17 মার্চ 2024
শুভ দুপুর বন্ধুরা। সকলে কেমন আছেন? আশা করি সকলেই খুব ভালো আছেন। আমি ও খুব ভালো আছি। আবার চলে এলাম আর একটা নতুন ব্লগ নিয়ে। জীবনের নতুন কিছু অনুভূতি, আবেগ, গল্প, জীবনধারা নিয়ে আবার চলে এসেছি।
( ছবি : আমাদের গাছের ফুল)
শশুর বাড়ি আছি এখন। কাজের ব্যস্ততা। সকালে ব্লগ লেখা তো এখানে সম্ভব নয়। তাই দুপুরে খেয়ে দিয়ে বাসন ধুয়ে এই এলাম। একটু সময় কাটাতে। নিজের সাথে, আপনাদের সাথে। এই কয়েকদিন খুব রিচ সব খাওয়া দাওয়া হয়েছিল বাবার বাড়ি। তাই আজ শশুর বাড়ী ফিরে একটু ডায়েট খাবারের প্ল্যান করি। আজ কে যে সমস্ত খাবার খেলাম দুপুর অবধি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
৫:৩০ টায় ঘুম থেকে উঠে ই আমার নিত্য সকালের সঙ্গী এই থাইরয়েড এর ওষুধ আমায় খেতে হয়।
( ছবি : থাইরয়েড এর ওষুধ)
সকাল ৬ টায় খেলাম আমলা জুস। সাথে কয়েকটা থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতার যে কত গুন তা বলে শেষ করা যাবে না।
আমলা জুস এর কিছু উপকারিতা : ( benefits of amla juice)
খালি পেটে সকাল বেলা আমলা জুস খাওয়া শরীর এর পক্ষ্যে খুবই উপকারী।
আমলা শরীর কে ডিটক্সি ফাই করতে সাহায্য করে।
শরীর এর ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আমলায় থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন বাড়িয়ে স্কিন কে নরম ও ঔজ্জ্বল্য ময় করে তোলে।
আমলা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
পেটের সমস্ত রো গ সারাতে আমলা খুবই উপকারী।
তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আমলা।
( ছবি : আমলা জুস সাথে থানকুনি পাতা)
( daily blog/ motivation speech)
থানকুনি পাতার উপকারিতা :
থানকুনি পাতা তিন থেকে চারটি প্রতিদিন খেলে তা পেটের জন্য খুব ভালো। পেটের যে কোনো ধরনের সমস্যা সারাতে থানকুনি পাতা চমকপ্রদ ভাবে কাজ করে।
৭ টায় করলাম ব্রেকফাস্ট। ছবিতে দিলাম। এটা খুবই ভালো হেলদি একটা ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্ট এ ছিল দুধ, কর্ণফ্লেক্স, আপেল, কলা, খেজুর।
( ছবি : ব্রেকফাস্ট)
আজ আমি ১০ টার সময় এই ফল গুলো খেয়েছি।
প্রতিদিন এর খাবারে যে কোনো অন্তত দুটি সিজনাল ফল রাখা খুব জরুরী। আজকে শসা, তরমুজ, টমেটো নিলাম।
( ফ্রুট টাইম)
লাঞ্চ এ খেলাম এই গুলো।
ব্রাউন রাইস। সবজি দিয়ে জাস্ট ফ্রাই করে নেওয়া। অল্প চিকেন আর টক দই।
আসলে এই কদিন বাবার বাড়ি অনেক কিছু খেয়ে নিয়েছি চিকেন, মাটান, আলুর পরোটা, পেটাই পরোটা, মোমো, চাউমিন , পাস্তা, ফুচকা ও খেয়েছি দুদিন। এখন একটু পেট টাকে রেস্ট দেওয়ার পালা। তাই এইসব খাওয়ার আয়োজন। জানেন তো বন্ধুরা আমার ওজন ছিল ৭০ কেজি। আমি এখন ৫৫কেজি। আমি খুব হেলদি ডায়েট করে সাথে কিছু যোগা করে এই ওজন টা কমিয়েছি। তবে আমি কিন্তু খুবই ফুডি। আমি খাই আবার ওজন কমিয়েও ফেলি।
( ঝিঙে সিদ্ধ ছবিতে)
এই তো দেখলেন, আমার দুপুর অবধি খাওয়া দাওয়ার ছবি।
এবার একটু গল্প করি। জানেন, আমাদের জমিতে অল্প একটু মানে বিক্রি করার জন্য নয় খাওয়ার জন্য একটু পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছিল। সেগুলো এখন বাড়ি এসেছে। এইগুলো এইভবে এখন কয়েকদিন রোদে দিতে হবে। আমি দেখুন ছবি দিলাম। নিজেদের চাষের জিনিস এর স্বাদ ই আলাদা হয়। কি বলেন আপনারা? আমি ঠিক বললাম তো?
