আমার সম্পর্কে কিছু কথা। কিছু খোলামেলা গল্প তোমাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। ব্লগ টা আশা করি ভালো লাগবে

 

i have shared some candid stories with you daily blogging tanusree das
এটা আমার ছবি

বিগত তিন দিন হল ব্লগে কোনোরকম লেখালিখি করি নি। আসলে প্রতি দিন এরই কিছু না কিছু ছোট খাটো ঘটনা আমরা কম বেশি সকলেই ডায়রি মধ্যে লিপিবদ্ধ করে রাখতে ভালোবাসি। কেউ লিখতে ভালোবাসে তার তাগিদে, কেউ অতীতের স্মৃতি গুলো কোনো এক সময় পাতা উল্টে কখনো হয়তো দেখবে তার জন্য, আবার কেউ কেউ ভালো একটা সময় ডাইরি লিখেই কাটাতে চায়। সারাদিনের ক্লান্তি সব যেন এক নিমিষে নিঃশেষ হয়ে যায় ডাইরি লেখার মাধ্যমে। আমি সারাদিনের কাজ বাজ এর পর একটু সময় ডায়রির সাথে, মানে সম্পূন নিজের সাথে কাটাতে পছন্দ করি সেই ছোট্ট বেলা থেকেই। এটা অভ্যাস ই বলো আর বদঅভ্যাস ই বলো এটা আমার সাথে থেকেই গেছে। ডায়েরি লেখার অভ্যাস টা আমার  বাবাই ছোট বেলায় করিয়েছিলেন। তখন একদম ছোট। সবে সবে বাংলা লেখা একটু একটু রিডিং পড়তে শিখেছি। এক একটা বাক্য লিখতে পারছি। বাবা বলতেন পড়াশোনা হয়ে যাওয়ার পর আজ কের দিনটা তোমার কেমন কাটলো, সারাদিন কি করলে, কি দেখলে, কি শিখলে সব লিখে রাখবে। তাতে তোমার হাতের লেখা টা ভালো হবে। সত্যি বলতে এই ডায়েরী লেখার দৌলতে আমার হাতের লেখা সত্যি ই ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী তে স্কুল, কলেজে যখন পড়তাম অনেক প্রাইভেট টিউটর, স্কুল কলেজের স্যার সহপাঠী , আত্মীয় স্বজন সকলেই আমার হাতের লেখার তারিফ করতো। তোমরাও তোমাদের বাচ্চাদের এইভাবে হাতের লেখা ভালো করাতে পারো। তাছাড়া ডায়েরি লেখার আরো অনেক উপকারিতা আছে। এতে সাবলীল ভাবে নিজের ভাষায় লেখার দক্ষতা আসে। হাতের লেখার স্পিড বাড়ে ।  

সে যাই হোক , অনেক জ্ঞান দিয়ে ফেললাম। আসলে মদ্দা কথা হলো, আমি এতদিন ডায়েরী তেই লিখে সব ডায়েরী বন্দী করে রাখতাম আমার জীবন পঞ্জি। আমার জীবনের ঘাত প্রতিঘাত এর নানা কাহিনী, উপকাহিনী। এখন যেহেতু একটি ব্লগ খুলেছি। তাই ব্লগে লিখেই আমার জীবন পঞ্জি তোমাদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই। সারাদিনের নানা কাজ কর্ম, আমার দেখা, উপলব্ধি করা সব কিছু তোমাদের কাছে শেয়ার করতে চাই। তোমরা নিয়মিত যারা আমার ব্লগ পড়ছ তারা কমেন্ট করে জানিও তোমাদের কেমন লাগছে পড়তে। আমি জানি এখন ইউটিউব অনেক বেশি পপুলার, সেখানেই তোমরা ব্লগ ভিডিও দেখতে বেশি পছন্দ কর। কিন্ত আমি ইউটিউব এ ভিডিও দেওয়ার তেমন সময় পাই না। কিন্তু ওই যে বললাম, আমার যেহেতু নিয়মিত  ডায়েরী লেখার অভ্যাস আছে, তাই ব্লগে লিখছি এখন। ডায়েরী তে তো লেখা শুধু আমি ই দেখতে পাবো। এখন তোমাদের কাছেও শেয়ার করতে পারবো। সত্যি স্মার্ট ফোন, ইণ্টারনেট এর দৌলতে মানুষের সত্যি ই কতটা সুবিধা হয়েছে। নিজের ব্যক্তিগত অনেক গল্প তোমাদের সাথে করতে চাই। তোমরা পড়লে আমার লিখতে আরো ভালো লাগেবে। নাহলে এইগুলো ডায়েরী বন্দী ও সবশেষে সব ডায়েরী একত্রিত হয়ে বাক্স বন্দি হয়ে থাকবে।  আর হ্যাঁ , বন্ধু রা আমার ব্লগের অনেক বানান ই হয়তো ভুল হতে পারে। কিন্তু তা বলে এই নয় যে বানান গুলো আমি ভুলই লিখছি। আসলে টাইপিং এ ঠিক ঠাক আসছে না। তোমরা একটু মানিয়ে নিও আমায়। 

