সকালের জল খাবারই হোক কিংবা রাতের ডিনার এখন প্রায় প্রতিটি ঘরেই রুটি বানানো হয়ে থাকে। অনেকে আবার দুপুরের খাবারেও রুটি খেয়ে থাকে। কিন্তু রুটি সুন্দর গোল করে, নরম, ফুলকো বানানো অতটা সহজ কাজ নয়। এই রুটিকে নরম করতে গৃহিণী দের হিমশিম খেয়ে যেতে হয়। আটা ঠিকঠাক মাখা না হলেই রুটি নরম হবে না। শক্ত হয়ে যাবে। আর এটি যেন গৃহিণী দের প্রতিদিনের সমস্যা। রুটি কিছুতেই নরম হয় না, বা ঠিক মতো ফোলে না। তাই আজ কে কিছু টিপস লিখলাম। যা অবলম্বন করলে আপনার, হ্যা আপনার বানানো রুটিও হবে দোকানের মতো নরম, তুলতুলে, ফুলকো।
১: আটা বা ময়দা অবশ্যই চেলে ব্যবহার করুন :
আটা প্যাকেট জাত ই কেনা হোক কিংবা কল থেকেই আনা হোক, আটা বা ময়দা সবসময় চেলে নিয়ে মাখবেন। কারণ এতে অনেক সময় ধুলো ময়লা থাকে। ছোট ছোট পোকামাকড় থাকে।
আটা অবশ্যই হালকা গরম জলে মাখবেন।
২: আটা বা ময়দা দই বা দুধ দিয়ে মাখলে খুব নরম হয় :
আটা বা ময়দা যদি দুধ কিংবা দই দিয়ে মাখেন, অবশ্যই এটি নরম হবে । এর স্বাদ ও বেড়ে যাবে দ্বিগুন। কিন্তু নিত্য দিন তো দুধ , দই দিয়ে রুটি করা সম্ভব নয়। এই টিপস টা শুধু অনুসরণ করবেন যখন বাইরে কোথাও যাচ্ছেন, বাড়ি থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন। রুটি দুধ বা দই দিয়ে মাখবেন। খুব নরম থাকবে দীর্ঘক্ষণ।
৩: আটা কিংবা ময়দা মেখেই সঙ্গে সঙ্গে রুটি করা থেকে বিরত থাকুন :
হাতে সময় রেখে আটা মাখতে হবে। আটা মাখার পরই সঙ্গে সঙ্গে রুটি করবেন না। মাখাটি অন্তত পক্ষে ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। কিংবা মাখার উপর ভেজা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। ১৫ মিনিট পর রুটি করুন। দেখবেন রুটি ফুলবেও ভালো নরম ও হবে।
৪: আটা বেলার পর অতিরিক্ত শুকনো আটা ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে :
আটা বেলার পর রুটি তাওয়া তে দেওয়ার আগে অতিরিক্ত শুকনো আটা ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। নাহলে ওই আটা লেগে থাকলে রুটি শক্ত হয়ে যায়। এই টিপসটি অবশ্যই মনে রাখবেন।
৫: আঁচ থাকবে মিডিয়াম এ :
রুটি সেক্যার সময় আচঁ সবসময় মিডিয়াম এ রাখতে হবে। তাহলে রুটি তাড়াতাড়ি জ্বলে যাবে না। কিংবা লো তে দিলেও হবে না। তাহলে রুটি কাঁচা থেকে যাবে। মিডিয়াম এ দিয়ে করলে রুটি ফুলবে ভালো, নরম ও হবে।
এইসব টিপস মেনে চললে প্রতিদিন রুটি হবে নরম, ফুলকো ও তুলতুলে।
0 মন্তব্যসমূহ