23 march 2023
সুপ্রভাত বন্ধুরা। নতুন একটা ব্লগ নিয়ে আমি আবারো চলে এসেছি। আশা রাখছি সকলে ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। সামনেই আর হাতে গোনা দুই দিন পরেই দোল উৎসব রং এর উৎসব।সব ঘরে ঘরে চলছে এখন তারই প্রস্তুতি। আমার ঘরেও এই নিয়ে আনন্দ উন্মাদনা কম নেই। আর্য্য সকালে ওর পাপাই এর সাথে বেরিয়ে আবির মুখোশ ফিচকারী কিনে এনেছে।
( এই রং গুলো এনেছে। আরো আনবে আগামী কাল )
( আর্য্য এই মুখোশ টা কিনেছে হোলির জন্য)
সকাল থেকে লাফালাফি করছে। এখন যেহেতু স্কুল ছুটি তাই বাড়িতে পড়ছেও কম। ওকে এখন থেকেই আমি অলিম্পিয়াড পরীক্ষার জন্য তৈরি করতে চাইছি। তাই এই ম্যাথ গুলো প্রাকটিস করাচ্ছি। ওর প্রশ্ন গুলো পড়তে একটু অসুবিধা হচ্ছে। এখন তো এই প্রথম প্রথম করাচ্ছি। একটু প্রবলেম হবেই। আশা রাখছি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। আর ইংলিশ এর এই গ্রামার গুলো আবার নতুন করে প্রাকটিস করাচ্ছি। অর্থাৎ পুরো ukg তে যা যা গ্রামার শেখানো হয়েছিল সেই গুলো।
Noun, pronoun, adjective, article, preposition , write the sentence, rewrite the sentence, put have has, put am, is,are , put this, these, that, those এই সব ই প্রাকটিস করাচ্ছি। পাশাপাশি ম্যাথ এ addition, substraction, table এই গুলো করাচ্ছি।
এই গেল আর্য্যর পড়াশোনা। আমি তো স্পোকেন টা প্রাকটিস করছি। প্রতিদিনই । সাথে গ্রামার গুলোও নিজের মতো করে প্রাকটিস করছি। স্পোকেন এর জন্য আমি নিয়মিত পড়াশোনা করি। কিন্তু ব্লগে দেওয়া হয় না। আমার বর মশাই বলছে আমি যেহেতু ইউ টিউব দেখে স্পোকেন প্রাকটিস করি তাই ওগুলো ব্লগে পোস্ট করলে কপিরাইট আস্তে পারে। আমি কিন্তু প্রাকটিস করে তবেই দিতাম। কিন্তু দিতে বারণ করলো। তাই আর দিলাম না। আমি রিসেন্ট noun নিয়ে পড়লাম। আমাদের সবাইই noun নিয়ে কমবেশি সবাই জানি। যেহেতু আমি এখন ছেলেকে পড়াই আর অনেক দিন পড়াশোনার চর্চার বাইরে ছিলাম, তাই নিজে একটু প্রাকটিস করে নিই এখন। এতে করে হয় পড়ানোর সময় সেলফ কনফিডেন্স বাড়ে। তাছাড়া এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সব কিছুই হাতের মুঠোয়। আমার শেখার যখন এত পথ আছে আমি শিখব না কেন তাই না? সারাটা দিন ই আমার কাজ , কিছু না কিছু শেখা, দেখা এইসব নিয়েই কেটে যায়।
আজকে বরমশাই এর জ্যাকেট, আর্য্যর শীত কালের জ্যাকেট সব ওয়াশ করলাম। আমাদের এখনে এবার গরম পরে গেছে। তাই এই গুলো এবার তুলে গুছিয়ে রাখার পালা।
( জামা, জ্যাকেট শুকচ্ছে)
