পুরানো দিন ভুলে ফাগুনের আগুনে স্বপ্নের কলমে রাঙিয়ে তুলব আজ থেকে নিজেকে। ( Birth day blog)

 

Self photo

( আজ আমার জন্মদিন। আপনাদের সকলের আশীর্বাদ, ভালোবাসা যেন আমার ওপর থাকে এই কামনা করি। আমি যেন জীবনে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারি আশীর্বাদ করবেন সকলে। )



আজ 14 মার্চ। 2024।


আজকের দিনে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমি এসেছিলাম। মোট ত্রিশটি বসন্ত পার করে আমি আজ জীবন সায়াহ্নে এর মধ্যবর্তী দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছি।  শৈশব থেকে অনেক ভালো ভালো  মুহূর্ত, স্মৃতি, ঘটনা আমায় সৃষ্টিকর্তা উপহার দিয়েছেন। আমি মনে করি সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অপার দয়ায় আমি জন্মেছি।  এত ভালো মা, বাবা, স্বামী পেয়েছি। কিন্তু এটাও সবচেয়ে দামি আমার জীবনের এই ত্রিশটি ফাগুনে একটা কোনো উপহার ই আমার জীবনের খুব মূল্যবান এই মানুষ গুলোকে দিতে পারি নি। এটা আজকের দিনে এসে আমার আফসোস। মানুষ নিজের জন্মদিনটা খুব ভালো ভাবে কাটাতে চায়। নিজের প্রিয়জনদের সাথে উপভোগ করতে চায় জন্মদিনের প্রতিটা মুহূর্ত। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জানেন তো বিয়ের পর আজ যখন স্বামী কেক কাটার কথা বলে আমার হৃদয়ে কাঁটার মতো বেঁধে। সে তো চায় আমার আজকের মুহূর্তটায় আমায় খুশি রাখতে। আমাকে সুখী দেখতে। কিন্তু আমার কি মনে হয় বলুন তো , আমি তো স্বামীর জন্মদিনে একটা কেক কিনে দিতে পারি না। তাকে স্পেশ্যাল কিছু উপহার দিতে পারি না। তাহলে আমার জন্মদিনে ও কেক আনলে আমার লজ্জা করে না বলুন না? আপনারাই বলুন। আমি অক্ষম । আমি নিজে রোজগার করে সেই টাকায় কিছু কিনে দিতে অক্ষম। তাই আমার জন্মদিনে এইসব আয়োজন করতে আমার ভালো লাগে না। 


আপনারা বলবেন, কেক তো বাড়িতেও তৈরি  করে জন্মদিন সেলিব্রেট করা যায়। তাহলে আমি কেন আমার বর এর জন্মদিনে বাড়িতে করি না। হ্যাঁ, ইউটিউব দেখে কেক তৈরি করব ভেবেছিলাম। কিন্তু কেক তৈরির যে উপকরন দরকার সেগুলি কাছাকাছি দোকান এ পাওয়া যায় না। আর সেগুলো কিনতেও তো আমায় ওকেই বলতে হয়। যেদিন নিজে কিছু রোজগার করতে পারবো সেই দিনই বর কে গিফট করবো। সেই দিন ও আমার জন্মদিন ও ভালো ভাবে সেলিব্রেট করবো। এটাই আমার ইচ্ছা। কিন্তু জীবনের এই মধ্য বয়সে এসে কি রোজগার করা সম্ভব? আমি সংসারে ব্যস্ত। ছেলে নিয়ে ব্যস্ত। রোজগার করতে গেলে বাড়ি বসেই করতে হবে। তাই আমি আজ আমার জন্ম দিনে নিজেকে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করছি আমি ব্লগ লিখেই কিছু অন্তত উপার্জন করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো। আমার ব্লগ এর বিষয় বস্তু থাকবে খুব সাধারণ। খুব সাধারণ, সাদামাঠা জীবন ধারা তুলে ধরবো। 


