কলা কাঁচাই হোক কিংবা পাকা দুই রকমের কলাই আমরা খাই। আর কলার খাদ্য গুন আছে অনেক। কলা হজমে সাহায্য করে।
কলায় আছে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন মিনারেল এ ভরপুর থাকে কলা।
তাই কলা নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি যদি ত্বকেও লাগানো যেতে পারে, তাহলে সেটি ত্বকের পক্ষে খুবই উপকারী।
সুচিপত্র :
কলার ফেসপ্যাক বানাতে কি কি লাগবে ?
কলার ফেসপ্যাক বানানোর প্রদ্ধতি
কলার ফেসপ্যাক কিভাবে মুখে লাগাবেন :
কলা আমাদের ত্বকের কি কি উপকার করে :
ক : কলার ফেসপ্যাক বানাতে কি কি লাগবে ?
পাকা কলার পেস্ট : ২ চামচ
টক দই : ১ চামচ
গুড়ো দুধ : ১ চামচ
মধু : ১ চামচ
লেবুর রস : ১ চামচ
খ : কলার ফেসপ্যাক বানানোর প্রদ্ধতি :
প্রথমে কলার খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
কলা টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
কলা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে।
একটি বাটিতে নিতে হবে ২ চামচ কলার পেস্ট। ১ চামচ টকদই, ১ চামচ মধু , ১ চামচ গুড়ো দুধ , ১ চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট করে নিতে হবে।
লেবু তে যাদের এলার্জি তারা দেবেন না।
গ : কলা আমাদের ত্বকের কি কি উপকার করে :
কলা তে আছে ভিটামিন এ ও বি।
এটি মুখে থাকা কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
ত্বক কে নরম ও চকচকে করে।
এতে আছে পটাশিয়াম ও অ্যান্টিক্সিডেন্ট যা ত্বক কে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
ঘ : ফেসপ্যাকটি ত্বকের কি কি উপকার করবে :
প্যাকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে টক দই। টক দই এ আছে ল্যাকটিক এসিড । এটি স্কিন টোন কে লাইটনিং ও ব্রাইটনিং করতে সাহায্য করবে।
মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা ত্বক কে গ্লোয়িং করতে ও মৈশারাইজিং করতে সাহায্য করবে।
লেবুতে আছে সাইটিক এসিড যা ত্বকের ট্যান দূর করবে। ত্বক কে উজ্জ্বল করবে।
এই ফেসপ্যাক ধীরে ধীরে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে। পিগমেন্টেশন এর দাগ ধীরে ধীরে তুলে দেবে।
চ : কলার ফেসপ্যাক কিভাবে মুখে লাগাবেন :
ফেসপ্যাকটি লাগাবার পূর্বে মুখ ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
এটি মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে যতক্ষন না শুকিয়ে যায়।
শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে আলতো হাতে ধুয়ে নেবেন।
সপ্তাহে ২/৩ দিন এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