
আবার কাল 23th November অস্ট্রেলিয়া, কে যে ভাবে হারালো আর দর্শক দের সমর্থন দেখে মনে হলো।
ফাইনাল এ 19th November অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারার পর কলকাতা, মুম্বাই কিংবা দিল্লি শহরের অন্ধগলির বাচ্চাটা গুলো যারা একটু হলে ও ছলছলে নয়নে কেঁদেছছিল। ফুপিয়ে কান্নার পর নীল জার্সি ওয়ালা দলটার প্রতি অভিমান করে মা ও সেটা ধূয়ে দেয় নি, কাল ধুয়ে নিয়েছে। কান্না থামার পর সব ভুলে ও আবার ক্রিকেটার হওয়ারই স্বপ্ন দেখবে। কারণ এটি ভারত। এখানে মানুষ ক্রিকেটে বাঁচে। ক্রিকেটে ই স্বপ্ন দেখে। কারণ ভারতে যে শিশুটা দু’বেলা খেতে পায় না, সেও দিনের শেষে স্বপ্ন দেখে। একদিন বড় ক্রিকেটার হবে, শচীন কোহলি দের ছাড়িয়ে যাবে।
আবার পিচের রাস্তা, অথবা পাড়ার গলিতে নীল জার্সি টা পড়ে ক্রিকেটে মেতে ওঠবে। একঝাঁক স্বপ্নের ডানা মেলা, ভারতের বিখ্যাত সব ক্রিকেটার উঠে এসেছেন এই অলিগলি থেকে ই। এটা একটা প্রবাহ, নিরন্তর।
দেখেছি কিছু মানুষ অদ্ভুত খুশি হয়েছে। অনেক অদ্ভুত উল্লাস করেছে। অনেকগুলো পোস্টে কমেন্ট করেও মুছে দিলাম। কারণ বয়স বাড়ছে। আমি জানি কথায় কথা বাড়ে। আর কাউকে কিছু বুঝিয়েও লাভ নেই। ভারতের হার কারা চাইছে? যাঁরা জানে ভারতের ক্রিকেট ঘরানা শেষ হবে না। যাঁরা বেশি লাফাচ্ছে তারা হাজার বছরে ও ভারতের সাফল্যের সমান হতে পারবে না, তাঁদের সেই যোগ্যতা নেই। ভারত থামতে জানে না। তারা ও জানে ভারত আবার ফিরবেই। তারা জানে প্রতি বিশ্বকাপে কেউ না থাকুক ভারত ফেভারিট থাকবেই।
যাঁরা ভারতের হারে ভীষণ খুশি তাঁরাও জানে। যাঁরা ভেঙে পড়েছে তাঁরাও জানে। ভারতে ক্রিকেটের মৃত্যু হয় না। কারণ কোন ঘরানা কখনও মরে না। বেঁচে থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্মে। যুগের পর যুগ ধরে তৈরি করে সমর্থক। মুগ্ধ করে নিজের শিল্পশৈলীতে।
‘ভারত ক্রিকেটের সেই সমুদ্র, যে সমুদ্রে কখনও ভাঁটা আসে না।’
0 মন্তব্যসমূহ