নীরবে ভালোবাসি - পর্ব-৩
অটো থেকে নেমে ভাড়া দেওয়ার সময়ই দীপক বাবুর মনে পড়ে যায় ফোনে রিচার্জ করে দেওয়ার কথা। সেই মতো কারখানা র পাশে থাকা একটি দোকানে গিয়ে রিচার্জ করেন। ওদিকে শ্রী অপেক্ষা করে ছিলো কখন রিচার্জের মেসেজ ঢুকবে। অবশ্য সেও খুব ভালো করেই জানে কারখানায় পৌঁছে তবেই তার বাবা রিচার্জ করে দেবে। তার আগে সম্ভব নয়। রিচার্জ সাকসেসফুল হওয়ার মেসেজ টা ফোনে টুং করে মৃদু শব্দ করে প্রবেশ করা মাত্রই শ্রী এর চোখে মুখে একটা হাসির প্রলেপ চেপে বসলো।সে ফোন টা সঙ্গে সঙ্গে হাতে তুলে নিয়ে মেসেজ টা সীন করলো।
-ওই জন্যই ভাবি সকাল সকাল ভাতের থালা সাজিয়ে বসে ছিলিস কেন! ফোনের ব্যালেন্স তো পুরো শেষ করে বসেছিলিস। আচ্ছা, শ্রী তোকে হাজার বোঝালেও কি তুই বুঝবি না? সংসারের এত খরচ জোগাতে জোগাতে তোর বাবা চোখে অন্ধকার দেখছে। সপ্তাহে দু দিন কারখানায় ওভার টাইম করছে। আর তুই কি না...
-আমি কি মা? ফোনের রিচার্জ তো সেই আগের সপ্তাহে করা হয়েছিল। ফুরোবে না? তুমিও তো কাল মামার বাড়িতে ফোন করেছিলে । এই রকম টুকিটাকি দরকারে ফোন করলে ব্যালেন্স ফুরোবে বৈকি।
-ওহ! আমি একটু মামার বাড়িতে ফোনে কথা বলেছি তাতেই বুঝি ব্যালেন্স ফুরিয়ে গেল তাই তো?
মেয়ের কথায় একটা চাপা অভিমান ফুটে উঠলো চৈতির চোখে-মুখে স্পষ্ট। এটাকে অভিমান না বলে রাগ বলাই হয়তো শ্রেয়।
মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে শ্রী বেশ বুঝতে পারলো মা কে সে এক বোঝানোর চেষ্টা করলো। আর সে আর এক বুঝে মুখ হাড়ি করে বসে আছে। মায়ের মুখে থমথমে গাঢ় মেঘ দেখলে শ্রী এর অন্তরেও যে বৃষ্টি নামে। মায়ের পাশে সরে গিয়ে মায়ের হাতদুটো নিজের কোলের উপর টেনে নিয়ে শ্রেয়া কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, তুমি আমার ওপর মিথ্যেই রাগ করছো মা। মামার বাড়ি তে ফোন করেছ সেই নিয়ে আমি তোমায় খোটা দিই নি। এই সব দরকারএই তো বাড়িতে একটা ফোন থাকা জরুরি বলো? আর আমার তো এখন স্কুল ছুটি। তাই বন্ধু বান্ধবীদের সাথে বিশেষ দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না। তাই একটু কথা বলি। তুমি তাতেও রাগ করো। এখন হাতে অনেকটা ফ্রী সময়। আর দু দিন পরই রেজাল্ট। তারপর তো আবার ব্যাস্ত হয়ে যাবো আমি। ঘরে বসে একটু বেশিক্ষন ধরে টিভি দেখলেও রাগ করো। তবে আমি করবো টা কি?