আর মা , বাবার কথা কি বলি বলুন তো! মা, বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল নিজের পায়ে দাঁড়াবো, কিছু একটা করবো। কিছুই হলো না। বিয়ে হলো । সংসার হলো। আমি মা, বাবার একমাত্র সন্তান। এনারা তো আমার দিকে চেয়েই বেঁচে আছে বলুন। আমার বর আমার মা, বাবার জন্য অনেক করে। আমি ও সেই জন্য সংসারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছি। যাতে ও কোনো দিন আমায় না বলতে পারে আমি তোমার মা, বাবার প্রয়োজন এ থাকি। তুমি কেন আমার মা, বাবাকে অবহেলা করছো। এই প্রশ্নের সম্মুখীন আমি কোনদিন ও হতে চাই না। আমি যতক্ষন পারি সংসার এর কাজ করি। আমি শশুর বাড়ী থেকে বাবার বাড়ি আসি ও কম। তাই কিছু রোজগার করতে পারলে মা, বাবার পাশেও দাঁড়াতে পারবো। এটা আমার আগে দরকার। আমার বাবা , মা কেউ পেনশন হোল্ডার নয়। বাবা একজন দর্জি।এখনো সেই কাজ করেন এই বয়সেও। কি যে কষ্ট লাগে কি বলবো।


বাবা, মা আজ যখন বলছিল পায়েস করার কথা। আমি ই মাকে বললাম না করতে হবে না। আমার শরীর টা ঠিক নেই। এমনিতে আজ অনেক কিছু রান্না হয়েছে। আমি সেদিন ই পায়েস খাবো, কেক কাটবো যেদিন আমার কাছের মানুষ গুলোকে নিজের কিছু সামর্থ্য দিয়ে কিনে দিতে পারব। 


এমন একটা ঝিনুক খুঁজে পেলাম না,
যাতে মুক্ত আছে :


এই জনপ্রিয় গানটা সকলেই শুনে থাকবেন। কিন্তু আমার ভাগ্যে কিন্তু সিখে ছিঁড়েছে।

আমি ঝিনুক এর ভেতর থেকে মুক্ত পেয়েছি। এটা আমার বর আজকে আমায় সারপ্রাইজ গিফট করেছে। আমি আগে থেকে জানতাম না। জানলে বাড়াবাড়ি করতে দিতাম না। ঝিনুক টার ভিতর এই দেখুন এই মুক্ত টা ছিল। 

কি সুন্দর তাই না? এর সাথে এই চেন টা আর দুটো কানের একটা আংটি ছিল। 


Jhinuk

( এটা একটা ঝিনুক। এর ভিতরে মুক্তো টা ছিল।)


Peral in jhinuk

( ঝিনুক টার ভিতর এ এই মুক্তো টা ছিল। বরমশাই মুক্ত টা বের করেছেন। আমি ছবি তুলেছিলাম।)

Neckles set

( ওর সাথেই এই হার, কানের সেট টা ছিল। লকেট টার ভিতর এই মুক্তো টা পরতে হবে।)



( এই বাক্স টার ভিতর ছিল গিফট টা)



আমি তো এখন বাবার বাড়ি। ও আমার শশুর বাড়ী থেকে এসে ছিল গিফট টা দিতে সকাল এ। দিয়ে আবার চলে গেছে। ওর অফিস আছে তাই।


গিফট টা কেমন লাগলো জানাবেন সকলে। আমার বেশ ভালো লেগেছে। আপনারা আশীর্বাদ করুন আমার বরের জন্মদিনেও যেন আমি সুন্দর একটা উপহার ওকে দিতে পারি। নিজের রোজগারের টাকায়।


বাবা প্রত্যেক বছর আমায় জন্মদিনে সুতির শাড়ি কিংবা নাইটি গিফট দেয়। নিতে লজ্জা লাগে। বড় হয়ে গেছি তো। আবার না নিলেও ওনারা মনে কষ্ট পাবেন।তাই নিই।


নতুন বছর একটা নতুন কিছু প্রতিজ্ঞা : 


