এই দিকে কিছুদিনের মধ্যেই স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে তরুণ বাবু তার ভালোবাসার কথা কণিকাকে জানায়। এতে কণিকা বেশ খুশিই হয় । সেও তো মনে মনে তাই চাইছিল। সে তো তখন তরুণ বাবুকে ছাড়া অন্য কাউকে ভাবতেও পারে না। এর পরই শুরু হয় তাদের অবৈধ প্রেমের খেলা। এরপর কণিকা প্রায়ই স্কুলে যাওয়ার নাম করে তরুণ বাবুর সাথে পার্কে , রেস্তোরাঁয় সময় কাটাত। বাড়ি ফিরেও ফোনে, মেসেজ এ তরুণ বাবুর সাথে কথা বলত আড়ালে। দেখতে দেখতে তাদের সম্পর্কের বয়স এক বছর হয়ে যায় । তাদের এই কুরুচিকর ভালোবাসার কেচ্ছা কনিকার পরিবারের মধ্যে অজানাই থেকে যায়। অবাধে চলতে থাকে প্রেমের নামে বর্বরতা। কনিকার সাথে তরুণের সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। সদ্য যৌবনে পরিপূর্ন কনিকা এইসময় মারাত্মক রকম বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
কণিকাকে তরুণ বাবু কথা দেয় যে সে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করবে ।কণিকা তখন তরুণ বাবুকে পাগলের মত ভালবাসে ও বিশ্বাস করে। আর সেই বিশ্বাসকেই কাজে লাগিয়ে তরুণ বাবু হোটেলে নিয়ে গিয়ে কখনো তার স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করতে থাকে।
প্রথম প্রথম কণিকা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে রাজি না হলেও তরুণ বাবুর মন ভোলানো সোহাগের কথায়, ও আবেগে নিজেকে সম্পুর্ন ভাবে সঁপে দেয় তরুণ বাবুর কাছে। সদ্য কিশোরী কণিকা শরীর, মন উজাড় করে দিয়ে তরুণ বাবুকে ভালোবেসেছে তাকে নিজের করে পাওয়ার আশায়। অন্যদিকে তরুণ বাবুর স্বপ্ন প্রায় তখন সফলতার মুখে।
ইতিমধ্যে কণিকার উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট আউট হয়েছে ।ভালো নম্বর ও করেছে সে। সেই আনন্দেই প্রণব বাবু ও তাঁর স্ত্রী তরুণ বাবু ও তার পরিবারকে আমন্ত্রণ জানায় তাদের বাড়ি আসার জন্য। সেদিন কনিকা সেই পার্টিতে মোটেও খুশি ছিল না তরুণ বাবুর স্ত্রী ও তার ছেলেকে দেখে।
সেদিন পার্টি শেষ হওয়ার পর রাতে তরুণ বাবুরা বাড়ি ফিরে গেলে কণিকা তরুণ বাবুকে মেসেজ করে, বিয়ের প্রস্তাব দেয় ।কনিকা চাপ দিতে থাকে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য। তরুণ বাবু পরদিন কনিকাকে কফি শপে দেখা করতে বলে।
কফি শপে দেখা করে তরুণ বাবু কণিকা কে আস্বস্ত করে বলে যে---
তরুণ বাবু : গতকাল তোমাদের বাড়িতে যে স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলাম ওটা জাস্ট একটা শো। যাতে তোমার মা বাবা ভাবে আমার সাথে আমার পরিবারের সম্পর্ক ঠিক আছে। কিন্তু এই পেপারটা আমি আজ তোমায় সারপ্রাইজ দেব বলে তোমায় এখানে ডেকেছি কণিকা।
কনিকা : কিসের পেপার এটা?
তরুণ : এটাই তো আমার ডিভোর্স পেপার।
কণিকা : আনন্দে আত্মহারা হয়ে কফিশপেই কণিকা চিৎকার করে ওঠে। এবং বলে এখন আর আমাদের বিয়েতে তাহলে কোনো বাধাই থাকলো না।
তরুণ : কিন্তু তোমায় বিয়ে করতে তবুও আমার এখন সমস্যা আছে কণিকা।
কনিকা : কিন্তু কেন? তোমার স্ত্রী তোমায় বিনা ঝগড়া-বিবাদে ডিভোর্স দিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা অবশ্যই পালিয়ে বিয়ে করতে পারি।
তরুণ : বিয়েটা আমি করতেই পারি কণিকা । তোমায় খুব খুব ভালোবাসি। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায় ।
কণিকা : সমস্যাটা কি সেটা তো বলবে ?
তরুণ : আসলে আমি ব্যবসায় ইদানিং অনেক টাকা লস খেয়েছি। ওদিকে লোন নিয়েছি অনেক এমনকি তোমার বাবার থেকে অনেকগুলো টাকা ধার নিয়েছি। আর আমার ব্যবসার আর্থিক মন্দা দেখেই নিত্য আমার স্ত্রী আমার সাথে ঝগড়া অশান্তি করতো। তাই ওর থেকে ডিভোর্স চাওয়ায় ও সহজেই আমায় ছেড়ে দিতে রাজি হয়।
কণিকা : কিন্তু তোমায় তো বলাই হয়নি ভেবেছিলাম আজই বলবো-- আমি মা হতে চলেছি তোমার বাচ্চার। মানে আমি প্রেগনেন্ট। বিয়েটা তো এখন করতেই হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।
তরুণ : ( মনে মনে কিছুটা ভয় এবং ইতস্তত হয়ে) সত্যি বলছো কনিকা? আমি খুব খুশি হয়েছি শুনে ।কিন্তু তুমি এত বড়লোক বাড়ির মেয়ে আমার অবস্থা এখন একদম তলানিতে। তুমি বুঝতে পারছনা কনিকা আমি কতটা ডিপ্রেশন এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি এখন।
কণিকা : কিন্তু আমার পেটে যে তোমার সন্তান। আর কিছুদিনের মধ্যেই আমার শরীরে পরিবর্তন সকলের নজরে আসবে। আমি অতশত জানিনা তুমি প্লিজ কিছু একটা করো।
তরুণ : একটাই উপায় আছে যদি তুমি পারো।
কণিকা : কি উপায় বলো? আমি তোমার আর আমাদের সন্তানের জন্য সবকিছু করতে রাজি।
চলবে----( বন্ধুরা গল্পটি ভালো লাগলে আপনাদের মতামত কমেন্ট বক্স এ দেবেন প্লিজ। এবং গল্পটি শেয়ার করবেন। )
0 মন্তব্যসমূহ