মা অর্থের অভাব অনেক সংসারেই আছে। তা বলে তোমার মত মনমরা হয়ে কে আছে বলো তো?তোমায় তো মাঝেমাঝেই বলি চলো বিকালের দিকে দুজনে হাটতে হাটতে স্টেশন রোডের দিকে যাই। টুকিটাকি অনাজ কেনাও হবে, আবার লোক দেখাও হবে। একটু হাঁটা হাটির ফলে শরীর , মন দুই সতেজ থাকবে। তা- নয় , তুমি শুধু ঘরে বসে বসে নেই আর নেই এর হিসেব কষছ। এইভাবে চললে তুমি মানসিকক দিক থেকে অসুস্থ হয়ে পড়বে।
শ্রী এর বলা কথা গুলো হয়তো চৈতির মনে ধরলো। তার মেজাজ টা ঠান্ডা হলো। প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে চৈতি বললো একটু চিড়ের পোলাও করেছি। শ্রেয়া তো প্রায়ই তোর কাছে বলে; ওর চিড়ের পোলাও খেতে খুব ভালো লাগে। নে, মেয়েটাকে একটা ফোন করে চট করে একবার আসতে বল তো।
-হ্যা মা, আমি স্কুলের টিফিনে চিড়ের পোলাও নিয়ে গেলে, ও প্রায় পুরোটাই হামলা দিয়ে খেয়ে নেয়। আচ্ছা, দাঁড়াও ফোন করছি।
বার কয়েক ফোন করা সত্ত্বেও সেই একই জবাব এলো নেটওয়ার্ক পরিষেবার বাইরে।
-ফোন তো লাগছে না মা।
-ইস!কি হবে তাহলে। আমি শ্রেয়ার জন্য আর একটু বেশি করে করলাম। গরম গরম খেতে যে আরো ভালো লাগবে।
-মা, তুমি তো দেখছি আমার থেকেও আমার বন্ধুর কথা বেশি ভাবো।
-এক ঠাস করে চড় ধরাবো। মায়েদের কাছে সকল ছেলে-মেয়েরাই সন্তানের মতো। বেচারা! একটু খেতে ভালো বাসে। আর এখনই ফোন টার নেটওয়ার্ক এর এই অবস্থা!
তুই এক কাজ কর শ্রী।
কাজের কথা শুনেই শ্রী ভ্রু জোড়া কুচকিয়ে নাক সিটকে, ঠোঁট উল্টিয়ে জিজ্ঞাসা করলো
-কি কাজ!
-মুখ টা ঐরকম করে আছিস কেন শুনি?কাজ কথাটা বললেই মুখের ভাবভঙ্গী বদলে যায় তাই না রে?
-ধুর বাবা! বলো কি করতে হবে...
-বলছি, একবার না হয় শ্রেয়া দের বাড়ি গিয়ে, ওকে ডেকে নিয়ে আয়।
শ্রী তড়াক করে বিছানা থেকে লাফ দিয়ে নীচে নেমে আনলা থেকে ওড়না টা টেনে নিয়ে গায়ে ফেললো। ড্রেসিং টেবিলের রাক থেকে চিরুনি টা নিয়ে গত কালের বিনুনি করা চুলটা খুলতে খুলতে সে বলল,
-মা, তুমি শ্রেয়াকে ডাকতে যাওয়ার কাজ টা দেবে, সেটা আমি ভাবতে পারি নি। এই কাজ গুলো করতে আমি খুব পটু।
-সে আমি বিলক্ষণ জানি। কিন্তু এখান থেকে এইটুকু যাবি, তাতে আবার বিনুনি টা খোলার কি দরকার ছিল শুনি?মাথার সামনে দিকটা একটু চিরুনি বুলিয়ে নিলেই তো হতো।