ত্রিশ এর কোঠা পেরিয়ে একত্রিশ এর দোরগোড়ায়। জীবন অনেক কিছু দেখিয়েছে আমায়। চিনিয়েছে। আজ শুধু এটুকুই জানি আমার কাছের মানুষ গুলোকে ভাল রাখতে হবে। তাদের দেখভাল করতে হবে। আমি বাবার বাড়ির এক মাত্র সন্তান এই বাড়ির দায়িত্ব আমার। আমি শশুর বাড়ী র একমাত্র বউ মা। তাদের দেখ ভালের দায়িত্ব ও আমার। সকলকে নিয়ে সুখে কাটাতে চাই। 

আমার ছেলে আর্য্য। ও এবারে ওয়ান এ উঠবে। ওকে আরো কেয়ার ফুলি দেখতে হবে। রুটিন মাফিক পড়াতে হবে। ওকে একটা ভালো জায়গায় প্রতিষ্ঠিত দেখতে চাই আমি। সেই মর্মে আমার লক্ষ্য থাকবে ওর ঠিকঠাক গ্রূমিং।

বর এর মেজাজ আমার সবসময়ই তুঙ্গে থাকে। ওর যাতে মাথা ঠান্ডা থাকে সেইরকম ভুলভাল কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। যেমন ও আমায় টাইম টু টাইম খাবার খেতে বলে ঘন ঘন জল খেতে বলে সেসব শুনতে হবে। নাহলে রেগে যাবে। খাবার এ ঝাল, নুন কম পছন্দ করে। আর আমি খাবার যাতে স্পাইসি হয় এগুলো বেশি দিয়ে ফেলি। তাই ও রেগে যায়। আমার আজ জন্ম দিনের দিন নিজের কাছে শপথ নিলাম ওর কথা মতো কম ঝাল নুন রান্না করবো। চুল আঁচড়িয়ে চিরুনি, কিংবা মেঝেতে যাতে চুল না থাকে সে গুলো খেয়াল রাখবো। এই সব উনি একদম পছন্দ করেন না। আপনাদের মধ্যে এই ধরণের ছোটখাটো সমস্যা স্বামী স্ত্রী দের মধ্যে হয়? জানাতে পারেন আমায়।

ব্লগিং টা ঠিকঠাক করে করবো। কারণ এটাই আমার ভালো থাকার আসল চাবিকাঠি। মানুষ বলে তোমার যেটা ভালো লাগে তুমি সেটাই করো সেই ভাবেই একদিন ঠিক তুমি সফলতা পাবে। আমি তো ছোট বেলা থেকেই লিখতে ভালোবাসি। ডায়েরি লিখতাম। এই লেখালিখি টাই আমি পছন্দ করি। আপনারা আমায় আজকের দিনে আশীর্বাদ করুন যাতে আমি এই ভাবেই নিজের স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে পারি। 


সর্বোপরি উপরের লেখা সব দায়িত্ব পালন করতে গেলে আমায় নিজেকে সুস্থ রাখা আগে প্রয়োজন। সেদিকে আমায় আগে লক্ষ দিতে হবে। নিজে ঠিক থাকলে তবেই তো অন্যের খেয়াল রাখতে পারবো আমি। 


আচ্ছা, এই ছিল আমার আজকের দিনের প্রতিজ্ঞা।


আমার ছেলের দেওয়া সেরা উপহার : 


আমার ছেলে আর্য্য আমায় সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই উইশ করেছে। অন্যান্য বছর হাতে এঁকে আমায় গিফট দিত। এইবারে যেহেতু এখানে আছি রং পেন্সিল নেই, তাই একটা লজেন্স কিনে আমায় দিয়েছে। খুব সুন্দর হয়েছে গিফটা। আপনারা কি বলেন?

