শ্বাশুড়ি বৌমার মধুর সম্পর্ক
সকাল বেলার দিকটা তনয়া খুবই ব্যস্ত থাকে। আট টার মধ্যেই তাকে ব্রেকফাস্ট, প্রীতমের অফিসের লাঞ্চ বক্সের খাবার সবই একা হাতে রেডি করতে হয়। শুধু এখানেই শেষ নয় অফিস বেরোনোর সময় নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন ফোন, রুমাল, অফিস পরে যাওয়ার জামা, প্যান্ট, বেল্ট সমস্ত কিছুই তাকে গুছিয়ে প্রীতমের হাতের কাছে রেখে দিতে হয়। প্রীতম আর তনয়ার বিয়ে হয়েছে বছর খানেক হবে। প্রতিদিন সকালের এই ব্যস্ততার রুটিনে এখন পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে গেছে সে। প্রথম দিকে টাইম মেন্টেন করে তাড়াতাড়ি গুছিয়ে দিতে বেশ হিমশিম খেত, কিন্তু এখন সাংসারিক কাজে ধীরে ধীরে পারদর্শী হয়ে উঠেছে সে। প্রীতম অফিসে বেরিয়ে যাওয়ার পর তনয়ার কাজ অনেকটাই হালকা হয়ে যায় । তারপর সে সারাদিন ধীরে সুস্থেই কাজ করে।
প্রীতম, প্রীতমের মা গীতা দেবী আর তনয়া এই নিয়েই তাদের ছোট সংসার, সুখী পরিবার। গীতা দেবীর বয়স প্রায় ষাট এর কাছাকাছি। বাতের ব্যাথার জন্য সাংসারিক কোনো কাজেই হাত লাগাতে পারেন না। তার বেশিরভাগ সময় টাই কাটে ঠাকুর ঘরে, নয়তো খবরের কাগজ, গল্পের বই পড়ে। তিনি আগ বাড়িয়ে অনাজ পাতি কুট তে গেলেও তো তনয়া খুব রাগ করে। বলে, --" থাক না মা , এই তো তিনজনের রান্না আমি সব সামলে নেব। বসে বসে অনাজ কাটলেও পায়ে টান লাগে, কষ্ট হয়, তা তোমার মুখ দেখলেই বোঝা যায়। " সকাল বেলার দিকটা তনয়ার চাপটা বড্ড বেশি পরে তার জন্য গীতা দেবী অনেকবার একটা কাজের লোক বহাল রাখার কথা বলেন, কিন্তু তাতেও তনয়ার আপত্তি। সে বলে-- "অফিসের লাঞ্চ টা নিজের হাতে করে দিতে না পারলে মন টা ভালো থাকবে না। দুপুরবেলা ওই একটা ফোনের অপেক্ষা তেই তো থাকি। যখন প্রীতম ফোন করে বলে আজরান্নাটা জাস্ট ফাটাফাটি হয়েছে তনয়া। দারুন লাগলো। ঐটুকুই আমার পরম প্রাপ্তি মা"।
তনয়ার কথা শুনে গীতা দেবী বলেন ,-- "হ্যাঁ, রে তা অবশ্য ঠিক কথা। বাড়ির বউ এরা ওইটুকু চাওয়া পাওয়া তেই বরাবর খুশি থাকে। আমার চাহিদা টাও একটা সময় এইরকমই ছিল।" বলতে বলতে মনটা অতীতের ভাবনায় ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। তনয়া বুঝতে পারে মায়ের মনটা বাবার অতীত স্মৃতি তে বেদনার্থ হচ্ছে। সে সঙ্গে সঙ্গে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বলে --" মা আজ বৃহস্পতিবার তো, আলুপোস্ত, বিউলির ডাল, কাকরোল ভাজা, আর একটু পাঁপড় ভেজেছি চলবে তো? " গীতা দেবী শুনে বলে-- " চলবে কি রে, দৌড়বে একদম।" স্নানটা তাড়াতাড়ি সেরে আয় খেতে বসতে হবে তো?
-- হ্যাঁ মা যাচ্ছি, টেবিলে ভাত, তরকারী, ডাল ভাজার বাটি গুলো সাজিয়ে রেখে তনয়া স্নানে গেল।
স্নান করে এসে রেডি হয়ে খাবার টেবিলে গিয়েই চমকে গেল তনয়া। দেখেল তার শাশুড়ি মা অল রেডি দুজনের ভাত বেড়ে ফেলেছেন। তনয়া কে দেখে খেতে বসতে বললো।
-- মা, তুমি কেন ভাত বাড়তে গেলে, আমি তো বললাম এখুনি আসছি।
--নে, আর পাকামি করতে হবে না শুরু কর এবার। জোর খিদে পেয়ে গেছে।
শাশুড়ি মায়ের এইরূপ মাতৃস্নেহ আদুরে গলায় মা হারা তনয়ার চোখে জল চলে এলো। খেতে খেতেই চেয়ার থেকে উঠে লাভ ইউ মা" বলে জড়িয়ে ধরলো। তনয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে গীতা দেবী বললেন--
চোখের জল মোছ, তুই তো মায়ের কাছেই আছিস, তোর আবার কিসের অভাব রে পাগলী।
খাওয়া শেষে এই সময়টা শাশুড়ি বৌমা একসাথে শুয়ে শুয়ে গল্প কথায় সময় কাটায়। একথা সেকথা হতে হতে গীতা দেবী হটাৎ বলে ওঠে তনয়া আমরা এইসময় টা তো ফ্রী থাকি । আমরাও দুজনে মিলে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুললে কেমন হয়? মা এর কথায় তনয়া লাফিয়ে, চেঁচিয়ে উঠে জড়িয়ে ধরে গীতাদেবীকে বলে, গুড আইডিয়া মা, গালে একটা চুমু দিয়ে বলে "ইউ আর ওয়াল্ড বেস্ট মা"।
4 মন্তব্যসমূহ
The post is also very useful for me , u can get every lyrics of song https://www.lyricswalah.com/2019/12/love-me-harder-lyrics-ariana-grande.html
উত্তরমুছুনNyc and informative
উত্তরমুছুনwow cool! Thanks for sharing such a valuable post with us.I am gonna bookmark this site.I have also seen your older post it is always awesome!
উত্তরমুছুনPlease also support us For hindi song lyrics | english song lyrics | panjabi song lyrics| Song lyrics in hindi and english visit our site
Hi Dear
উত্তরমুছুনThanks for sharing this premium knowledge for free of cost thanks dude
Dude
Hi Dear
Thanks for sharing this premium knowledge for free of cost thanks dude
Dude