আজ আমাদের বাড়ি সরষের বীজ এলো। মাঠে সরষে চাষ করা হয়েছিল। তাই যথারীতি আমিও একটু ব্যস্ত ছিলাম। আসলে সর্ষের গাছ গুলি মাঠ থেকে আনার জন্য ৪ জন কিষেন হয়েছিল। তাদের জল খাবার এর জন্য আলুর তরকারি করতে হলো। ওই দিকে ছেলের স্কুল এর তাড়া। মোটামুটি ৮ টার মধ্যে সমস্ত জলখাবার করে নিয়েছিলাম। ছেলে স্কুলে খেয়ে গেল খিচুড়ি, ডিম সিদ্ধ। টিফিন নিয়ে গেল পরোটা তরকারি।
কিষেনরা একটু ঝাল বেশি দেওয়া তরকারি পছন্দ করে তাদের জন্য আলাদা তরকারি হয়েছিল। আমাদের বাড়ির জন্য আলাদা।
কিষেন দের জন্য আলুর তরকারি।
১১ টা নাগাদ কিসেন রা কাজের ফাঁকে এসে মুড়ি তরকারী নিয়ে গেল।
মাঠ থেকে সরষের বীজ বাড়ি এলো ।
যে শাড়ি গুলো শুকোতে দেখছেন উঠোনে, ওই গুলো আজ কাচলাম।
আর আমার বরের জন্য করেছিলাম রুটি। ও পরোটা মানে কোনো তেল এর জিনিস ই তেমন খুব একটা খায় না।
আমি যেটা দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারলাম তার ছবি দিলাম।
ছেলেকে স্কুল পাঠানোর পর বাসন মাজা ধোয়া ঘর মোছা সব করলাম। শাশুড়ি মা দুপুরের রান্না করেন। আমি সাহায্য করে দিই। সবজি কেটে, বাটনা বেটে দিই।
১২ টা নাগাদ স্নান সেরে ফুল তুলে পুজো করলাম।
ঠাকুর পুজোর বাসন ও ফুল।
ঘরের ঠাকুরকে পুজো করলাম।
আজকের লাঞ্চ এর মেনু ছিল এই গুলো
আর ডাল ও ইচরের তরকারি ছিল এর সাথে। ওই গুলোর রেসিপি আলাদা ব্লগে শেয়ার করবো । তাই সব ছবি দিলাম না।
বিকেলে হাট তে বেরিয়েছিলাম।
তার কিছু ছবি দিলাম। দেখুন গ্রামের বিকাল এর প্রাকৃতিক দৃশ্য।
পড়ন্ত বিকেলে র ছবি। আমাদের গ্রাম এর। কি সুন্দর তাই না? হাটতে গিয়ে তুলেছিলাম।
বাড়ির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তোলা ছবি। কেমন লাগলো কমেন্ট বক্স এ জানাবেন।
আজ এই পর্যন্তই। আবার এসব আমার রোজকার জীবনী নিয়ে। ভালো থাকুন। সকলে সুস্থ থাকুন।
0 মন্তব্যসমূহ