ত্বকের বেসিক মেন্টেন এর জন্য তো ক্লিনজিং, টোনিং, ময়শ্চারাইজিং খুবই জরুরি। তবে একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথেই যাদের মুখে কালচে দাগ, পিগমেন্টেশন এর দাগ, ছোট ছোট কালো দাগ, ডার্ক সার্কেল পরে যাচ্ছে তাদের ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু বাজার চলতি ভিটামিন সি সিরাম গুলির দাম অনেক। তাই আজ আপনাদের দেখাবো কিভাবে আপনারা অতি সহজেই বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারবেন ভিটামিন সি সিরাম।
সূচিপত্র
ক : ভিটামিন সি সিরাম ত্বকের কি কি উপকার করে।
খ: কারা কারা কিংবা কত বয়স থেকে ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করা উচিত
গ : ভিটামিন সি সিরাম বাড়িতে তৈরি করতে কি কি উপাদান লাগবে
ঘ: ভিটামিন সি সিরাম কিভাবে তৈরি করবেন
কিভাবে ও কখন ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করবেন
প্রথমেই আমরা জেনে নেব ভিটামিন সি সিরাম আমাদের ত্বকের কি কি উপকার করে :
এটি ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন এর দাগ ছোপ কমাতে সাহায্য করে।
রোদে পোড়া ত্বকের ট্যান সরিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
মেছেতা, ডার্ক স্পট এইগুলি কমাতে সাহায্য করবে।
ভিটামিন সি সিরাম এ আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, ও অ্যান্টি ইনফ্লেমটরী গুণাবলী। এটি স্কিন এর রেড নেস কমাতে সাহায্য করে।
স্কিন এর কোলাজেন প্রোডাকশন এর জন্য ভিটামিন সি সিরাম খুব ভালো কাজ দেয়। আমদের স্কিন অনেক সময় বয়সের আগেই ঝুলে যায়। খুব সহজেই হারিয়ে ফেলে স্কিন এর ইলাস্টিসিটি। এই সব সমস্যার সমাধান হলো ভিটামিন সি সিরাম। সব ধরণের ত্বকের জন্যই উপযুক্ত এই সিরাম।
কোন বয়স থেকে এই ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করা যাবে/ কারা এই সিরাম ব্যবহার করতে পারবেন। :
২০ বছরের বয়স এর পর থেকে উপরে লেখা সমস্যা গুলি দেখা দিলে তবেই ব্যবহার করতে পারবেন।
২০বছরের নিচে যাদের বয়স তারা না ব্যবহার করাই ভালো।
স্কিন এ ব্যবহার করার আছে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট কিরে নেবেন। যদি দেখেন মাখলে কোনো সমস্যা হচ্ছে, তাহলে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
ভিটামিন সি সিরাম বাড়িতে কিভাবে তৈরি করবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ভিটামিন সি সিরাম তৈরি করতে যে সব উপাদান লাগবে তা হলো :
১: গোলাপ জল - ৪ চামচ
২: কমলা লেবুর খোসা গুঁড়ো : ১ চামচ
২: অ্যালোভেরা জেল -১ চামচ
৩: গ্লিসারিন : ১ চামচ
৪: ভিটামিন ই ক্যাপসুল - ২ টি
৫: ছোট পাম্প বোতল -১ টি
ভিটামিন সি সিরাম কি ভাবে বানাবেন :
প্রথমে একটি ছোট কাচের বাটি নিতে হবে
তাতে ৪ চামচ গোলাপ জল নিতে হবে।
তাতে ১ চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ো নিতে হবে। এটি যে কোনো কসমেটিকস এর দোকান এ , সুপার মার্কেট এ কিংবা অনলাইন থেকে কিনতে পেয়ে যাবেন।
এবার গোলাপ জল এর সাথে ভালো ভাবে কমলার খোসা মিক্স করতে হবে। ভালো ভাবে মিশিয়ে বাটি টির মাথায় একটি প্লাস্টিক এর রাপ জড়িয়ে ২ ঘন্টা মতো রেখে দিতে হবে। এর ফলে কমলার খোসার গুণাবলী গোলাপজল এ এসে যাবে।
এবার এটি একটা সুতির কাপড়ের সাহায্যে ছেঁকে নিতে হবে।
আরো একটি কাচের পাত্রে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল নিতে হবে। তার সাথে ১ চামচ গ্লিসারিন ও দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে হবে।
এরপর ওই মিক্সচারে আগে থেকে করে রাখা লেবুর খোসা র পাউডার মেশানো জল টা অল্প করে দিয়ে দিয়ে ভালো ভাবে আবার মেশাতে হবে।
ঘনত্ব টা যেন সিরাম এর মত হয়। যেন টোনার এর মত পাতলা না হয়। আবার ক্রিম এর মত থকথকে না হয়।
গাঢ় তরল মতো থাকবে।
এই অবস্থায় তৈরি হয়ে যাবে ভিটামিন সি সিরাম টি।
এই ভিটামিন সি সিরামটি কখন কিভাবে ব্যবহার করবেন :
রাতে স্কিন কেয়ার রুটিন এ এই ভিটামিন সি সিরাম টি রাখতে হবে।
ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে প্রথমে টোনার লাগাতে হবে।
টোনার লাগিয়ে ওটা মুখে যতক্ষণ না শুকিয়ে যাচ্ছে অপেক্ষা করতে হবে।
তারপর কয়েক ফোঁটা ভিটামিন সি সিরাম আঙুলের সাহায্যে নিয়ে মুখে লাগিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। যতক্ষণ না সিরাম টা ত্বক শুষে নিচ্ছে।
এরপর ময়সারাইজার ক্রিম মাখাও যায়। না মাখলেও হবে।
আমার টিপস গুলি ভালো লাগলে অবশ্যই আমার ব্লগটি সাবস্ক্রাইব করবেন। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
1 মন্তব্যসমূহ
3F932B5600
উত্তরমুছুনkiralık hacker
hacker arıyorum
kiralık hacker
hacker arıyorum
belek