A big gift from my little son

( এই লজেন্স টা আর্য্য আমায় জন্মদিন এ গিফট দিয়েছে।)




 জন্মদিনের স্পেশাল মেনু : 

( এই গুলো সব আমার ফেভারিট । সেই গুলোই করা হয়েছে)


ভাত, লাউ চিংড়ি, মাশরুম কারী, চিংড়ি মাছের ঝাল, মাটান, চিকেন, এঁচোর এর তরকারি। 


Lau chingri

( লাউ চিংড়ি )


মাশরুম

( ঝাল ঝাল মাশরুম কশা)


Chingri curry

চিংড়ি কারী


Chiken kosha

( চিকেন কশা)


Matan kosha

মাটান তখনও রান্না চলছিল তার ছবি



খুব জমিয়ে খাওয়া দাওয়া হলো। অনেক বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আমি বর এর কথা রাখি নি। কেক কাটি নি। মায়ের কথাও না। পায়েস ও রান্না করতে দিই ই নি। আশা করি পরের বছর অবশ্যই খাবো। মায়ের হাতের পায়েস। আশীর্বাদ করুন আমি যেন এই এক বছরে ব্লগ থেকে সামান্য কিছু হলেও উপার্জন করতে পারি। আমি খুব আশাবাদী। আমি সকলকে কিছু আগে দেব তারপর ওনাদের থেকে নেব। আমি জানেন তো অল্পেতে ই খুব খুশি। তার কারণ টাও বলছি। আমি তো লক্ষীর ভান্ডারের সুবাদে টাকা পাই মাসে ৫০০ টাকা করে। ওই টাকা জমিয়ে মা কে বাপি কে শাশুড়ি মাকে, বর কে ছেলেকে আগের বছর পহেলা বৈশাখ এ জামা কিনে দিয়েছিলাম। ভাই ফোটায় খরচ করেছি। আবার ওই টাকাতেই ছেলেকে পুজোয় দিয়েছিলাম গিফট। আমার খুব ভালো লেগেছিল।


আজকের মেনু গুলোর ছবি দিলাম। আমার থালিটার ছবি দিতে না পারার জন্য দুঃখিত। আসলে আজ মা, বাবার সাথে খেতে বসেছিলাম সবাই এর সাথে। তাই ছবি তোলা হয় নি। 


জন্মদিন সকলের জীবন এরই খুশির একটা দিন। আমাকে সকলে আশীর্বাদ করুন যাতে আমি জীবনে সকল দায়িত্ব , কর্তব্য ঠিক মতো পালন করতে পারি। ছেলেকে ঠিক মতো মানুষ করতে পারি, আর সুন্দর সুন্দর ব্লগ লিখে আপনাদের উপহার দিতে পারি। 


 জন্ম দিনের  সকালটা  কিভাবে উদযাপন করলাম : 

সকাল থেকে তেমন কিছু স্পেশ্যাল কিছু ছিল না। হ্যাঁ, তবে একটু তো অন্য রকম হবেই বরমশাই  রাত বারোটা তেও উইশ করেছিল। সকাল ছয় টা ও ফোন করে উইশ করেছে। তার স্পেশ্যাল উইশ এ ঘুম ভাঙল আজ।


Tea biscuit
( সকালে চা, বিস্কুট)



তারপর গরম গরম চা সাথে বিস্কুট। এটাও আমার কাছে খুব স্পেশ্যাল। বাড়িতে রোজ আমি ই চা করি। মা এখানে নিজে হাতে চা , বিস্কুট সাজিয়ে আনলো। এটা একটা সংসারী বউ দের কাছে অনেক পাওয়া। কেউ এসে চা দেবে এইরকম। 


তারপর দুটো ছোট ছোট পেস্ট্রি খেলাম। বাবা এনেছিল। সবাই মিলেই খেলাম। 




তারপর তো ব্রেকফাস্ট এ আলুর পরোটা হয়েছিল আজ। 

Alur porotha

( আলুর পরোটা)


সকাল এর দিকে ছেলেকে একটু পড়াতে বসিয়েছিলাম। তারপর মাকে রান্নায় টুকিটাকি হেল্প করলাম।


( আর্য্যর পড়াশোনা)


মাটান টা আমি ই রান্না করলাম। আর বাকি সময় টা মানে ওই বেলা ১১ টা থেকে ১ টা আমার খুব প্রিয় একটা কাজ করে আজকের দিনটা উদযাপন করলাম। কি বলুন তো? অবশ্যই ব্লগ লিখে আপনাদের সাথে সব টা শেয়ার করে। অবশ্যই এটা আমার জীবনের খুব ভালো লাগার একটা বিষয়। সময় এর অভাবে বেশি লেখা হয়ে ওঠে না। কিন্তু আমি আমার সমস্ত অনুভূতি লিখতে ভীষণ ভালোবাসি।