( পেঁয়াজ রোদে শুকনো করা হচ্ছে)
( পেঁয়াজ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে পোজ দিলাম একটু)
( রোদে শুকানোর পর ঝুড়িতে তুললাম।)
এই তো সারাদিন টা এইভাবে কেটে গেল, কাজে কাজে। কিন্তু বন্ধুরা কাজ যতই থাক নিজেদের জন্য একটু হলেও সময় বের করে নেবেন। এটা আমাদের নিজেদেরই দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। নিজে যতক্ষন কিছু না অর্জন করছেন ততক্ষন কারোর কাছেই আপনি কদর পাবেন না।
আমাদের জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময়। এখানে নানারকম মানুষের ভিড়। এত ভিড়ে কে আসল কে নকল বোঝাই দায়। আজ যাকে প্রিয়জন বলে ভাবছেন সেই যে কোনোদিন আপনার সাথে অন্যরকম ব্যবহার করবে না তার গ্যারেন্টি কোথায়? তাই বলছি বন্ধুরা কাউকে ভালোবাসা,বিশ্বাস করা ভালো তবে নিজের সব টুকু উজাড় করে দিয়ে নয়। তাঁর জন্য ভাবুন, করুন ঠিক আছে। কিন্তু নিজের সত্ত্বা টাকেও গুরুত্ব দিন।
এখন হচ্ছে প্রতিযোগিতা র যুগ। এখন এমন কোনো জায়গা নেই যে যেখানে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রমান দিতে হয় না। দেখুন না ফুটবল ম্যাচ থেকে, পাড়ায় অঙ্কন প্রতিযোগিতা, রাজনীতির ক্ষেত্রে কিংবা এই অনলাইন গরূপ সব জায়গা তেই নিজেকে টিকিয়ে রাখতে চাইলে নিজেকে ই খাটতে হবে। বার বার ব্যর্থ হলেও সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার এগিয়ে চলতে হবে। তবেই তো কাঙ্খিত চাহিদা টায় যাওয়া সম্ভব। প্রতিযোগিতা এখন সব জায়গাতেই একটা ভিখারীকেও আর একটা ভিখারির সাথে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হচ্ছে। যেখানেই যাবেন আপনি সেখানেই লোকের ভিড়। কিন্তু আমাদের এত ভিড় দেখলে ফিরে আসলে হবে না। লড়াই টা লড়ে নিতে হবে। এত লোক, এত প্রতিযোগিতা, এত ট্যালেন্ট, এত অর্থ তাদের এইসব কিছু নয়। কিচ্ছু না। আসল হলো মনের অদম্য ইচ্ছা। আর জেদ। আপনার মনের সেই জেদ টা যদি থাকে ঠিক আপনি হেরে যেতে যেতে ঠেক পেতে পেতে ঠিক সেই জায়গায় পৌঁছে যাবেন। আর হ্যাঁ, উপরওয়ালা বলেও একজন আছেন। যিনি সবটা দেখছেন। যে শুধু তার ওপর ভরসা করে আছেন তিনি কিছুই পাবেন না হতে। যিনি তাকে স্মরণ করে নিরলস চেষ্টা করে যাবেন সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ অবশ্যই অবশ্যই তার মাথার ওপর থাকবে এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সফল তো জীবনে তারাই হন যারা নানা ঘাত প্রতিঘাত এও দমে না গিয়ে এগিয়ে চলে। যদি সবসময় এই চিন্তা তেই বিভোর হয়ে থাকি আমায় সেই জায়গায় পৌঁছাতেই হবে, আমায় অমুক হতেই হবে সারাদিন যদি চিন্তাতেই পরে থাকি তাহলে কি আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারবো? কখনোই না। আমাদের ছুটতে হবে। স্বপ্নের পিছনে দৌড়াতে হবে। স্বপ্নটাকে সত্যি করার জন্য খাটতে হবে, পরিশ্রম করে যেতে হবে ।
আমি কি চাই সেটা আমাকেই অর্জন করে নিতে হবে। কেউ আমার জন্য আত্মত্যাগ করবে না। কারোর ওপর ডিপেনডেন্ড হয়ে থাকা একদম উচিত নয়। কারো থেকে কিছু আশা করাও উচিত নয়। এতে নিজের প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস জন্মায়। কে কখন করে দেবে কারোর মুখের দিকে চেয়ে বসে থাকি না। আমার কাজ আমাকেই করতে হবে। এই আমার নীতি।
নিজের কর্মকান্ডে ডুব দিন। আজ যে আপনার কাজ নিয়ে হাসাহাসি করছে , যে আপনাকে এড়িয়ে আপনার ফোন রিসিভ করছে না দেখবেন একদিন সেই ই আপনার কর্মকান্ডের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছে। সুতরাং নিজেকে একদম ছোট মনে করবেন না। শুধু এগিয়ে যেতে হবে। লক্ষ্য স্হির রেখে এগিয়ে চলতে হবে।
কেউ যদি আপনাকে ব্যস্ততার বাহানা দেখায় দিনের পর দিন তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনাকে তার আর প্রয়োজন নেই । আসলে বাস্তব জীবনে কেউ এত টাও ব্যস্ত নয় যে অন্যজন এর উপদেশ কিংবা একটু সঙ্গ দেওয়ার সময় নেই। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে অন্য জনের কাছে আপনার প্রয়োজন টা ফুরিয়েছে।
সুতরাং বাস্তব জীবনে দাঁড়িয়ে সব কাজের পাশাপাশি নিজে কোনো কিছু অর্জন করার চেষ্টা করুন যাতে সকলে আপনাকে সন্মান করেন। ভালোবাসেন।
আজ এই পর্যন্তই বন্ধুরা। আবার আগামী কাল আসব নতুন ব্লগ নিয়ে। নিজের মনের অনুভূতি গুলো লিখতে লিখতে কখন যে বিভোর হয়ে গিয়েছিলাম ভুলে গেছি। কিছু বাজে কিছু বলে ফেললে ক্ষমা করে দেবেন। আমার মনের যা অনুভূতি তাই শেয়ার করলাম।
আপনাদের আমার ডেলি ব্লগ কেমন লাগছে জানালে উপকৃত হব। তাহলে আমার পরের ব্লগ লিখতে আরো উৎসাহ পাব।আজ আসি। সকল এ ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
0 মন্তব্যসমূহ