আমরা অনেকেই মিষ্টি খাবার পছন্দ করি না। তাই সুজির হালুয়া কিংবা মিষ্টি সুজি খুব একটা পছন্দ করি না। তাই সুজি অনেকেই খেতে চায় না। কিন্তু সুজির পুষ্টিগুণ আছে অনেক।
কিন্তু সুজি তে মিষ্টি ব্যবহার না করে যদি ঝাল করে বানানো যায় তাহলে নিশ্চই খাবেন। ভাবছেন সেটা কি করে সম্ভব তাই তো? সেই মুশকিল এর আসান হয়েই আজকের প্রতিবেদন এ শেয়ার করতে চলেছি সুজির পোলাও / কিংবা ঝাল সুজির রেসিপি
প্রথমেই আমরা জানবো সুজির পুষ্টিগুণ :
লোহা ও পটাশিয়াম এর একটি ভালো উৎস হলো সুজি।
সুজি তে আছে ভিটামিন বি ভিটামিন ই ও প্রোটিন।
সুজি শরীরের হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা উন্নত করে।
এটি সহজেই হজম হয়ে যায়। তাই কোষ্টকাঠিন্য এর সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য খুবই উপকারী।
এতে কোলেস্টেরল ও সোডিয়াম এর মাত্রা কম থাকে তাই বয়স্ক দের জন্য ও খুব উপযোগী একটি খাবার।
যারা ডায়েট করছেন তারাও লাঞ্চ কিংবা ডিনারে এই ঝাল সুজি কিংবা সুজির পোলাও খেতে পারবেন।
সুজির পোলাও করতে যে সকল উপাদান লাগবে তা হলো :
১: সুজি : দেড় কাপ
২: সাদা তেল : ২ টেবিল চামচ
৩: নুন : প্রয়োজন মতো।
৪: চিনি : সামান্য ( অপশনাল)
৫: আদা : ১ টেবিল চামচ
৬: লঙ্কা কুচি : ৩ টে কাঁচা লঙ্কা
৭: পেঁয়াজ কুচি : ১ টি
৮: ছোট করে টুকরো করা আলু : ১ টি
৯: গাজর কুচি : ১ টা ছোট সাইজের গাজর টুকরো করে নিতে হবে।
১০: টমেটো কুচি : ১ টা ছোট সাইজের টমেটো কুচিয়ে নিতে হবে।
১১: পেঁয়াজ পাতা কুচি : ২ চামচ মতো
ফোরণ এর জন্য উপকরণ:
কারি পাতা -৮/১০ টি কুচি করা
সর্ষে দানা : ১ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা : ২ টি ফাটানো
রান্না শুরু :
প্রথমে কড়াই গরম করে সুজি টাকে হালকা রোস্ট / ভেজে নিতে হবে।
এই সময় গ্যাস এর আচঁ লো তে রাখতে হবে।
৪/৫ মিনিট ধরে সুজি টা অনবরত নেড়ে একটি পাত্রে নামিয়ে রাখতে হবে।
২: এবার কড়াই এ ২ টেবিল চামচ সাদা তেল দিতে হবে।
তেল গরম হয়ে গেলে ওতে ৮/ ১০ কারীপাতা ছিড়ে ফোরণ দিতে হবে। এবং ১ টেবিল চামচ সর্ষে দানা ও দুটো শুকনো লংক ফাটিয়ে ফোরণ দিতে হবে।
১৫/ ২০ সেকেন্ড ফোরণ টাকে নেড়ে ওতে ১ টা পেঁয়াজ কুচি দিয়ে মিডিয়াম আঁচে ৩ মিনিট মতো ভাজতে হবে। এই সময় একটু নুন দিয়ে দেবেন। তাহলে পেঁয়াজ গুলো নরম হবে। ও তাড়াতাড়ি ভাজা হয়ে যাবে।
৩ মিনিট পেঁয়াজ ভাজার পর এতে ১ টেবিল চামচ আদা বাটা ও ৩ টে কাঁচালঙ্কা কুচি দিতে হবে। আচঁ মিডিয়াম এই থাকবে।
আরো ২ মিনিট মতো এই পর্যায়ে রান্না করতে হবে।
এরপর এতে ডুমো করে কেটে রাখা আলু ও গাজর দিতে হবে।
গাজর ও আলু মিডিযাম আঁচে ভাজতে হবে। একটু নুন দিয়ে দেবেন, যাতে ভালোভাবে সিদ্ধ ও ভাজা হয়ে যায়। এই পর্যায়ে অল্প নুন দেওয়ার ফলে গাজর ও আলুর মধ্যে নুন ঢুকবে সহজেই। মিনিট ৪ ভাজার পর টমেটো কুচি দিয়ে আবার ভাজতে হবে।
টমেটো দিয়ে ২ মিনিট মতো ভাজার পর টমেটো গোলে গেলে ভেজে রাখা সুজি গুলো দিয়ে বেশকিছুখন সবজি গুলোর সাথে সুজি ভাজতে হবে।
এখন প্রয়োজন মতো নুন ও সামান্য চিনি দিতে হবে। চিনি না দিলেও হবে। কিন্তু পোলাও যেহেতু একটু মিষ্টি স্বাদের হয় তাই দিলে ভালো হয়।
মিডিয়াম আঁচে ৪/৫ মিন্ট নেড়ে দের কাপ জল দিয়ে এবার অনবরত নাড়তে হবে।
আমি ডের কাপ সুজি দিয়েছি। তাই ডের কাপ জল দিলাম।
এই হিসাব এই জল দেবেন। তাহলে সুজি ঝরঝরে হবে।
অনবরত নাড়তে নাড়তে দেখবেন সুজি ঝুরঝুরে হয়ে গেছে। এবার রেডি সুজির পোলাও বা ঝাল সুজি।
শুধু এর উপরে শেষে একটু পেঁয়াজ পাতা কিংবা ধোনে পাতা দিতে পারেন।
রেসিপি ভালো লাগলে অবশ্যই বাড়িতে ট্রাই করবেন। খুবই স্বাস্থ্যকর। আর টেস্টিও অনায়াসে ট্রাই করতে পারেন। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