আজ আমাদের গ্রামের সরস্বতী ঠাকুর বিজয়া হবে। আসলে সরস্বতী ঠাকুর থাকেন সাধারণ ত দুদিন। কিন্তু আমাদের ঠাকুরকে চারদিন রেখে আজ বিজয়া করা হবে। ঠাকুর কে কেন্দ্র করে যাতে আর কয়েকটা দিন সব বাচ্ছারা একটু আনন্দে মাত তে পারে। তারই জন্য এই আয়োজন। এই চারদিন এ প্রতিদিন ই অনুষ্ঠান হয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রা কেউ নাচ, কেউ আবৃতি করেছে। বসে আঁকা প্রতিযোগিতা ও হয়েছিল। আসলে সব কিছু মিলিয়ে এই কয়টা দিন আমরা সকলে বেশ আনন্দে কাটিয়েছি। আজ ছিল সরস্বতী মায়ের বিজয়ার দিন। স্বাভাবিক ভাবেই সবাই এরই মন খারাপ। কিন্তু কি আর করা যাবে। সকলকেই এই আনন্দের দিন গুলোকে আকড়ে ধরে ই আবার কর্মজীবনে ফিরতে হয়। তাই না? আজ আমাদের এখানে খিচুড়ি খাওয়ানো হয়েছিল রাতে। তাই বিকেল থেকেই তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল জোর কদমে। পাড়ার সব বউ রা মিলে অনাজ কাটা, জল তোলা, মশলা বাটা এইসব কাজ করলাম আড্ডা দিতে দিতে। অনেক রকম সবজি ছিল বিট, গাজর, বিন করাই,আলু, ফুলকপি, কুমড়ো, রাঙা আলু।এই সময় টা বেশ লাগে । একে অপরের সাথে ইয়ার্কি করতে করতে কাজ করি। ওদিকে বাছারাও ছটাছুটি করে খেলে। আবার কখনো কোনো পাড়ার বয়োজ্যেষ্ঠ ঠাকুমারা এসেও রসিকতার কথা বলে। কেউ আবার তাড়া দেয় তাড়াতাড়ি করো নাহলে রান্না চাপাতে দেরি হয়ে যাবে। এইসবই আর কি।
বিকেল ৫ টা নাগাদ খিচুড়ি রান্না চেপে গেল। রান্না হতে হতে সন্ধেয় ৭ টা হয়ে গিয়েছিল। তারপর সরস্বতী মা কে মণ্ডপ থেকে নামানো হলো। মা কে সবাই মিলে বরণ করলেন। ঘটিতে গঙ্গা জল ছড়া দিয়ে শাঁখ বাজিয়ে উলু দিয়ে মা কে মাঝে রেখে সাত পাক ঘোরা হলো। মা কে সন্দেশ , জল খাওয়ানো হলো। সিঁদুর , আলতাপরানো হলো। মা তো এবার কৈলাশ এ যাবে। এই ভাবে আমাদের আজ কের রাত টা আনন্দে, বিষাদে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। রাতের বেলা খিচুড়ি ভোগ খেয়ে বাড়ি ফিরলাম।
কিছু ছবি তোমাদের শেয়ার করলাম।
আজ এই পর্যন্তই। মা কে বিজয়া দিয়ে এসে মন বড়ই ভারাক্রান্ত। আমার ছেলের ও খুব মন খারাপ। তাই বেশি কিছু আজ লিখলাম না। সকলে আমার ব্লগ গুলো একটু দেখো । আমায় একটু সাপোর্ট করো প্লিজ। তোমাদের সহযোগিতা ছাড়া আমি একটুও এগোতে পারবো না। যেহেতু আমার ব্লগ এর ট্রাফিক গুলো প্রতিদিনের প্রতিলিপি। তাই বলছি যারা সত্যিই আমার ব্লগ পড়তে ভালোবাসছো তারা আমায় সাবস্ক্রাইব করো প্লিজ। জানতো অনেক ব্লগার রাই অনেক প্রতিষ্ঠিত। জানি সবাই সবাই এর মত করে পরিশ্রম করে এই জায়গায় পৌঁছেছে। আমিও চেষ্টা করছি। কিন্তু তোমরা না উৎসাহ দিলে তো মন এর জোর টা হারিয়ে ফেলছি। তোমরা প্লিজ আমার সাথে থাকো। আমায় একটু এগিয়ে যেতে সাহায্য করো। তোমরা সাবস্ক্রাইব করলে আমর ব্লগ গুলো নিয়মিত দেখলে আমার খুব ভালো লাগবে। আমার প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি। এখন সারাদিনের কাজ বাজ ক্যামেরা বন্দি করে করে তোলা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয় গো। তাই তো ইউটিউব চ্যানেল এ আমি দিতে পারি না ভিডিও। কিন্তু লিখতে ভালোবাসি। তাই তো এইভাবেই তোমাদের সাথে আমি থাকতে চাইছি। তোমাদের মতামত ও আমায় বলতে পারো। আমরা সবাই মিলে এই ব্লগের মাধ্যমেই আড্ডা , গল্প করতে পারি। আমার অনেক প্রবাসী বন্ধু রাও আমার ব্লগ দেখো আমি জানি। চলো না আমরা এক সাথে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত গুলো সকলের সাথে ভাগ করে নি। তোমাদের মনে হতে পারে এটা কি করে সম্ভব । অবশ্যই সম্ভব। তোমরাও আমায় কমেন্ট করে তোমাদের কাজ বাজ, সারাদিনের ভালো লাগা, মন্দ লাগা আমাদের শেয়ার করতে পারো। আমরা একই সাথে একটা পরিবার হয়ে থাকবো । কি তাই তো?
মা কে সন্দেশ, জল খাওয়ানো হচ্ছে
বিদায় বেলায় মা কে আলতা পরানো হচ্ছে
মা কে মণ্ডপ থেকে নামানো হচ্ছে।
ঠাকুরের ঘট
খিচুড়ি রান্না হচ্ছে
আজ এই পর্যন্তই। মুকুটমণিপুর এর দ্বিতীয় দিনের অর্থাৎ শেষ দিনের ব্লগ শীঘ্রই আসছে। সাথে থেকো প্লিজ। আর যারা আমার পুরনো ব্লগ গুলো দেখছো, তাদের অনুরোধ করছি আমার নতুন ব্লগ গুলো ও দেখার।
0 মন্তব্যসমূহ