মায়ের কথা শুনে শ্রী এর মাথা টা আবার গেল গরম হয়ে। চোরা বিরক্তিটা বেরিয়ে আসতেই চাইছিল কিন্তু শ্রী প্রানপনে তার বিরক্তি টা সংবরণ করে ঘর থেকে বেরিয়ে জুতো জোড়া পায়ে গলিয়ে বাইরে থেকে সদর দরজাটা টেনে দিলো।
শ্রী এ দের বাড়ি থেকে পাঁচটা বাড়ির পরই শ্রেয়ার বাড়ি। একই পাড়া তে। শ্রেয়া ওর বেস্ট ফ্রেন্ড। ছোট বেলা থেকেই তারা একই স্কুলে, একই ক্লাসে পড়ে। দুজনের মনেরও খুব মিল। সর্বোপরি দুজনের পারিবারিক আর্থিক অবস্থার হাল ও প্রায় একই। তাই দুজনের মধ্যে কোনো অহংকার নেই। একে অপরের দুঃখ-কষ্ট, চাওয়া-না পাওয়া গুলো বেশ ভালো বুঝতে পারে। ওদের দুজনের এই গভীর বন্ধুত্বের মাঝে কোনো বাড়তি মাথাকে গলতে দেয় না। স্কুলে, টিউশনএ পড়ার সুবাদে অনেক বন্ধু- বান্ধবি আছে তাদের ঠিকই। কিন্তু তারা দুজন হরিহর আত্মা। তবে তাদের একটা অমিল আছে। শ্রেয়া অংকে খুব ভালো। প্রতি বছরই ভালো নম্বর পেয়ে পাস করে। কিন্তু শ্রী এর মাথায় কিছুতেই অঙ্ক ঢোকে না। এ ব্যাপারে শ্রেয়া কেও খানিকটা দোষ দেওয়া চলে। স্কুল কিংবা প্রাইভেট টিউটরের বোঝানো কোনো অঙ্ক ই শ্রী এর মাথায় ঢোকে না। তাই শ্রেয়া বুঝে নিয়ে শ্রী কে সেটা বোঝানোর চেষ্টা করে। টিচারের কাছে নিজের প্রবলেম টা বলতে অসুবিধা কিংবা বলতে লজ্জা লাগলেও শ্রেয়া ভাবে শ্রী এর অসুবিধা গুলো সে নির্দ্বিধায় আমায় বলতে পারে। কিন্তু শ্রেয়া ধৈর্য সহকারে তাকে বোঝাতে চাইলেও শ্রী ইচ্ছে করেই বুঝতে চায় না। তাই শ্রেয়াও তাকে বিশেষ জোর দেয় না। শ্রী এর মতে শ্রেয়া কে এখন কাছে পেয়েছি মানেই এই সময়টা গল্প করার আড্ডা দেওয়ার। শ্রেয়া চাইলেই জোরপূর্বক আধিপত্য ফলিয়ে শ্রী কে বোঝাতে পারতো। কিন্তু সে সেটা করতো না। কেন সেটার অন্তজনিত কারণ ঠিক জানি না। হয়তো সে ভাবতো শ্রী কে জোর করলে সে চোটে যেতে পারে, কিংবা শ্রী ভুল বুঝতে পারে শ্রেয়াকে। হয়তো তাদের বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। তা যাই হোক এইটুকু তফাৎ ছাড়া তারা প্রায় অভিন্ন হৃদয়ের বন্ধু।
- কিরে, এতক্ষন ধরে সদর দরজায় বালা ধরে নাড়ছি, কি করছিলিস ?কাকিমা নেই বুঝি বাড়িতে?
- ও তুই! বুঝতে পারি নি রে। কানে হেডফোন সেট করে গান শুনছিলাম। ভাগ্গিস তোর জায়গায় মা চলে আসে নি। তাহলে তো বালা নাড়িয়েও যদি আমি না শুনতে পেতাম তাহলে তো এতক্ষণে লঙ্কাকান্ড জুড়িয়ে দিত।
- কাকিমা কোথায় গেছেন?