এইসব করতে করতে সময় অনেক পার হয়ে গেল। ঘর দোর পরিষ্কার করলাম।
সব ছবিতে দিলাম। স্নান করে উঠে ফ্রেশ হয়ে একটা ছবি তুললাম।
( আমার আমি ভীষণ দামি )
আমি , আমার পরিবার, আমাদের জীবন ধারার মধ্যে কোথাও মেকি সাজসজ্জা নেই। তাই আমাদের বাড়ির তৈরি রান্না , উঠোন , আমাদের কার্যকলাপ এই ছবিতে দেখলে আপনাদের একটু অদ্ভুত মনে হতে পারে। কিন্তু বিষয় টা এমন কিছু না। আমরা একটু স্বাস্থ্য সচেতন। রান্না বান্নায় তেল ঝাল মশলা সবই কম খাই। বাড়ির সকলে খুবই কম তেল মশলা যুক্ত খাবার সবাই পছন্দ করে। রং দার রিচ কেউ চায় না। তাই আমাদের রান্নার কালার সেইরকম হয় না। তাই রোজকার ব্লগে ছবি দেওয়া হয় না। তবে আজকে দিলাম।
মাছ টার আশ ছাড়ানোর পর ছবি তুলেছিলাম।
এই মাছ টা আজ কেনা হয়েছিল। আর আমরা রান্নায় একদম অর্গানিক হলুদ ব্যবহার করি।মানে আমাদের চাষের হলুদ।
হলুদ কাটা হয়েছে। এবার এগুলো রোদে শুকনো হবে। গোবর জলে সিদ্ধ করে।
কাঁচা হলুদ কেটে গোবর জলে ফুটিয়ে শুকিয়ে হলুদ গুঁড়ো করা হয়। এই হলুদ গুলোর একটু গন্ধ বেশি হয়।
তাই আমাদের রান্নায় বেশি হলুদ ব্যবহার হয় না। কিভাবে হলুদ গুঁড়ো হয় একটু ছবি দিলাম।
লঙ্কা গুঁড়ো একদম অল্প ব্যবহার করি। সব দিন তাও নয়। আমাদের গাছের লঙ্কা হয়, সেই কাঁচা লঙ্কা বাটার রান্না হয়।
তাহলে সবাই জানলেন তো আমাদের রান্নার রং এইরকম কেন? এবার থেকে আসা করি আমি রান্নার ছবি দিতে পারব।
( মাছের ঝাল)
বেলা ১০ টা
আমি এইসময় ঘর মুছ ছিলাম সেই মুহূর্ত কার ছবি ক্যামেরা বন্দি হলো।
এরপর স্নান করলাম।
পুজোর জন্য ফুল তুললাম । দেখুন আজ ইএই বসন্তে নানা রং এর ফুলের সম্ভার আমার এই ঝুড়িতে। আছে অপরাজিতা, গাঁদা, টগর, থোকা টগর, জবা, দোপাটি। কি সুন্দর লাগে তাই না? পুজো সেরে নিলাম।
( আমাদের গাছের ফুল)
আমাদের গাছের কচি কচি কাঠাল ধরে ছিল। দেখছি সব ঝরে যাচ্ছে।
মন খারাপ করেই আপনাদের দেখাবো বলে ছবি তুলে নিলাম।
( চাষের আলু উঠোনে রাখা আছে)
দেখুন এই পাশে পরে আছে আলুর গাদা। এই গুলো আমাদের চাষের। এবারে আলুর ফলন একদম ভালো হয় নি। আলুর বীজ বসানোর কিছু দিন ( ২/৪ দিন)পরেই জল বৃষ্টি হয়।
আর সেই সময় ই আমাদের ঠাকুর শাশুড়ি যাকে আমরা দিদা বলতাম উনি পরলোক গমন করেন। তাই সেই পরিস্থিতি তে মাঠে যাওয়ার সময় কিংবা মানসিক অবস্থা কারোরই ভালো ছিল না। তাই ফলন টাও কম হয়। বৃষ্টির জন্য অনেক আলু বীজ পচে যায়। আলু গাছ ই বেরোয় নি।
