রূপচর্চায় ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার
ত্বক ও চুলের যত্নে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল এর ভূমিকা
অনস্বীকার্য। এটি চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করতে সাহায্য করে, চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েলের গন্ধ অতুলনীয়।
চুলের যত্নে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল এর কার্যকারিতা :
হট অয়েল মেসেজে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েলের ব্যবহার:
চুলের দৈঘর র উপর ডিপেন্ড করে কিছু পরিমাণ নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল তেল নিয়ে নিন। এরপর ডবল বয়েলিং প্রসেসিং এর মাধ্যমে প্রথমে তেল গরম করে নিতে হবে। তারপর এতে ৩ থেকে ৪ ফোটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে । এবং এই মিশ্রণটি চুলে হালকা হাতে কমপক্ষে পনেরো মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর কমপক্ষে ২ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে। হট অয়েল ম্যাসাজটি রাতেও করা যেতে পারে। এটি সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করতে হবে । এবং এটি ব্যবহারে চুল হয়ে উঠবে স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক ভাবে ঝলমলে।
মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ব্যবহার করুন ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল:
রাতে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেয়ার পর ভালো মানের নাইট মশ্চারাইজার এর সাথে এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন । এটি খুবই কার্যকরী। এটির ব্যবহারে মুখের রুক্ষ ভাব দূর হবে।ত্বক হয়ে উঠবে কোমল।
হেয়ার মাস্কে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল এর ব্যবহার :
এই প্যাকটি তৈরি করতে প্রয়োজন:
ডিম : ১টি
নারকেল তেল : ১ চামচ
অ্যালোভেরা জেল : ১চামচ
ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল: ৪ ফোঁটা।
একটি পাত্রে উপাদানগুলো একত্রিত করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি শ্যাম্পু করা চুলে গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে মেখে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে । তারপর ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এটি সব ধরনের চুলের ক্ষেত্রে উপযোগী। চুলকে মজবুত করতে ও চুল দ্রুত লম্বা করতে এটি খুবই কার্যকরী । এতে ল্যাভেন্ডার
এসেন্সিয়াল অয়েল থাকায় ডিমের গন্ধ গায়েব হয়ে যাবে।
ফেস প্যাক তৈরি তে ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল এর ব্যবহার :
এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করতে যে সকল উপাদান প্রয়োজন তাহলো :
বেসন : ২ টেবিল চামচ
দুধ : ৩ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো : ১ চিমটি
লাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল: ২ ফোটা। একটি পাত্রে এই উপাদান গুলি ভালোভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। ব্যবহার করার পদ্ধতি :
এটি পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করার ফলে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও কোমল। এতে হলুদ থাকার কারণে ত্বকের দাগ ছোপ কমে যাবে। ত্বক ভেতর থেকে হবে পরিষ্কার।
হোমমেড রুম স্প্রে ব্যবহার করতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার : ২০০মিলি জলে ১০ থেকে ১২ ফোটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে রুমে স্প্রে করলে ঘর হয়ে উঠবে সুগন্ধময়।
বিশেষ সতর্কীকরণ : গর্ভবতী মহিলাদের ও সদ্য মায়ে দের ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার না করাই শ্রেয়। ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার কোনোভাবেই শুধু ব্যবহার করা উচিত নয়। কেরিয়ার অয়েল, ময়সারাইজার , প্যাক এইসব এই সবে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
ছবি : নিজস্ব
0 মন্তব্যসমূহ