
নমস্কার বন্ধুরা। আমি তনুশ্রী আবার হাজির হয়ে গেছি আপনাদের কাছে নতুন একটা ব্লগ নিয়ে। আশা রাখছি আপনারা ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। নতুন কিছু জীবনের আবেগ, অনুভূতি নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম।
সকাল থেকে নিত্য সংসারের যা কাজ ছিল তা তো করেইছি। এখন যেটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো ছেলের অলিম্পিয়াড পরীক্ষা। তাই নিয়েই একটু ব্যস্ত। আচ্ছা, অনেকেই জানেন আর্য্যর বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। এখন স্কুল কয়েকদিন ছুটি থাকবে। এই বারে ও ক্লাস ওয়ান এ উঠবে। এই বছর থেকেই ও অলিম্পিয়াড পরীক্ষা গুলো দিতে পারবে। পরীক্ষা টা হবে সেই অক্টোবর - নভেম্বর মাসে। যেহেতু স্কুল এখন বন্ধ আছে তাই আমি এখন থেকেই এই বই গুলো প্রাকটিস করাচ্ছি। আপাতত ম্যাথ বই টাই দুটো কিনেছি। বই গুলোর ছবি দিলাম।
এই গুলো আমি অনলাইন থেকেই কিনেছি। এই বই থেকেই কোশ্চেন এর প্যাটার্ন দেখে আমি প্রাকটিস করতে দিচ্ছি আর্য্যকে। ও পারছে কিন্তু কোশ্চেন টা ওকে একটু বলে দিতে হচ্ছে। এই ম্যাথ গুলো সকাল বেলায় রান্না সেরে লিখে রেখেছিলাম । ও সন্ধেয় বেলায় করবে। অবশ্যই আমার একটু হেল্প লাগবে।
বিগত কয়েকদিন আমি বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম আর্য্যর ছুটি তাই। এই কয়দিন এ দু তিন দিন ঝড় , বৃষ্টি হয়েছিল সন্ধ্যের দিকে। তাই জন্য ছাদে জল জমে গিয়েছিল। আমপাতা, বাঁশ পাতা উড়ে এসে ছাদে পড়েছে। বরমশাই এর যেহেতু পায়ে চোট লাগার জন্য প্লাস্টার করা ছিল তাই ছাদে উঠতে পারে নি। আজ সেই জন্য ছাদ পরিষ্কার করতে লেগে গেলাম। এই যে দেখুন আসে পাশে থেকে পাতা নোংরা পড়ে কি অবস্থা ছাদ টার।
আমি ঝাঁট দিতে ব্যস্ত।
( কেমন পরিষ্কার হলো বলুন?)
প্রায় আধ ঘন্টা লাগলো পুরো পরিষ্কার করতে। এবার কি সুন্দর পরিষ্কার লাগছে দেখুন।
ছাদ পরিষ্কার করে স্নান করতে গেলাম। আজ শ্যাম্পু করলাম। তাই স্নান করতে একটু দেরি হলো। আমি এই শ্যাম্পু, কন্ডিশনার টা ব্যবহার করি।
আমি যেহেতু এক বছর আগে হেয়ার স্ট্রেট করিয়াছিলাম। তাই পার্লার থেকে রি শ্যাম্পু, কন্ডিশনার সাজেস্ট করেছিল। আমি এটাই ব্যবহার করি। খুব ভালো শ্যাম্পু কন্ডিশনার দুটোই। আর হ্যা, চুল স্ট্রেট করে আমার কিন্তু কোনো সমস্যা য় ভুগতে হয় নি। বরঞ্চ আমার চুল পড়া একেবারেই কমে গেছে। অনেককেই বলে চুল স্ট্রেট করলে চুল খারাপ হয়ে যায়। আমার কিন্তু সেই রকম বিন্দুমাত্র প্রবলেম হয় নি। তাছাড়া এখন এক বছর হয়ে গেছে। প্রচুর হেয়ার হয়েছে। তাই এবার আমার নিজস্ব কার্লি হেয়ার বেরোচ্ছে।
স্নান এর সময় এই দুটো ফেস ওয়াশ এর মধ্যে একটা ব্যবহার করি। কম রেঞ্জের মধ্যে ভালো দুটো ফেসওয়াশ ই।
আর এই বডি ওয়াশ টা ব্যবহার করি। ছবিতে দিলাম।বডিওয়াশ টা আমি অনেকদিন ধরেই ব্যবহার করি।
স্নানের পর এই জেল টা এখন মুখে ব্যবহার করছি। আর এই বডি অয়েল টা । সব কয়টি র ছবি আমি দিলাম। সব গুলোই আমার স্কিনে ভালো ভাবে শুট করে।
এই তো ছিল আমার সারাদিনের কিছুটা অংশ যে গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