বিকালের দিকে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম পাড়া তেই। রোজই বেরোই। আমি যে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি এই জায়গা টাকে বলে পুলের ধার।
(পুলের ধার)
খুব সুন্দর জায়গাটা। আমাদের গ্রামেই। চারিদিকে সবুজ এ ঘেরা। এটা একটা ছোট নদীর ওপর ব্রিজ। আগে একটা পাকা ব্রিজ ছিল। কিন্তু পাকা ব্রিজ টা নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য টেম্পুররী একটা কাঠের ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে এই রাস্তা দিয়েই টোটো, অটো, বাইক চলাচল করে, মারুতি যায়। কিন্তু লরি, বাস যাতায়াত করে না। আলায়ও নেই। পাশেই মানে কাঠের ব্রিজ টার পাশেই আবার পাকা ব্রিজ হচ্ছে। নির্মাণ এর কাজ চলছে। ছবি দিলাম।
( কাজ চলছে নতুন ব্রিজের)
আচ্ছা পাড়ার একজনকে বাড়ির বাইরে এই ফুল গাছটা হয়েছে । দেখুন কত্ত সুন্দর। এই গাছটির একটা বিশেষত্ব আছে। সেটা কি বলুন তো ? এই যে দেখেছেন লাল হয়ে আছে যেগুলো ওগুলো কিন্তু গাছটার ফুল নয়। এগুলোও হলো পাতা। আর সবুজ গুলোও পাতা । ভালো লাগলো । তাই শেয়ার করলাম।
ছবি দিলাম।
আর্য্য আজকের খেলার জন্য ক্লে এনেছে। সেটা দিয়ে একটু ফুল করলাম। ছেলের সাথে এই ভাবে একটু টাইম কাটালাম। আজ যেহেতু বর মশাই এর ছুটি তাই সন্ধেয় বেলায় একটু চাউমিন বনালাম। সবজি দিয়ে চিকেন দিয়ে। ছবি নীচে
।
চাউমিন
সন্ধ্যা : ৭ টা
সন্ধের খাবার খেয়ে আর্য্যকে পড়তে বসা লাম। এখন অলিম্পিয়াড এর ম্যাথ প্রাকটিস করাই। সকালে স্কুলের সিলেবাস এর ম্যাথ।
এই ভাবে সন্ধেয় টা কাটে। আমার ছেলে বাংলা সব মুখস্থ বিদ্যা করে রেখেছে জানেন। এ কার, ঐ কার, ওকার সব গন্ডগোল করে ফেলে। লিখতে দিলে বানান টা ঠিক বলে। আর মুখে ধরলে একার টাকে ও কার , উ কার ই কার বলে বসে। কি জ্বালা। ওদের তো স্কুলে বর্ণপরিচয় পড়ায় না । বাড়িতে এই কদিনে বলছি বর্ণপরিচয় টা পড়তে সে পড়বে না কিছুতেই। তাই আমি ঠিক করলাম ওকে বললাম আমাদের বাড়িতে, ঘরেতে যা যা জিনিস আছে সেগুলো লেখ।
ও সেটা ইন্টাররেস্ট নিয়ে লিখছে কদিন। আর এই ভাবে আমি ও ধারণা পাচ্ছি বাংলায় ওর দক্ষতা কতটা হচ্ছে। খুব ভালো কিন্তু উপায় টা।
রাত ৯ টা :
বাড়ির প্রত্যেকসদস্য দের খেতে দিয়ে নিজে খেলাম।
৯:৩০ - ১০: ৩০
আমি সময় টায় স্পোকেন ইংলিশ প্রাকটিস করি। আজ ও তাই করলাম।
সব শেষে নাইট স্কিন কেয়ার।
( আজকের রাতের চাঁদ বরের মোবাইলে তোলা ছবি। )
গুড নাইট সকলকে। আজকের ব্লগ এই পর্যন্তই। আবার আগামী কাল আসবো নতুন কোনো গল্প, অনুভূতির ডালা সাজিয়ে। সকলে সুস্থ থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