ঝোলে, তরকারি কিংবা যেকোনো রান্নায় বেশ কয়েকটা বড়ি দিলে তার স্বাদ টাই আলাদা হয়ে যায়। বড়ি সাধারণত কলাই বা বিউলির ডাল এর ও মুসুর এবং খেসারি ডালের হয়।
আজ আমি বিউলীর ডালের বড়ি কিভাবে দেওয়া হয় তা নিয়ে লিখছি।
বিউলির ডালে র বড়ি বানাতে যে সকল উপাদান লাগবে তা হলো
বিউলির ডাল - ১ কেজি
হিং - ১ চামচ
নুন - ১ চামচ
বিউলির ডাল ভালো করে ৫/৬ বার ধুয়ে জলে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে।
পরের দিন সকাল বেলা এটি শীল এ কিংবা মিক্সচারে বেটে নিতে হবে মিহি করে। যেনো একটুও দানা ভাব না থাকে।
এবার মিহি করে বাটা বিউলির ডাল পেস্ট এর সাথে লবন ও হিং মিশিয়ে ভালো ভাবে ফেটাতে হবে। এই কাজটি খুব ধৈয্য সহকারে ও অনেক্ষন সময় নিয়ে করতে হবে। তার ফলে বড়ি ফুলবে ভালো। আর রান্নার সময় নরম ও হবে। প্রায় ৩০ মিনিট মতো ফেটাতে হবে। বড়ি যত ফেটাবেন তত সাদা হবে। আর ফুলবেও।
ফেটানো টা ঠিক হলো কিনা দেখার জন্য একটা পাত্রে বেশ কিছুটা জল দিতে হবে।
এবার ওই জলে ডাল বাটার একটু বল আকারের করে জ্বলে দিতে হবে।
যদি দেখেন জলে ভাসছে, তাহলে ভাব বেন বড়ি রোদে শুকোতে দেওয়ার জন্য একদম রেডি।
বড়ি শুকোতে দেওয়ার জন্য একটি পরিষ্কার সুতির কাপড় নিতে হবে।
থালা তে বড়ি দিলেও হবে। সেক্ষেত্রে থালায় একটু তেল গ্রিস করে নিতে হবে।
সুতির কাপড়ে দিলে তেল দেওয়ার দরকার নেই।
সুতির কাপড় বিছিয়ে হাতের সাহায্যে গোল করে একটু শঙ্কু আকৃতি করে বড়ি গুলো দিতে হবে।
বড়ি গুলো প্রখর সূর্যের তাপ এ একদিন এই ৮০% শুকিয়ে যায়।
তবে আরও ৩ দিন মতো রোদ রেখে শুকিয়ে নিতে হয়।
এটি কাচের বয়ামে রেখে অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারেন।
এই ভাবেই মুসুর, খেসার ডালের বড়ি ও দেওয়া যায়।
বিশেষ কিছু টিপস :
মেঘলা দিনে বড়ি দেওয়া উচিত নয়। এতে বড়ি শুকবে না। গন্ধ হয়ে যাবে। নষ্ট হয়ে যাবে।
বড়ি ভালো ভাবে শুকিয়ে তবেই স্টোর করা উচিত।
বড়ি দেওয়ার আগে ডাল বাটা ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। যত ফেটাবেন তত বড়ি সাদা হবে। খেতে ভালো হবে।
0 মন্তব্যসমূহ