আজ 18 জানুয়ারি। সারাদিন আমি কি কি করলাম, তাই শেয়ার করবো তোমাদের সাথে।

 

sooji khuchuri suji khichdi

আজ 18 জানুয়ারি। বুধবার। আজকের সারাটা দিন  আমার কেমন কাটলো তাই তোমাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। আমি আজ সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠেছি। অবশ্য ফোনে এলার্ম দেওয়া থাকে তাই উঠতে সুবিধা হয়। এই শীত কালে কার ই বা বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে তাই না? কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। ছেলের স্কুল। তাই তাড়াতাড়ি উঠতেই হয়। ওর টিফিন করে দেওয়া, ভাত খেয়ে স্কুল যায় । তাছাড়া আমাদের ও ব্রেকফাস্ট এর জন্য আলাদা করে কিছু করতেই হয়। সুতরাং এত কিছু আমায় সকাল ৮ টার মধ্যেই তৈরি করে নিতে হয়। তাছাড়া ছেলেকে ঘুম থেকে তোলা, ব্রাশ করানো, খাওয়ানো, স্নান করানো, স্কুলের ইউনিফর্ম পরানো সব কাজ ই আমায় করতে হয়। 


যায় হোক, সকাল এ উঠেই প্রথমে বাসী জামা ধুয়ে, গা হাত পা ধুয়ে ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে রান্না ঘরে চলে এলাম

। আমি প্রথমেই নিজের জন্য গরম জলে মধু মিশিয়ে খাই তাই গরম জল করে নিলাম। 


ছেলে কে আজ টিফিন এর জন্য করে দিয়েছিলাম বাটার দিয়ে পরো ঠা এটা আমার ছেলের খুব পছন্দের একটি খাবার। এটি করে দিলে টিফিন বক্স খালি করে নিয়ে আসে। এর সাথে আমি আর কিছু তরকারি জাতীয় কিছু দিতে হয় না। শুধুই ওটা খেয়ে নেয়। আমি অবশ্য টিফিন এ আর একটা কলাও আজ দিয়ে দিয়েছিলাম। 


ওকে প্রতিদিনই আমি ভাত খাইয়েই স্কুলে পাঠাই। আজ ওকে সুজির খিচুড়ি খাইয়ে স্কুলে পাঠালাম। এটি বাচ্ছারা বেশ খেতে পছন্দ করে। এই রেসিপিটি করতে বেশিক্ষন সময় ও লাগে না। আর মজার ব্যাপার হলো এটা খেতে বাচ্ছাদের বেশিক্ষন সময় ও লাগবে না। আমি রেসিপিটি অন্য একটি ব্লগে শেয়ার করবো অবশ্যই।

ছেলে কে খাইয়ে , রেডি করিয়ে ৯ টা নাগাদ ওর স্কুল গাড়িতে তুলে দিলাম।এরপর ও বেরিয়ে যাওয়ার পর আমি বাসনগুলো মেজে নিয়ে নিজে টিফিন করতে বসি। এই সময়ে পরিবারের সকলকে টিফিন এর খাবার দিয়ে দি।

আজ আমরা টিফিনে সবাই খেলাম মুড়ি, আলুর দম। খাওয়ার পর বাসন মেজে ধুয়ে দুপুরের রান্নার তোড়জোড় শুরু করে দিলাম। আজ বেশিকিছু রান্না হহয় নি। চিকেন, লাউ দিয়ে ডাল, কুমড়োর বড়া, সিম আলু ভাতে। রান্না করে স্নান করে ঠাকুর সেবা দিলাম। তখন ঘড়িতে বাজে ১:৩০ । তারপর আবার পরিবারের প্রতিটি সদস্য কে খেতে দিয়ে নিজেও খেয়ে নিলাম। ছেলে স্কুল থেকে ফিরতে ৩ টে বেজে যায়। তাই আগেই আমরা খেয়ে নি। ও আসার পর খেলে বাসন পত্র ধুতে দেরি হয়। আমার দেরি হলে ও ঘুমোতে চায় না। তাই ওর আসার আগেই আমরা খেয়ে বাসন ধুয়ে ফেলি। ও আসলে ওকে খাইয়ে ওর বাসন টুকু ধুয়ে ওকে নিয়ে শুয়েপড়ি। আজ ও তাই করলাম। ৪:৩০ নাগাদ উঠে জামা কাপড় তুলে এনে গুছিয়ে রাখলাম। ছেলে তখন ও ঘুমোচ্ছে। ও ওঠে সন্ধেয় ৬ টায়। আমি একটু সেলাই করে নিলাম। এরপর সন্ধেয় দিয়ে সকলের জন্য চা করলাম। আটা মাখলাম। রুটি হলো। ছেলে কে ঘুম থেকে তুলে ছাতু খায়ালাম। ও খেতে একদম ভালোবাসে না। জোর করে খায়ালাম। দুধ,ছানা ( রাতের খাবার) করে ছেলে কে পড়তে বসালাম। তখন ঘড়িতে বাজে ৭ টা। ৭ টা থেকে ৯ টা অবধি পরিয়ে আবার সকলকে রাতের খাবার খেতে দিলাম। সবশেষে রাতের স্কিন কেয়ার করে শুয়ে পড়লাম। 


এই ছিল আজ আমার সারাদিনের রুটিন। তোমাদের কেমন লাগলো জানিও। জানি, সারাদিনের অনেক কাজ বাজ ই লেখা বাদ চলে গেছে, তবু যতটুকু পারলাম জানালাম। সকলে ভালো থেকো সুস্থ থেকো। আবার নতুন ব্লগ নিয়ে শীঘ্রই ফিরবো। আমার প্রতিটা ব্লগ দেখার অনুরোধ রইলো সকলকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