তবে আজকে যে বিষয়ে কথা বলতে চাই সেটা হলো আপনারা কি করলে অন্যদের কাছে নিজের গুরত্ব টা পাবেন। অর্থাৎ আপনি যদি অন্যজনের কাছ থেকে সন্মান পেতে চান, কিংবা আপনি যদি চান অন্যজন আপনার কথা গুলো রেসপেক্ট দিক, আপনাকে গুরুত্ব দিক তাহলে আপনাকে কি করতে হবে।
আপনাকে তিনটি কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। এই তিনটি বিষয় মেনে চললেই আপনাকে দেখবেন সবাই গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনাকে তারা ভরসা করছে। আপনার ওপর তাদের অসীম বিশ্বাস জন্মাচ্ছে। সেগুলি হলো,
১: অন্যের কথার গুরুত্ব দেওয়া:
হ্যা, ঠিকই বলছি। আপনি যদি অন্যদের কাছে নিজের গুরুত্ব পেতে চান তাহলে আপনি প্রথমে আপনার বিপরীতে থাকা মানুষ টিকে কিংবা মানুষ জনকে বেশি গুরুত্ব দিন। তার কথা শুনুন। আপনি যদি ভালো শ্রোতা হতে পারেন তবেই অন্যজনের কাছে আপনি বিশ্বাস যোগ্য হতে পারবেন। আমরা সকলে বলতে ভালোবাসি। বর্তমান সময়ে আমরা কম বেশি কিছু না কিছু নিয়ে চিন্তাশীল । কাউকে কাছে পেলে নিজের মনের সব কথা উজাড় করে দিই।
ধরুন কেউ একজন তার কষ্টের কথা আপনার কাছে বলতে এলো আপনি যদি তার কথা থামিয়ে তার কথারই রেশ টেনে বলতে থাকেন আমার ও তো একই অবস্থা আর কি বলবো বলুন অমুক তুসুক তাহলে অন্যজন ভাববেন আপনি তাঁর কথা পুরোটা শুনলেনই না। নিজে বকতে শুরু করে দিলেন। এতে আপনি তার কাছে গুরুত্ব পাবেন না। আপনি যদি তার কথা মন দিয়ে শোনেন সেও আপনাকে ভরসা করবে , আপনি তার কাছে বিশ্বাস যোগ্য হয়ে উঠবেন। ফলে আপনি তার কাছ থেকে গুরত্ব, সন্মান দুটোই পাবেন।
2: নিজেকে সবাই এর কাছে সহজলভ্য করবেন না :
আমরা অনেকেই নতুন প্রেমে পড়লে কিংবা নতুন কোনো গরুপ এ জয়েন হয়ে এত বেশি কথা বলি এতে কিছুদিন পর দেখা যা যায় আমরা অবহেলার পাত্র হয়ে গেছি। প্রেমে পড়লে মিনিটের পর মিনিট ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে থাকি। এতে নিজে দের গুরুত্ব হারিয়ে যায়। অনেকেই তখন আপনাকে সস্তার মনে করবে। প্রেমে পড়েছেন ঠিক আছে, কিন্তু নিজের বাস্তব কাজটার প্রতি ই প্রথম প্রায়োরিটি আপনার থাকা উচিত।
3: সবসময় হাসি মুখে থাকবেন :
আপনার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, আপনার মুখের হাসিই অন্যের কাছে গুরুত্ব পাওয়ার যোগ্য। আপনি সকলের সাথে যদি একটা সুন্দর নির্মল হাসি নিয়ে নম্র ভাবে কথা বলেন এটি আপনার প্রেজেন্টেশন টাকে আরো হাই লেভেল এর করে দেবে। সেইজন্য হাসি মুখে থাকাটা খুব জরুরি। আপনি যদি গোমড়া মুখে থাকেন অপরপক্ষ ভাবতে পারে কি জানি আপনি এখন কেমন মুডে আছেন, কথা বলবো কি বলবো না। এই ভাবে নিজের গুরত্ব টা হ্রাস পেতে পারে। সুতরাং সবসময় পজিটিভ মাইন্ড নিয়ে থাকবেন। দেখবেন সকলের কাছেই সমান গুরত্ব পাচ্ছেন। আর অলওয়েজ কি প স্মাইলিং।
এবার ব্লগটা লিখতে লিখতে বিকেল হয়ে এলো । ৪ টে বাজে।
( এটা কিন্তু দেড় কেজি দুধ)
আমি এবার দুধ জাল দেব।
(ছানা কমপ্লিট)
ছানা করবো। আটা মাখব। এগুলো রাতের জন্য। আমি এখন করে রাখি কিছুটা।
( বিকালের কাজের মাঝে আমি)
আর বাকিটা বিকেল এ একটু হেটে এসে সন্ধেয় দিয়ে তারপর করি। যাতে তাড়াতাড়ি রান্না করে আর্য্যকে পড়তে বসাতে পারি। আজ আসি তাহলে
আজকের ব্লগটা এই পর্যন্তই। আবার কাল আসবো নতুন গল্পের আসর নিয়ে আপনাদের সাথে আড্ডা দিতে । আজ চললাম বাই।
0 মন্তব্যসমূহ