- এই সামনেই বাজার এর দিকে বেরোলো। আয় , ঘরে আয়। তোর তো কাল থেকে পাত্তাই নেই।
- আর বলিস না। ফোনে ব্যালেন্স শেষ হয়ে গিয়েছিল। কি করছিলিস ঘরে একা একা? শুধু গান ই শুনছিলিস নাকি শুভ্রর সাথে ম্যাসেজে চ্যাট করছিলিস।
- আরে আস্তে কথা বল। দেওয়াল এরও কান আছে। এখুনি যদি হুট করে মা চলে আসে , জানতে পারলে কি হবে বলতো?তাছাড়া ওর প্রতি আমার কোনো ইন্টারেস্ট ই নেই। খামোকাই ওর নামের সাথে আমার নাম টা যোগ করে কোচিং এর মেয়েগুলো আমায় রাগায়। শ্রী, তুইও! তুইও আমায় ওদের মতো খেপাতে শুরু করলি? আরে, দাঁড়া দাঁড়া। তোর ব্যাপার টা কি বলতো? সকাল সকাল বিনা নিমন্ত্রনে পা রাখলি যে আমার বাড়িতে!
- তুই নিমন্ত্রণ নাই বা করলি। নিলজ্জের মতো বিনা নিমন্ত্রনে ই এলাম না হয়... কিন্তু আমি তোকে নিমন্ত্রণ করে এখনই নিয়ে যেতে এসেছি।
- বাবা! কোথায় নিয়ে যাবি শুনি?
- যেহেতু শুভ্রর বাড়ি থেকে কোনো আমন্ত্রণ পত্র এখনো এসে পৌঁছায় নি, সেহেতু আপাতত আমার বাড়ি তেই তোকে নিয়ে যেতে এসেছি।
- হেয়ালী ছাড় শ্রী। তোদের বাড়ি এখনই আমায় নিয়ে যেতে এসেছিস । কেসটা কি বলতো?
- আরে, মা আজ একটু চিড়ের পোলাও রান্না করেছে। তুই খেতে ভালবসিস তাই তোকে নিয়ে আসতে বললো।
চিড়ের পোলাও এর কথা শুনে শ্রেয়া দু-চোখ বুঝে জোর নিশ্বাস নিয়ে বললো
-আহ! কি সুন্দর গন্ধ। আমার তো দেখেই জিভে জল চলে এলো।
-গরু একটা তুই! চিড়ের পোলাও রান্না হয়েছে আমাদের বাড়িতে আর তুই কিনা এখান থেকে গন্ধ পাচ্ছিস? এমনকি দেখতেও পাচ্ছিস? ন্যাকামো করার জায়গা পাস নি?
- আরে, লোভনীয় খাবারের ঘ্রাণ দূর-দিগন্ত থেকেও পাওয়া যায়। আর চোখ বুঝলেই খাবার টা চোখের সামনে ভেসে ওঠে বুঝলি রে পাগলী?
- তোর মতো বাবা আমি ওতো ভাবুক ও নই আর দার্শনিকও নই। আমার ওসব চোখের সামনে কিছুই ভাসে না। তুই চল তো... খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
- আরে, যাবো তো বটেই।যে আমন্ত্রণে বিনা উপহার এই বুক ফুলিয়ে দাঁত বের করে প্রবেশ করা যায় স্বচ্ছন্দে ; সেই আমন্ত্রণ কি কেউ রিজেক্ট করে? একটু অপেক্ষা কর। মা এখুনি চলে আসবে। নাহলে ঘর ফাঁকা রেখে তো যেতে পারবো না।
বেশিক্ষন অবশ্য শ্রেয়াকে বসে থাকতে হলো না। দশ মিনিটের মধ্যেই শ্রেয়ার মা ফিরে এলেন। ঘেমে-নেয়ে তার চোখ- মুখ লাল হয়ে গেছে। সদর দরজার বালা নাড়ার আওয়াজে শ্রেয়া সানস্ক্রিন টা দুহাতে গালে ঘষতে ঘষতে খুলতে যাচ্ছিল। শ্রী ওকে বাধা দিয়ে বললো, তুই রেডি হ। তোর তো আবার দু-পা রাস্তায় পা দিলেও সানস্ক্রিন মাখা চাই ই। আমি খুলছি। শ্রী এর মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে সে আবার মুখের মধ্যে ক্রিম লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
-ওহ...শ্রী যে, তুই কখন এলি?
