আবার লিখতে বসলাম। নিজেকে ফিরে পাওয়ার গল্প

 


25. 10.2025


( রাধে রাধে, ওম নমঃ শিবায়, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ )




(আমাদের বাড়ির সামনের একটি সকালের দৃশ্য)

অনেক দিন পর আবার এলাম ফিরে ....
অনেকদিন পর আবার  লিখতে বসলাম।  ব্লগ খুলে দেখি, শেষবার লিখেছিলাম কয় মাস আগে… মনে হচ্ছে যেন নিজেরই জীবনের অনেকটা অধ্যায় হেলায় হারিয়ে ফেলেছি। আসলে আমি ছোট থেকেই লিখতে ভালোবাসি। প্রতি দিনের খুঁটি নাটি ছোটখাট বিষয় গুলো নিয়ে কলম চালানো আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। আজ আমি একটা বাড়ির বউ। কারো স্ত্রী, সন্তানের মা, কারো বৌমা। নিজের দায়িত্ব কর্তব্য গুলো পালন করতে করতে এক এক সময় নিজেকে হারিয়ে ফেলি। মিশে যাই তাদের দেখ ভালের মাঝে। তাই নিজের শখ গুলো অপূর্ণই থেকে যায়। যদিও এই লেখালিখি শখ টাকে অনেকে ধাত্মব্বের মধ্যেও ধরে না। কিন্তু ওই যে, চিরকালের চিরদিনের অভ্যাস। আমি যে ছাড়তে পারি না। আগে ছোট বেলায় ডায়েরিতে লিখতাম। এখন যেহেতু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এসেছে তাই এতেই লিখি। যাতে আমার মতো আরো অনেক বন্ধুদের কাছে নিজের ছোট ছোট অনুভূতি গুলো ভাগ করে নিতে পারি। আপনারাও চাইলে ভ্যত ছোট স্মৃতি গুলো শেয়ার করতে পারেন। জানেন তো মন ভালো রাখার জন্য , নিজের মনের ভালো মন্দ আবেগ গুলো অন্য না বলেও লিখেও নিজেকে ভালো রাখা যায়। এতে এক অন্য রকম তৃপ্তি, ভালোলাগা। 


নিজের কষ্ট গুলো যদি কাউকে না বলতে চান তাহলে লিখে ফেলুন দেখবেন অনেকটা নিজেকে হালকা লাগবে। আপনার যা কিছু আনন্দ এর তা অন্যের কাছে অতটা উৎফুল্লতার কারণ নাও হতে পারে । এতে অপর পক্ষ এর থেকে আশানুরূপ ভালোবাসা উৎসাহ না পেলে মনে নিরাশা গ্রাস করে। দরকার নেই কাউকে বলার। নিজের ছোট ছোট প্রাপ্তির আনন্দ গুলো লিখে ফেলুন। দেখবেন মনে এক অজানা উদ্দাম এর সঞ্চার হবে। নিজেই নিজেকে বাহবা দেবেন। জীবনে চলার পথে নিজেকেই নিজে সাহস দেওয়া ভরসা দেয়া টাই আসল। 


জানেন তো, 

আজকের সকাল....


আজ শনিবার। সপ্তাহের শেষ দিন। ছেলে, স্বামী দুজনের ই ছুটির দিন। তাই  আজ সকালটা একটু ধীর গতিতে কাটছে। চা তৈরি করতে করতে ভাবছি—কত সময় গেল, কতটা বদলেছে সব।
সকালের  রোদে ছেলে খেলনা মানে ওই আর্ট এন্ড ক্রাফট এর সরঞ্জাম নিয়ে বসেছে । পাশের গাছগুলো শীতল হাওয়া দিচ্ছে। আমি বসে আছি, চা এর কাপ হাতে নিয়ে জানালার বাইরে তাকিয়ে। এই ছোট্ট শান্ত মুহূর্তটাই যেন আমার জীবনের সব ব্যস্ততা, সব চাপকে দূরে সরিয়ে দেয়। জানেন তো যখনই যতবার ই নিজেকে একটু সময় দিতে চাই সংসার ততই আমায় আপন করে কাছে টেনে নেয় তার কর্ম গুলো আমায় দিয়ে করাবে বলে। সুতরাং হয়ে ওঠে না। নিজেকে সবসময় পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখা। তবু চেষ্টা করি নিজের শখ গুলো যেন অপূর্ণ না থেকে যায়। আর সেই তাগিদেই আবার লেখা। 


অনেকদিন পর লিখছি, তাই হয়তো একটু অন্য রকম লাগছে। শব্দগুলো বের হচ্ছে ধীর গতিতে, কিন্তু প্রতিটি শব্দে অনুভূতি জড়িয়ে আছে। ছোট্ট এই গল্পটা হলো—আমার আজকের সকাল, আমার ছোট্ট আনন্দ। মনে হচ্ছে, এই লেখা দিয়ে আমি নিজেকে ফিরিয়ে পাচ্ছি।
আজ শিখলাম—অনেকদিন লেখনি, সেটা ভুল নয়। শুধু জীবনের ছোট্ট মুহূর্তগুলো উপভোগ করার সময় কমেছিল। আর এখন, এই ছোট্ট চা, এই হাওয়া, এই মুহূর্ত—সবকিছুই মনে করিয়ে দিচ্ছে, জীবনের আসল রঙ ঠিক এখানেই।


পাঠকের উদ্দেশ্য

পাঠক,

 আপনারা  কি আজকের ছোট্ট মুহূর্তগুলোর মধ্যে সুখ খুঁজে পেলেন?  মন্তব্যে শেয়ার করতে পারেন, আমি পড়তে আগ্রহী। অনেকদিন পর লিখছি, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে এই মুহূর্তটাই সবচেয়ে সুন্দর।


 লাইফস্টাইল টিপস:

দীর্ঘ সময় ধরে বিরতি থাকলেও আবার লেখা শুরু করলাম।

নিজেদের ছোট্ট ছোট্ট  মুহূর্তগুলো লক্ষ্য করুন—চা, হাওয়া, হাসি—এইগুলোই আসল আনন্দ।

প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট নিজের জন্য রাখুন, যেন মনটা শান্ত থাকে

আজ এইটুকুই আবার আসবো নতুন একটা ব্লগ নিয়ে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