আজ আমার সম্পর্কে ই কিছু কথা তোমাদের বলব। আমার জন্ম ১৪.৩.১৯৯৩. আমার জন্ম হয় সিঙ্গুর এ। এটি ওয়েস্ট বেঙ্গল এ হুগলী জেলায় অবস্থিত। আমি সিঙ্গুর এর ই একটি প্রাইমারি স্কুল এ পড়েছি। তারপর সিঙ্গুর গোলাপ মোহিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করি ২০১০। তারপর উত্তরপাড়া কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করি। তারপর ITI কমপ্লিট করি হাওড়া হোমস থেকে। সেটা ছিল হাওড়া জেলায়। সাতরা গাছি তে । ২০১৫ তে আমার বিবাহ হয়। লাভ ম্যারেজ করেই বিয়ে হয়। সেই বিয়ে নিয়েও অনেক গল্প আছে। পরে কখনো শেয়ার করবো। তারপর পুরোপুরি সংসারী। সেই ঘুরে ফিরে একই কথা বলবো। হয়তো তোমরা বিরক্ত হবে। সংসার জীবনে এসেও আমার একাকীত্ব কাটত ডায়েরী লিখেই। এটা শুনে অনেকেরই মনে হতে পারে আমি কি তাহলে সংসার জীবনে প্রথম থেকেই সুখী নয়? আসলে তা নয়। আমি , আমার বর, শ্বশুর মশাই, শাশুড়ি মা, দিদা  শাশুড়ি এই নিয়েই আমাদের সংসার। গ্রামের সাইডে শশুর বাড়ী আমার। জায়গাটা র নাম পোড়াবাজার। ওনারা সারাদিন ই কাজের ব্যস্ত থাকার পর, তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তেন। আমার একটু তাই একা ফিল হতো। বর সকাল ৭ টায় অফিস বেরতো, রাত ১০ টায় ফিরত। এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে। তাই বাড়ি তেই আছে। এখন ব্লগ খুলেছি। টুকিটাকি লিখছি। ভালো লাগছে। ইউটিউব এর দৌলতেরূপচর্চা, রান্না বান্নার অনেক কিছু শিখছি।দেখছি। ভালোই সময় যাচ্ছে। এই তো ব্লগ লিখছি। সময় পেলে ঘরোয়া রূপচর্চা করছি ভালো ভালো রান্না করছি দেখে, শিখে তোমাদেরও তা শেয়ার করছি। ছেলে ৫ বছরের তার স্কুল, খাওয়া, স্নান, পড়ানো নিয়ে খুবই ব্যস্ত জীবন। খুবই ভালো কাটছে। 

আমি জানি আমার মতো করে হয়তো কেউ ব্লগ লেখে না। এইসব ট্রাফিক নিয়ে লিখলে অনেকেই হয়তো দেখবে না। কিন্তু এটাও সত্য পৃথিবীতে আমার মতো অনেক মানুষও আমি নিশ্চই পাবো, যারা নিজেকে নিজে এইরকম সময় দেয়। তোমরাও নিজেদের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, শেখা, কাটানো সময় গুলো দিনের কোনো একটা সময় ফাঁকা পেলে লেখো দেখবে তোমাদের ও খুব ভালো লাগবে। 

যারা আমার ব্লগ নিয়মিত পড় , তাদের কাছে আমার অনুরোধ আমার সব ব্লগ গুলো দেখো, নিশ্চই তোমাদের ভালো লাগবে। বড় বড় ব্লগার দের মতোই বলো কিংবা গতানুগতিক ব্লগ লেখার মতো কোনো নিয়ম কানুন মেনে আমি ব্লগ লিখছি না। আমি আমার মতো সাধারণ ভাবে লিখছি। তোমরা এইভাবেই আমায় গ্রহণ করে নিও। এইটুকুই আমার আবেদন তোমাদের কাছে।


এই তো এটাই আমার খোলাখুলি জীবন। তোমাদের আমায় কেমন লাগে বলো তো? অবশ্যই জানাবে কিন্তু। আর হ্যা, আমি দুদিন যে মুকুটমণিপুর ঘুরে এলাম, তার ও কিছু কিছু স্মৃতি তোমাদের সাথে ভাগ করে নেব। আজ এইটুকুই আমার ডায়েরী থুড়ি ব্লগ। আবার ফিরবো নতুন ব্লগ নিয়ে। সকলে ভালো থেকো। শুভ রাত্রি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