-এই মিনিট কুড়ি হবে। এসো এসো ঘরে এসো। বাজারের ব্যাগ দুটো দাও দেখি আমায়। এতকিছু যখন বাজার করবে শ্রেয়াকেও নিয়ে যেতে পারতে... তোমায় তো দেখেই মনে হচ্ছে তোমার শরীরটা বেশ অস্বস্তি হচ্ছে।
-আর, কি করবো বল... এতদিন দিন তো সব একা হাতেই সামলাচ্ছি। তবে অস্বীকার করব না, শ্রেয়াও আমায় হাতে হাতে অনেক সাহায্য করে।
-হম ম। তা ঠিক।
-তুমি বসো কাকিমা, শ্রেয়া আমাদের বাড়ি একবার যাবে বলে রেডি হচ্ছে। আমি ই তোমার জন্য জল আনছি।
জল আনতে শ্রী রান্নাঘরে ঢুকলো। আসলে শ্রেয়ার সাথে শ্রী এর বন্ধুত্ব সেই ছোটবেলা থেকেই। তাই দুজন দের বাড়ি তেই দুজনের অবাধ যাতায়াত। দুজনেই দু বাড়িতে দুই মেয়ের মতোই ভালোবাসা, অধিকার পায়।
-এই নাও কাকিমা, জল টা খাও দেখি। মানছি রোদ থেকে এসেই সঙ্গে সঙ্গে জল খাওয়াটা উচিত নয়। কিন্তু তোমার চোখ- মুখ কেমন হয়ে গেছে । দেখে তো মনে হচ্ছে খুব তেষ্টা ও পেয়েছে। ও কিছু হবে না খেয়ে নাও।
-হ্যা, রে খুব জল পিপাসা পেয়েছে। আগে খেয়ে তো নিই। তারপর যা হবে দেখা যাবে।
জলের গ্লাসে চুমুক দিয়েই এক নিঃশ্বাসে পুরো জল টা খেয়ে গ্লাস খানা ঠক করে মেঝেতে বসিয়ে শ্রেয়ার মা আশা দেবী জিজ্ঞাসা করলেন,
-এখন তোদের বাড়ি শ্রেয়া যাবে, কিছু দরকার না কিরে?
-মা একটু চিড়ের পোলাও করেছে। তাই একবার ওকে নিয়ে আসতে বললো। ওতো খেতে ভালোবাসে।
-ওহ! ঠিক আছে। যাক তাহলে।
-মা , আসছি তাহলে। চটপট শ্রী এ দের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি।
--হ্যা, শ্রী এ দের বাড়ি গিয়ে কবে তুই চটপট ফিরে আসিস? ঘন্টার পর ঘন্টা তখন কোনো পাত্তাই থাকে না। কি এমন গল্প থাকে তোদের দুটিতে ভগবানই জানেন। আচ্ছা, ঠিক আছে ঘুরে আয়।
আশা দেবীর কথা শুনে দুজনেই একে ওপরের গায়ে ঢলে পড়ে হেসে উঠলো। বেরোনোর সময় শ্রেয়া মা কে উদেশ্য করে বললো তুমি যেন আবার আমার জামা গুলো কাচতে বসে যেও নি। আমি সার্ফ এ জলে ভিজিয়ে রেখেছি কাঁচার জন্য। আমি স্নান করতে যাওয়ার সময় একেবারে কেচে বেরোব।
চলবে....
ধারাবাহিকটি কেমন লাগছে জানাতে ভুলবেন না।
ছবি : সংগৃহিত
0 মন্তব্যসমূহ