নিয়মিত ত্বকের যত্নে টোনার এর ব্যবহার

 

diy home made rice water for toner


নিয়মিত ত্বকের যত্নে টোনার এর  ব্যবহার

ত্বককে গভীর থেকে সজীব ও প্রাণবন্ত রাখতে টোনারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই আগে জানতে হবে  টোনারের ব্যবহার কেন করা হয় : 
১)টোনার -- ত্বককে ভিতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং কোমল রাখতে সহায়তা করে।
২) ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্সের ভারসাম্য  বজায়  রাখতে সাহায্য  করে।
৩) ত্বকের গভীরে জমে থাকা ধুলো নোংরা গভীরভাবে পরিষ্কার করে।
৪)তৈলাক্ত  ত্বকের জন্য টোনার খুবই উপযোগী। টোনার ব্যবহারের ফলে ত্বকে জমে থাকা অবাঞ্চিত তেল সহজেই  দূর হয়ে যায়। 
৫)টোনার ব্যবহারের ফলে ত্বক ঠান্ডা থাকে । ফলে আমাদের ত্বক ভেতর থেকে সজীবতা ফিরে পায়।
৬) নিয়মিত টোনার  ব্যবহারের ফলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় , ফলে ত্বক হয়ে ওঠে লাবণ্যময়। 
এই টোনার সহজেই ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করে নেওয়া যায়। আর এতে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার না থাকায় এটি ত্বকের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। বাজার চলতি যেকোনো  দামি টোনারের থেকে এর কার্যকারিতা কোন অংশে কম নয়।

 সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী টোনার হল---- 
 রাইস ওয়াটার টোনার : ত্বককে প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা করতে চাল ধোয়া জল দিয়ে তৈরি করুন টোনার।
 কিভাবে বানাবেন : 
একটি পাত্রে  ১ কাপ চালের সাথে দুই কাপ  জল দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরের দিন ওই জল ছেঁকে নিতে হবে ।এই জলটাই টোনার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। রাইস ওয়াটার এ আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন তার কারণে ত্বকে আসবে গ্লো। এটি সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে উপযোগী।

 কিভাবে ব্যবহার করবেন : 
 চাল ভেজানো জল  ছেঁকে নিয়ে কোন স্প্রে বোতলে কিংবা সাধারণ বোতলে ভরে ফ্রিজে তিন দিনের জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন।  একটি তুলোয় চাল  ভিজানো জল নিয়ে --  আগে থেকে পরিষ্কার করে রাখা মুখে ভালোভাবে আলতো ভাবে লাগাতে হবে কিংবা স্প্রে বোতল  থাকলে স্পে করে নিতে হবে। এটি সারা দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করা যাবে।

 শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে কার্যকরী টোনার : 
 শুষ্ক ত্বক খুব সহজেই তার আদ্রতা হারিয়ে ফেলে।  তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য কাঁচা দুধ খুবই কার্যকরী একটি টোনার। ঠান্ডা দুধে তুলো ভিজিয়ে সেটি আপনার পরিষ্কার ত্বকে মাখুন ।এটি আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে  আনবে চটজলদি। ত্বক কে ফ্রেস করতে সাহায্য করবে। এবং ত্বক হয়ে উঠবে নরম ও উজ্জ্বল। 

milk home made toner



গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিশ্রিত টোনার : 
 গোলাপ জলের মধ্যে এক চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে একটি বোতলের সংরক্ষণ করে রাখুন । এটি শুষ্ক ত্বকে টোনার হিসেবে খুবই উপযোগী।

 তৈলাক্ত ত্বকের উপযোগী টোনার :  নিম তুলসি টোনার : 
একটি পাত্রে  ২ কাপ জল নিতে হবে।  তাতে ১০ থেকে ১২ টি তুলসী পাতা ও ১০  থেকে ১২ টি নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে  ২ কাপ জলএক কাপ করে নিতে হবে।  তারপর এটি ঠাণ্ডা করে ছেঁকে বোতলে ভরে টোনার হিসেবে ব্যবহার করবেন। এই টোনার ব্যবহারের ফলে ত্বকে থাকা অবাঞ্চিত তেল দ্রুত অপসারিত হবে। ব্রণ, ফুসকুড়ি থাকলে তা আস্তে আস্তে সেরে যাবে।

neem tulsi home made toner



তাছাড়াও কাঁচা বরফ ও পরিষ্কার মুখে সার্কুলার মোশনে ব্যবহার করতে পারেন। এটিও ত্বকের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী টোনার।

water ice cubes home made toner



ছবি : সংগৃহীত




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