পেয়ে হারানোর চেয়ে একেবারে না পাওয়াই শ্রেয়

 


(আমাদের গাছের ফুল। এই গুলিকে কি ফুল বলে বলুন তো?)

জীবনে তো অনেক কিছুই করলাম। পরিবারের জন্য করলাম, সন্তান এর জন্য করলাম বাড়ির প্রত্যেকটি সদস্য দের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের মন জুগিয়ে চললাম। নিজের ইচ্ছে গুলোকে দমিয়ে তাদের মন কে প্রাধান্য দিলাম। বিনিময়ে কথা শুনতে হলো কি করেছি... এই টুকু জালা না সহ্য করতে পারলে সংসার করতে এলে কেন? এই টুকু জালা নয় - অনেক কষ্ট , অনেক দুঃখ সহ্য করে থেকেছি। নিজের জন্য বিশ্বাস করুন একটুও অবসর সময় নেই। সারাদিন সবাই এর দেখভাল করতে করতেই কেটে যায়। বাপের বাড়ির কোনো সদস্য দের সাথেই যোগাযোগ রাখতে পারি না। শুধু মা, বাবা ছাড়া। আমি সময় পাই না। সংসারে এত কিছু করেও আমি খারাপ। আমিও তো মানুষ। আমার ও তো রাগ অভিমান হয়। সেটা কেউ বুঝতে চায় না। তাড়িয়ে পর্যন্ত দেওয়ার কথাও নিজের প্রিয় মানুষ টার মুখ থেকে শুনতে হয়েছে। তাহলে আর কত সহ্য করবো? 



যে মানুষটাকে পাওয়ার জন্য একদিন মা বাবার মুখের ওপর কথা বলেছি, তাকে মেনে নেওয়ার জন্য বলেছি, জোর গলায় বলেছি খুব ভালো ছেলে প্লিজ মেনে নাও। সেই মানুষ টাই আজ তুচ্ছ ঝগড়ায় বার বার তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে। বাড়ি থেকে বের করে দেবে বলে। আমি আর কোথায় যাবো ....

পেয়ে হারানোর চেয়ে একেবারেই না পাওয়াই শ্রেয় ছিল। ভগবান কেন মানুষের হৃদয়ে একটা মানুষের জন্য ভালোবাসার বীজ বপন করে দেয়, আবার কিছুদিন পর আবার তার কাছ থেকেই প্রতারিত করে? 


এইরকম হাজার ও মন খারাপ ই কথায় মন টা আজ খুবই বিষণ্ণ হয়ে আছে। মেয়েটি আমার খুবই পরিচিত। সে সত্যি ই খুব ভালো মেয়ে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। এখন সংসারে নিত্য অশান্তি। আমার কাছে বলে ও একটু হালকা হয়। মাঝে মাঝে এসে কাদেও। সত্যি জীবন কতটা কঠিন। এ জগতে যেন কেউ ই ভালো নেই। সবাই কিছু না কিছু দিক থেকে অপূর্ণ। এইভাবেই চলছে। চলতে হবে আমাদের। 

যাই হোক হাসি কান্না নিয়েই আমাদের জীবন। আজকের দুপুরের কিছু রান্না আজকের ব্লগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। খুবই সাদামাঠা রান্না। রোজকার রান্নার মতোই। আহামরি কিছু না। দুপুরের রান্নায় ছিল করলা ভাজা। ডাল  , ঝিঙে সিম আলু দিয়ে তরকারি, আর ভোলা মাছের ঝাল। এই ছিল আজকের মেনু।

Korola vaja

আমার ছেলে এইভাবে করলা ভাজা করলে খুব ভালোবাসে খেতে। করলাটা র ভিতর এর সব দানা চামচ এর সাহায্যে বের করে ঝুড়ি ঝুড়ি করে কেটে ধুয়ে নিয়েছিলাম। 

এবার ভালো করে ধুয়ে পরিমাণ মতো নুন, হলুদ মাখিয়ে যতটা পারা যায় জল হাতের সাহায্যে চেপে বের করে গরম তেলে দিয়ে ভাজতে হবে। যতক্ষন না ক্রিসপি টাইপের হয়। খুব মুখরোচক হয় ব্যাপারটা। গরম ভাতে খুব ভালো লাগে খেতে। অনেক টা চিপস এর মত। 



Musur dal

আমরা কোনো রান্না তেই শুকনো লঙ্কা ব্যবহার করি না। এটা কাঁচা লঙ্কা, অল্প পাঁচফোড়ন ও হাফ পেঁয়াজ ভেজে ডাল রান্না। মুসুর ডাল। খুব সিম্পল। 



এটা কি মাছ জানেন? এটা ভোলা মাছ। অনেকেই হয়তো জানেন না। আমাদের বাড়ির সকলে এই মাছ টা খুব পছন্দ করে। মাছ টা ভাজা হলো। 




কড়াই গরম করে তেল দিয়ে পেঁয়াজ রসুন লঙ্কা ভেজে টমেটো দিয়ে একটু নেড়ে নুন, আদা বাটা হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, মিট মশলা দিয়ে একটু কষিয়ে জল দিয়ে একটু ফুটে উঠলেই মাছ গুলো ছেড়ে দিতে হবে। তারপর 5 মিনিট লো হিট এ রাখলেই ওপর থেকে ধোনে পাতা ছড়িয়ে দিলেই মাছের ঝাল রেডি।

Fish carry

দেখুন খুব ভালো হয়েছিল খেতে। 




এটা ঝিঙে আলু সিম দিয়ে একটা তরকারি। এতে হাফ পেঁয়াজ দিয়ে ছিলাম। সাথে আদা জিরে বাটা। খুব সাধারন। খুব ভালো খেতে শিত এর এই রেসিপিটি।

এই গুলোই ছিল আমার আজ দুপুরে র মেনু। আজকে একটু রান্না ই দেখলাম। আবার আসব আগামী কাল। শুভ রাত্রি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