসিপিটি করা যায়।
চলুন রেসিপি শুরু করা যাক।
এই ফ্রায়েড রাইস টা বানাতে আমি যে যে উপকরণ নিয়েছি তা হলো :
১: পেঁয়াজ : ২টি বড় সাইজের
২: রসুন : ৪ কোয়া কুচি করে নিতে হবে
৩: কাঁচা লঙ্কা : ৪ টে কুচি করে নিতে হবে
৪: আলু : ১ টা সরু লম্বা করে কেটে নিতে হবে
৫: টমেটো : বড় ১ টা কুচি করে নিতে হবে
৬: নুন : পরিমান মতো
৭: হলুদ গুঁড়ো : হাফ চা চামচ
৮: সর্ষের তেল : প্রয়োজন মতো
৯: যে কোনো মশলা : আমি পাস্তা মসলা ব্যবহার করেছি
১০: গোটা জিরা : হাফ চামচ ( ফরণ এর জন্য)
১১: দুপুরে র বেঁচে যাওয়া ভাত।
( ছবি : এখানে সব উপকরণ কেটে নিয়েছি।)
রান্নার প্রস্তুতি :
প্রথমে আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা, রসুন ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
এবার ছবিতে যেমন দেওয়া আছে সেই রকম ভাবে কেটে নিতে হবে।
রান্নার পদ্ধতি :
কড়াই গরম করে নিতে হবে।
সর্ষের তেল দিতে হবে।
( তেল গরম করে নিচ্ছি।)
তেল গরম হয়ে গেলে গোটা জিরা ফরণ দিতে হবে।
১০ সেকেণ্ড পর রসুন কুচি গুলো দিতে হবে।
একটু নাড়াচাড়া করে রসুন এর গন্ধ টা ভালো ভাবে ছাড়লে এতে দিতে হবে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ।
( পেঁয়াজ ভাজা চলছে। এখন রাত ৮: ১৫)
পেঁয়াজ অল্প ভাজা হলে ওতে লম্বা সরু করে কেটে রাখা আলু দিতে হবে।
( আলু ভাজা চলছে )
আলু পেঁয়াজ ভাজার সময় একটু নুন হলুদ দিয়ে দিতে হবে।
এর ফলে আলু পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি ভাজা হয়ে যাবে।
আলু, পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে কুচানো টমেটো এবার বেশ কিছুক্ষণ নাড়তে হবে।
(টমেটো দিলাম)
টমেটো গোলে গেলে আগে থেকে করে রাখা ভাত এতে দিয়ে দিতে হবে। এখানে মূলত সাধারণ আমরা যে চাল টা ভাতের জন্য খাই সেটাই ব্যবহার করেছি। আসলে এটা বেঁচে যাওয়া ভাত দিয়েই করতে হয়।
ভাতটা দিয়ে গ্যাসের আঁচ সিমে রেখে ভাত টা ভেজে নিতে হবে।
সব শেষে দিতে হবে মশলা।
শেষে একটু ধোনে পাতা কুচি দিলে আরো ভালো হয়। আমার কাছে ছিল না তাই দিই নি।
কেমন লাগলো রেসিপিটি জানাবেন। আর হ্যাঁ, রেসিপিটা র একটা নামকরণ দিতে ভুলবেন না। এটা কিন্তু গরম গরম খেতে হেব্বি লাগে। একবার আমায় বিশ্বাস করে ট্রাই করতে পারেন।
আহা! বেশ ....বেশ...বেশ...
এই হলো আমার ফ্রায়েড রাইস। রান্নাটা হয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিয়েছি।
এবার খাওয়ার পালা
( এটা আমার থালা)
এতটা পেটে চলে গেছে অলরেডি
এবার শেষ।
আজ কের ফাঁকিবাজি রান্না এই পর্যন্তই।
0 মন্তব্যসমূহ