এবার এখন থেকে লেখাটা দুপুরের পর শুতে আসার সময় টা লিখছি। আচ্ছা, আজকের দিনে আপনাদের কাছে আমার একটা আবদার আছে। রাখবেন আমার আবদার টা? আমায় একটা ছোট করে জন্মদিনে যদি উইশ করতেন আপনারা খুব ভালো লাগতো। 


জীবন থেকে আস্তে আস্তে একটা করে বছর চলে যাচ্ছে। ছোটবেলায় এই জন্মদিন নিয়ে কত উন্মাদনা ছিল। এখন আর কিছুই নেই। এখন এই বয়সটা এমন ই এটা হলো জীবনে চাওয়া পাওয়া হিসাব কষার বয়স। আমাদের বয়স বাড়ছে। দায়িত্ব বাড়ছে। দিনের শেষে রাতে মনে পড়ছে ফেলে আসা শৈশবেরদিন, কোনো এক সন্ধ্যায় লোডশেডিং হয়ে গিয়েছিল। পড়তে বসতে হয় নি। তুতো দাদা, দিদি দের সাথে ঘোর অন্ধকারে অপ্রত্যাশিত ভাবে খেলতে পাওয়ার সুযোগের দিনটা। কিংবা কিশোরী বয়সে প্রথম কাউকে ভালোলাগার দিন টা। টিপ টাপ বৃষ্টি দিন গুলো স্মৃতির পাতা থেকে উঠে এসে আমাদের আষ্টে পৃষ্টে ধরে। মনে পড়ে যায় সেই বন্ধু গুলোর কথা। যাদের সাথে একদিন কথা না বলে দেখা না করে থাকতে পারতাম না। আজ তাদের সাথে ওই ফেসবুক এই হাই,  হ্যালো এই টুকুতেই শুরু আর শেষ। সবাই যে যার কাজ নিয়ে কত ব্যস্ত। সব কিছুর মূল ই হলো এই সময়। সত্যিই সময় কত প্রবাহমান। 


এখন খাওয়া দাওয়া করে একটু শুয়েছি। বেশির ভাগ সময়টাই এখন ব্লগে কাটাতে ইচ্ছে করে। নিজের মতো একটু সময় কাটাতে ইচ্ছে করে । সবাইরই একটা নিজস্ব হবি আছে। আমি লিখতে ভালোবাসি। কিন্তু সময় এর বড় অভাব ফিল করি। আমি আজ যা যা লিখলাম সব ই আমার মনের কথা। আমার অন্তরে জড অনুভূতি গুলো কাজ করে সে গুলিই লেখনী হয়ে ফুটে ওঠে। আমি পড়তেও খুব ভালোবাসি। আমি লেখা বন্ধ করলে পড়ি। এতে খুব শান্তি মেলে।


আচ্ছা, রাতের ডিনার এ আজ মিক্স চাউমিন করার প্ল্যান আছে। হলে ছবি দেব। 


আজকের কিছু কিছু ছবি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আজকের ব্লগটা ভালো লাগলে অবশ্যই আমার ব্লগটিকে সাবস্ক্রাইব করার অনুরোধ রইলো। সকলে অনেক অনেক ভালো থাকবেন। জীবন একটাই নিজের ইচ্ছে বা হবি গুলো পূরণ করার চেষ্টা করবেন। দেখবেন এতেই আপনি বেঁচে থাকার মূল রসদ টা পেয়ে যাবেন। আর ঠিক তখন ই মনে হবে, জীবন টা কতটা রঙীন। আর সর্বশক্তিমান যিনি আমাদের মাথার ওপর আছেন তাঁর কাছে সবসময় প্রার্থনা করবেন। 

আমি আবার আসছি নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে। খুব শীঘ্রই আবার দেখা হবে।

















( এই লজেন্স টা ছেলে গিফট করেছে। খাচ্ছিলাম।)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